পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
ইয়েমেনের রাজধানী সানার একটি শরণার্থী শিবিরে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়েছে অন্তত আটজনের। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ১৫৭ জনকে। তাদের সবার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। কিভাবে ওই শরণার্থী শিবিরে আগুন লাগলো, তা এখনও জানা যায়নি। ইয়েমেনের ইরান সমর্থিত শিয়াপন্থী সশস্ত্র গোষ্ঠী হুতি ওই শরণার্থী শিবিরটি পরিচালনা করে। শিবিরটিতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে কি না, তা-ও স্পষ্ট নয়। ঘটনার পরেই টুইট করেন জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংগঠনের পরিচালক কারমেলা। তিনি জানিয়েছেন, আকস্মিক খবরে তিনি মর্মাহত। শরণার্থী এবং শিবিরের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদেরও মৃত্যু হয়েছে। বহু মানুষ আহত হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে প্রয়োজনীয় সহায়তা দিতে জাতিসংঘ প্রস্তুত রয়েছে। সরকারিভাবে আটজনের মৃত্যুর কথা জানানো হলেও বেসরকারি সূত্র সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে, মৃতের সংখ্যা আরও অনেক বেশি। জাতিসংঘের কর্মকর্তারা সংবাদ সংস্থা এপি-কে জানিয়েছেন, প্রথম আগুন লাগে যেখানে, সেখানে প্রায় সাতশ’ শরণার্থী ছিল। তারা সবাই সীমান্ত পেরিয়ে সউদী আরবে কাজের খোঁজে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল। কর্তৃপক্ষ তাদের গ্রেফতার করে ওই শরণার্থী শিবিরে পাঠিয়ে দেয়। হর্ন অব আফ্রিকা পেরিয়ে হাজার হাজার মানুষ সউদী এবং মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে কাজে সন্ধানে যান। প্রচারক থেকে শুরু করে অফিসের হাউসকিপার-- নানা ধরনের কাজের খোঁজ করেন তারা। কিন্তু সীমান্ত পেরনোর সময় বহু মানুষ ধরা পড়েন। তাদের বিভিন্ন শরণার্থী শিবিরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। ইয়েমেনের শিবিরটিও তেমনই ছিল। ডিডব্লিউ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।