ইউরোপ সেরার লড়াইয়ে শেষ ষোলোর প্রথম লেগে পিএসজির বিপক্ষে ঘরের মাঠে ৪-১ গোলে হেরে ছিটকে পড়ার শঙ্কায় বার্সেলোনা। আসরে টিকে থাকতে প্রতিপক্ষের মাঠে অন্তত ৪-০ গোলে জিততে হবে তাদের। ম্যাচটি শুরু হবে বুধবার বাংলাদেশ সময় রাত ২টায়। একই সময় অপর ম্যাচে মুখোমুখি হবে লিভারপুল ও লাইপজিগ।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে দুই লেগের নকআউট পর্বে ঘরের মাঠে তিন গোলের ব্যবধানে হারের পর ঘুরে দাঁড়ানোর নজির নেই। টিকে থাকতে কোমানের দলকে লিখতে হবে নতুন ইতিহাস।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগেই ২০১৬-১৭ আসরে শেষ ষোলোর প্রথম লেগে পিএসজির মাঠে ৪-০ গোলে হেরেছিল বার্সেলোনা। ফিরতি পর্বে ক্যাম্প ন্যুতে ৬-১ ব্যবধানে জিতে কোয়ার্টার-ফাইনালে পা রেখেছিল তারা। সম্প্রতি ঘুরে দাঁড়ানোর আরও একটি নজির গড়েছে কাতালান দলটি। কোপা দেল রের সেমি-ফাইনালের প্রথম লেগে সেভিয়ার মাঠে ২-০ গোলে হারের পর গত বুধবার ফিরতি পর্বে ৩-০ গোলে জিতে তারা পা রেখেছে ফাইনালে।
তবে দুটি ম্যাচের গল্পই ছিল বার্সেলোনার ঘরের মাঠে। এবার তাদের কাজটা করে দেখাতে হবে প্রতিপক্ষের মাঠে। পরিস্থিতি ভিন্ন জেনেও সেভিয়া ম্যাচ থেকে অনুপ্রেরণা খুঁজে নিচ্ছেন কোমান, ‘ঘুরে দাঁড়ানো কাপের ম্যাচটি আমাদের অনেক আত্মবিশ্বাস দিয়েছে, যদিও আমরা জানি এটা পুরোপুরি আলাদা এক পরিস্থিতি। এখন আমরা আমাদের সেরা চেষ্টাটা করতে পারি। ম্যাচের শুরুটা আমরা কেমন করি তার ওপর অনেক কিছু নির্ভর করছে। আমরা সবসময়ই সুযোগ তৈরি করি। এখন আসল বিষয়টা হলো সুযোগগুলো আমাদের কাজে লাগাতে হবে। পিএসজি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফেভারিট দলগুলোর একটি। আমাদের নিখুঁত একটা ম্যাচ খেলতে হবে। আমরা সেটাই করার চেষ্টা করব।’
প্রতিপক্ষের মাঠে চ্যালেঞ্জ অনেক কঠিন হবে, জানেন কোমান। তবে কোনো কিছুই অসম্ভব নয়, বিশ্বাস তার, ‘আমাদের প্রতিপক্ষের মাঠে গোল করতে হবে, যেটা কখনোই সহজ নয়। কিন্তু অসম্ভব বলে কিছু নেই। আমরা জানি, আমরা কারা এবং জিততে হলে কী করতে হবে। বেশ কিছুদিন ধরে দল দেখিয়ে চলেছে মানসিকভাবে তারা কতটা শক্তিশালী এবং আবারও তাদের এর প্রমাণ দিতে হবে।’