Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শিশুর ডায়রিয়া প্রতিরোধ

| প্রকাশের সময় : ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ১২:০৮ এএম

ষড়ঋতুর দেশ বাংলাদেশ। ঋতু পরিবর্তনের সাথে সাথে এ দেশের প্রকৃতিতে লাগে পরিবর্তনের ছোঁয়া। এই পরিবর্তিত পরিবেশে মানবশিশুও যেন সুস্থ থাকে, সেটাই আমাদের কাম্য। আমাদের ছোট শিশুদের চলাফেরা, খাওয়া-দাওয়া সবই সঠিকভাবে যেন হয় তা খেয়াল রাখতে হবে। চলুন তাহলে জেনে নেই শিশুর ডায়রিয়া প্রতিরোধে করণীয় সম্পর্কে। ডায়রিয়া শব্দটির সাথে সবাই পরিচিত। আর শিশুদের বেলায় হলে তো কথাই নেই। মা-বাবারা রীতিমতো আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। আমাদের দেশে শিশু মৃত্যুর দ্বিতীয় প্রধানতম কারণ হলো ডায়রিয়া। এটা একধরনের সংক্রামক রোগ। আরো একটি সংক্রামক রোগ হলো ‘হাম’। সর্বপ্রকার সংক্রামক রোগের মধ্যে এ দু’টি খুব খারাপ রোগ, যা কিনা শিশুর বৃদ্ধির ক্ষেত্রে প্রধান অন্তরায়।

প্রতিরোধে আমরা যা করতে পারি:
* শিশুর দৈহিক ও মানসিক বৃদ্ধির জন্য উন্নতমানের খাবার প্রয়োজন। জন্মের পর থেকে ছয় মাস বয়স অর্থাৎ ১৮০ দিন পর্যন্ত মায়ের বুকের দুধই দিতে পারে এর সমাধান। তাই শিশুর প্রথম ছয় মাস শুধু মায়ের বুকের দুধ খাওয়াতে হবে।

*শিশু ও তার মা দু’জনকেই পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে। নিয়মিত হাত পরিস্কার করা, নির্দিষ্ট স্থানে মলত্যাগের পর পরিস্কার করা

* পানি খাওয়ার প্রয়োজন হলে সে ক্ষেত্রে নিরাপদ পানি, যেমন-গভীর নলকুপের পানি বা ফুটানো ঠান্ডা পানি পান করা উচিত।

* অনেক সময় হামের সাথে শিশুর ডায়রিয়া হতে পারে। সে ক্ষেত্রে সময় নষ্ট না করে ডাক্তার দেখানো উচিত। কারণ, ডায়রিয়া ও হাম একসাথে হলে শিশুর অবস্থা মারাত্মক হতে পারে।

* ডিহাইড্রেশন বা পানিশূন্যতা যেন না হয় সে দিকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।

পানিশূন্যতার লক্ষণ :
* একাধারে ১৬ থেকে ২৪ ঘন্টা প্রস্রাব না হওয়া।
* অস্থির ভাব বা ছটফট করা বা হাত-পা ছোড়াছুড়ি করা।
* শরীর নিস্তেজ হয়ে পড়া।
*অতি মাত্রায় পানি খাওয়া বা পানি খেতে দিলে তা পান করতে না পারা।
* মাথার তালু বসে যাওয়া।
*চোখ গর্তে চলে যাওয়া বা স্থির হয়ে যাওয়া।
* ঠোঁট ও জিহবা শুকিয়ে যাওয়া ।
* ঘন ঘন শ্বাস নেয়া।
* শরীরের চামড়া ঢিলে হয়ে যাওয়া।

পানিশূন্যতা রোধে করণীয় :
ক. মায়ের বুকের দুধ,
খ. নিও স্যালাইন বা ওর স্যালাইন,
গ. রাইস স্যালাইন,
ঘ. কলের ফুটানো ঠান্ডা পানি
ঙ. চালের গুঁড়ার সুজি
চ. ভাতের মাঢ়,
ছ. জাউভাত বা খিচুড়িভাত
জ. ডাবের পানি ইত্যাদি অল্প করে বারবার খাওয়ানো যেতে পারে।

* মলের সাথে রক্ত বা শরীরে জ্বর হলে অবশ্যই শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করতে হবে অথবা জটিল কিছু দেখা দিলে হাসপাতালে নিতে হবে।

ডা: মাও: লোকমান হেকিম
চিকিৎসক-কলামিস্ট, মোবাইল-০১৭১৬২৭০১২০



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ডায়রিয়া-প্রতিরোধ

২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২১
আরও পড়ুন