পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অবশেষে চার দেয়ালের ভেতর বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় সমাবেশ করার অনুমতি দিয়েছে রাজশাহী মহানগর পুলিশ। রাজশাহীর মাদরাসা ময়দান সংলগ্ন নাইস কনভেনশন সেন্টারে বিএনপিকে সমাবেশ করতে বলা হয়েছে। রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) মুখপাত্র গোলাম রুহুল কুদ্দুস গতকাল সোমবার দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, বিএনপি একেবারেই মধ্য শহরের রাস্তায় সমাবেশ করার অনুমতি চেয়েছিল। কিন্তু এসব এলাকায় সমাবেশ করলে মানুষের চলাচল বাধাগ্রস্ত হবে। তীব্র যানজট দেখা দিবে। এ জন্য মধ্যশহরে সমাবেশের অনুমতি দেয়া হয়নি। আমরা বলেছি ইনডোরে সমাবেশ করতে হবে। তিনি আরও বলেন, রাজশাহীর মাদরাসা ময়দান সংলগ্ন নাইস কনভেনশন সেন্টারে বিএনপিকে সমাবেশ করতে বলা হয়েছে। তারা যেন প্রস্তুতি নিতে পারে সে জন্য মৌখিকভাবে আগাম তাদের জানিয়ে দেয়া হয়েছে। এখন চিঠি ইস্যু হচ্ছে। সন্ধ্যার মধ্যে তাদের কাছে চিঠি পাঠানো হবে।
ইনডোরে সমাবেশের অনুমতি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে রাজশাহী মহানগর বিএনপির মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল বলেন, আমরা শহরের সাহেববাজার জিরোপয়েন্ট, মনিচত্বর, সোনাদীঘি বা গণকপাড়া এলাকায় সমাবেশের জন্য অনুমতি চেয়েছিলাম। কোথায় অনুমতি দেয়া হচ্ছে সেই চিঠি এখনও পাইনি। চিঠি পাওয়ার পর আমরা এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করব।
আজ বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এই সমাবেশ ঘিরে ‘হামলার আশঙ্কায়’ রাজশাহী থেকে সব রুটের বাস চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। কোন ধরনের পূর্ব ঘোষণা ছাড়া আকস্মিক বাস বন্ধ করে দেয়ায় যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।
এদিকে বিভাগীয় সমাবেশ উপলক্ষে রাজশাহীতে সংবাদ সম্মেলন করেছে বিএনপি। নগরীর একটি কনভেনশন সেন্টারে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সেখানে মহানগর বিএনপির সভাপতি মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল বলেন, সমাবেশ পন্ড করতে বিভিন্নভাবে বাধা দেয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, সকাল থেকে হঠাৎ রাজশাহী থেকে দেশের সব রুটের বাস চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। সমাবেশের আগে এর আগেও এ রকম করা হয়েছে। এর কারণ বিভাগীয় সমাবেশে যেন মানুষ না আসতে পারে। এটি বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ নস্যাৎ করার অপচেষ্টা।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু ও সাবেক মন্ত্রী এ্যাডভোকেট রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, সাবেক এমপি এ্যাড, নাদিম মোস্তফা, রাজশাহী মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট শফিকুল হক মিলন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
রাজশাহীর সকল রুটে বাস চলাচল বন্ধ
রাজশাহী থেকে হঠাৎ সব রুটের বাস চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। কোনো পূর্ব ঘোষণা ছাড়া এ বাস ধর্মঘটে সাধারণ যাত্রীদের মধ্যে দুর্ভোগ নেমে এসেছে। গতকাল মঙ্গলবার বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় সমাবেশ। সে কারণে রাজশাহীর সঙ্গে সারা দেশের বাস চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
রাজশাহীর পরিবহন মালিক ও শ্রমিক নেতাদের দাবি, বাস চলাচল করলে হামলার আশঙ্কা আছে। তাই শ্রমিকদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে তারা বাস চলাচল আপাতত বন্ধ করে দিয়েছেন। পরিস্থিতি বুঝে পরে তারা আবারও বাস চলাচলের সিদ্ধান্ত নেবেন।
এ বিষয়ে রাজশাহী বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মতিউল হক টিটো বলেন, যেহেতু রাজশাহীতে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ। এর কারণে তারা বিশৃঙ্খলা ও যানবাহনে সন্ত্রাসী হামলার আশঙ্কা করছেন। ফলে তারা সকাল থেকে বাস চলাচল বন্ধ রেখেছেন। যদিও রাজশাহী জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মাহাতাব হোসেন দাবি করে বলেন, বগুড়ায় তাদের এক শ্রমিককে মারধর করা হয়েছে। মারধরকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে।
এদিকে রাজশাহী থেকে হঠাৎ বাস চলাচল বন্ধের কারণে দুর্ভোগে পড়েছে সাধারণ যাত্রীরা। তারা অনেকেই কাউন্টারে এসে ফিরে যাচ্ছেন। এছাড়া বিকল্প পথে হিসেবে অন্য যানবাহনে নিজ নিজ গন্তব্যে রওনা দিচ্ছেন। এছাড়া চাঁপাইনবাবগঞ্জ কাউন্টারগুলো বন্ধ রাখা হয়েছে।
রাজশাহী মহানগর বিএনপির সভাপতি মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল বলেন, এখন পর্যন্ত তাদের বিভাগীয় সমাবেশের অনুমতি ও স্থান নির্ধারণ করে দেয়া হয়নি। এর ওপর সকাল থেকে হঠাৎই রাজশাহী থেকে ঢাকাসহ সব রুটের বাস চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। এর কারণ বিভাগীয় সমাবেশে যেন মানুষ না আসতে পারে। এছাড়া আর কিছু না। এটি রাজশাহীতে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ নস্যাৎ করার অপচেষ্টা বলেও দাবি করেন বিএনপির এ নেতা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।