বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
শরীয়তপুরের নড়িয়ায় ধর্ষণ মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি হারুন মোল্লাকে আদালতের রায় ঘোষণার ৯ বছর পর গ্রেফতার করতে সক্ষম হলো পুলিশ। শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে শুক্রবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে মুন্সীগঞ্জ থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত হারুন মোল্লা (৪৬) জেলার নড়িয়া উপজেলার ঘরিসার ইউনিয়নের চরলাউলানি গ্রামের খালেক মোল্লার ছেলে।
এক গৃহবধূকে ধর্ষণ করেছে হারুন মোল্লা। ২০১২ সালের ৭ আগস্ট শরীয়তপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় হারুন মোল্লাকে যাবজ্জীবন সাজার আদেশ দেন। ঘরিষার ইউনিয়নে ২০১০ সালে এই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে নড়িয়া থানায় একটি মামলা হয়। ঘটনার পর থেকে হারুন মোল্লা পলাতক ছিলেন।
নড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান জানান, ২০১০ সালে ঘরিসার ইউনিয়নে ১৮ বছরের এক গৃহবধূকে ধর্ষণ করে হারুন মোল্লা। এ ঘটনায় নড়িয়া থানায় একটি মামলা হয়। পরে আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধনী ২০০৩ এর ৯(১)- ধারায় সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে অভিযুক্ত হারুন মোল্লাকে যাবজ্জীবন সাজার আদেশ দেন
এবং অনাদায়ে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন আদালত। ঘটনার পর থেকে হারুন মোল্লা পলাতক ছিলেন।
ওসি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি, হারুন মোল্লা মুন্সীগঞ্জ জেলায় আছেন। তিনি বিদেশ যাবে বলে পরিকল্পনা করছিলেন।
শুক্রবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে নড়িয়া থানা পুলিশের এসআই ইমরান হোসেন, এএসআই বিশ্বজিৎ কুমার মণ্ডলের নেতৃত্বে মুন্সীগঞ্জ থানা পুলিশের সহযোগিতায় তাকে মুন্সীগঞ্জ চরাঞ্চল থেকে গ্রেফতার করা হয়। আজ শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে হারুন মোল্লাকে শরীয়তপুর আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।