মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লাহ বুধবার এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, এ মুহ‚র্তে কাশ্মীরের লোকেরা নিজেদের ভারতীয় বলে মনে করেন না এবং করতে চানও না। ভারতের অধীনে থাকার চেয়ে তারা বরং চাইনিজ শাসনে থাকাও ভালো মনে করেন।
ন্যাশনাল কনফারেন্স পার্টির প্রধান ও চার দশক ধরে জম্মু ও কাশ্মীরে সবচেয়ে পরিচিত ‘ভারতপন্থী’ মুখ আবদুল্লাহ ওই সাক্ষাতকারে কাশ্মীরীদের ক্রীতদাস হিসেবে অভিহিত করে বলেন, তাদের সাথে দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিকদের মতো আচরণ করা হচ্ছে। দি ওয়্যারকে দেয়া ৪৪ মিনিটের সাক্ষাতকারে তিনি বলেন, ‘কেবল কোনো প্রতিবাদ নেই বলেই কাশ্মীরের জনগণ ২০১৯ সালের আগস্টের পরিবর্তনকে গ্রহণ করে নিয়েছে বলে ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) দাবি পুরোপুরি ফালতু একটি বিষয়। প্রতিটি রাস্তা থেকে সৈন্য ও ধারা ১৪৪ প্রত্যাহার করা হলে লোকজন লাখে লাখে তাদের ঘরবাড়ি থেকে বের হয়ে আসবে।’ তিনি আরও বলেন, নতুন ডোমিসাইল আইন করা হয়েছে উপত্যকায় হিন্দুদের বন্যা সৃষ্টির উদ্দেশ্য এবং হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠতা সৃষ্টির জন্য। এটি কাশ্মীরী জনগণের মনকে আরো বিষিয়ে তুলেছে।’
উপত্যকার মানুষের প্রতিক্রিয়ার বিষয়ে আবদুল্লাহ বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে আমি অবাক হই যে, তারা (সরকার) এমন কাউকে খুঁজে পাবে যে নিজেকে ভারতীয় বলে অভিহিত করবে ... আপনি যান এবং যে কারও কাছে জানতে চান, তাদের সাথে কথা বলুন, চীনকে তারা ভালো চোখে নিচ্ছেন। তারা বরং চাইবেন চীন ঢুকে পড়ুক।’ তিনি বলেন, ‘কাশ্মীরের মানুষ বর্তমান সরকারকে মেনে নিতে পারছে না। দেশভাগের সময় কাশ্মীরের মানুষের কাছে সহজ ছিল পাকিস্তানে চলে যাওয়া। কিন্তু তারা যাননি। তারা গান্ধীর ভারতকে বেছে নিয়েছিলেন। তারা মোদির ভারতকে চাননি।’ আবদুল্লাহ জানান, কাশ্মীরের মানুষ তাই বলে পাকিস্তান যে যেতে চাইছেন তা নয়। তিনি জানান, ‘সত্যি কথা বলতে মানুষ যা শুনতে চান না তা আমি সৎভাবে বলছি। তবে এরা (কাশ্মীরিরা) পাকিস্তানেও যেতে চাইছেন না কারণ সমস্ত কিছুতেই মরচে পড়ে গিয়েছে। তার প্রশ্ন রাস্তায় যখন কেউ একে-৪৭ নিয়ে ঘোরে, সেখানে কি আদৌ স্বাধীনতা থাকতে পারে?
২০১৯ সালের ৫ আগস্ট কাশ্মীরের সাংবিধানিক পরিবর্তনের প্রায় ৭২ ঘণ্টা আগে প্রধানমন্ত্রীর সাথে তার বৈঠকের বিস্তারিত বিবরণ প্রকাশ করে আব্দুল্লাহ জানান, তিনি অনুচ্ছেদ ৩৭০ ও ৩৫ক অব্যাহত রাখার ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে আশ্বাস পাওয়ার জন্য বৈঠকে বসেছিলেন। তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে জানতে চেয়েছিলেন, উপত্যকায় এত সৈন্য কেন এবং কোনো সামরিক হুমকি পাওয়ার কারণে এমনটা হচ্ছে কিনা। আবদুল্লাহ বলেন, প্রধানমন্ত্রী পরিকল্পিতভাবে তার মধ্যে এই ধারণা সৃষ্টির চেষ্টা চালান যে নিরাপত্তাগত কারণেই সৈন্য বাড়ানো হয়েছে। তিনি বলেন, মোদি অনুচ্ছেদ ৩৭০ ও ৩৫ক নিয়ে একটি কথাও বলেননি। আবদুল্লাহ বৈঠক থেকে এ বিশ্বাস নিয়ে বের হন যে, অনুচ্ছেদ দুটি পরিবর্তন করা হচ্ছে না। অর্থাৎ, প্রধানমন্ত্রী মোদি নিজেও তাকে বিভ্রান্ত ও প্রতারিত করেছেন।
আবদুল্লাহ বলেন, ন্যাশনাল কংগ্রেস ও অন্য দলগুলো ২০১৯ সালের আগস্টের গোপকার ডিকলারেশন ইস্যুতে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। চলতি বছরের আগস্টে তা আবারো বলা হয়েছে। এতে কাশ্মীরীদের মর্যাদা পুনঃপ্রতিষ্ঠার কথা বলা হয়েছে। তিনি বলেন, এর মান হলো, অনুচ্ছেদ ৩৭০ ও ৩৫ক পুনঃপ্রতিষ্ঠা, রাজ্য মর্যাদা পুনঃপ্রতিষ্ঠা। তিনি বলেন, তিনি তার মৃত্যু পর্যন্ত এর জন্য লড়াই করে যাবেন, অবশ্য তা হবে শান্তিপূর্ণ। সূত্র : টিওআই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।