Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

‘সরকারের সঙ্গে ভিন্নমত মানেই রাষ্ট্রদ্রোহ নয়’

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৪ মার্চ, ২০২১, ১২:০১ এএম

সরকারের মতের সঙ্গে মতের পার্থক্য থাকলেই তাকে ‘দেশদ্রোহ’ বলা যায় না। বুধবার কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগকে খারিজ করার সময় এমনটাই জানাল সুপ্রিম কোর্ট। জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বাতিল করার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বিবৃতি দিয়েছিলেন ফারুক। তার মন্তব্যের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন দায়ের করেন এক ব্যক্তি। সেই মামলারই শুনানিতে এমনটা জানাল শীর্ষ আদালত। ঠিক কী বলেছে সুপ্রিম কোর্ট? বুধবার বিচারপতি সঞ্জয় কিষাণ কউলের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চের তরফে জানানো হয়, ”কোনও দৃষ্টিভঙ্গি সরকারের মতের বিরোধী ও তার থেকে আলাদা হলেই তাকে দেশদ্রোহ বলা যায় না।” পিটিশনটি খারিজ করার পাশাপাশি অভিযোগকারীকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে। ওই ব্যক্তি তার পিটিশনে ফারুক আবদুল্লার বিরুদ্ধে ৩৭০ ধারা ফেরানোর ব্যাপারে চিন ও পাকিস্তানের সাহায্য চাওয়ার অভিযোগ তুলেছিলেন। কিন্তু নিজের অভিযোগ প্রমাণ করতে না পারায় পিটিশন খারিজ করে দিয়েছে শীর্ষ আদালত। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ৫ আগস্ট জম্মু ও কাশ্মীর থেকে সংবিধানের ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার করে নেয় কেন্দ্র। রাজ্যকে দু’টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভক্ত করা হয়। সেই সময় থেকে দীর্ঘদিন নজরবন্দি করে রাখা হয় কাশ্মীরের প্রথম সারির রাজনৈতিক নেতানেত্রীদের। তাঁদের অন্যতম ছিলেন ফারুক আবদুল্লা। গত বছরের শেষদিকে মুক্তি পান তিনি। পরবর্তী সময়ে তাঁকে সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বারবার সরব হতে দেখা গিয়েছে। তখনই অভিযোগ ওঠে, তিনি চিনের সাহায্যে ৩৭০ ধারা ফেরানোর দাবি করেছেন। সেই অভিযোগ অবশ্য উড়িয়ে দেয় ফারুকের দল ‘ন্যাশনাল কনফারেন্স’। দলের তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছিল, ”সাংবাদিক সম্মেলনে বিজেপি নেতা সম্বিৎ পাত্র এমন দাবি করলেও আমাদের নেতা কখনও বলেননি চিনের সাহায্যে ৩৭০ ধারা ফেরানো হোক।” সংবাদ প্রতিদিন।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ