অ্যানফিল্ডে রোববার প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচটি ১-০ গোলে হেরেছে ইয়ুর্গেন ক্লপের দল। বিরতির ঠিক আগে একমাত্র গোলটি করেন মিডফিল্ডার মারিও লেমিনা। ঘরের মাঠে লিভারপুলের এটি টানা ষষ্ঠ হার।
গত ডিসেম্বরে দুই দলের ম্যাচটি ১-১ ড্র হয়েছিল।
দলে সাত পরিবর্তন নিয়ে খেলতে নামা লিভারপুল শুরু থেকে ছিল অগোছালো। প্রথমার্ধে পরিস্কার কোনো সুযোগই তৈরি করতে পারেনি মোহামেদ সালাহ-জেরদান শাচিরি-দিয়োগো জোতাদের নিয়ে গড়া স্বাগতিক আক্রমণভাগ।
বিপরীতে পাল্টা আক্রমণে বার বার ভীতি ছড়ায় ফুলহ্যাম। বেশ কয়েকটি সুযোগ হাতছাড়ার পর অবশেষে জালের দেখা পায় তারা।
৪৫তম মিনিটে ডান প্রান্ত থেকে আসা ফ্রি কিক ক্রস বিপদমুক্ত করতে পারেনি লিভারপুল। ডি বক্সের ঠিক বাইরে মোহামেদ সালাহর কাছ থেকে বল কেড়ে ভেতরে ঢুকেই দূরের পোস্টে নিচু শটে লক্ষ্যভেদ করেন মারিও। ডানে ঝাঁপিয়েও বলের নাগাল পাননি গোলরক্ষক আলিসন।
পিছিয়ে পড়ে দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে চাপ বাড়ায় স্বাগতিকরা কিন্তু প্রতিপক্ষের অটুট রক্ষণ ভাঙতে পারেনি। বিপরীতে পাল্টা আক্রমণ নির্ভর খেলতে থাকে সফরকারীরা। এই অর্ধেও লিভারপুল বেশ কয়েকবার ভীতি ছড়ালেও আক্রমণের শেষটা ছিল হতাশার।
৪৮তম মিনিটে সালাহর শট রক্ষণ দেওয়ালে বাধা পাওয়ার পর জোতার শট রুখে দেন গোলরক্ষক।
৭০তম মিনিটে নাবি কেইতার ক্রসে নেওয়া বদলি খেলোয়াড় সাদিও মানের লুপিং হেড পোস্টে বাধা পায়। একটু পর ডি বক্সের বাইরে থেকে দূরের পোস্টে নেওয়া শাচিরির উঁচু শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।
শেষ দিকে চাপ আরও বাড়িয়েও লাভ হয়নি ক্লপের দলের। আসরে নবম হারের তোতো স্বাদ নিয়ে মাঠ ছাড়ে তারা। ২০১২ সালের পর এই প্রথম অ্যানফিল্ড থেকে জয় নিয়ে ফিরল ফুলহ্যাম ।
২৮ ম্যাচে ১২ জয় ও সাত ড্রয়ে ৪৩ পয়েন্ট নিয়ে সাতেই আছে লিভারপুল। ২৭ ম্যাচে ৬৫ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে ম্যানচেস্টার সিটি। ২৮ ম্যাচে পাঁচ জয় ও ১১ ড্রয়ে ২৬ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার অষ্টাদশ স্থানে ফুলহ্যাম।