এডিট করা যাবে পাঠানো মেসেজ! অতি প্রয়োজনীয় ফিচার আনছে হোয়াটসঅ্যাপ
অ্যাপেল কিংবা টেলিগ্রামের মতো অ্যাপগুলিতে মেসেজ পাঠিয়ে দেয়ার পরও তাতে কোনও ভুল থাকলে এডিট করা
সামাজিক মাধ্যম ফেসবুক ও গুগলকে তাদের প্ল্যাটফর্মে সংবাদ প্রকাশের জন্য গণমাধ্যমকে অর্থ প্রদান করতে অস্ট্রেলিয়ায় একটি আইন পাস হয়েছে। বিশ্বে প্রথম দেশ হিসেবে আইনটি পাস করেছে অস্ট্রেলিয়া। খবর বিবিসি।
ফেসবুকের তীব্র বিরোধিতার মুখে কিছু সংশোধনী নিয়ে পাস হয়েছে দ্য নিউজ কোড আইন। এর অধীনে অস্ট্রেলিয়ার সংবাদমাধ্যমগুলোকে বেশ আকর্ষণীয় পরিমাণ অর্থ পরিশোধ করতে হবে গুগল ও ফেসবুককে। অস্ট্রেলিয়ার এই আইন অনুসরণ করে বিশ্বের অন্যান্য দেশও একই ধরনের আইন করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
এর আগে, সংবাদ প্রকাশকদের সঙ্গে আয় ভাগাভাগির এক আইন নিয়ে বিরোধের জেরে গত বৃহস্পতিবার ফেসবুকে অস্ট্রেলিয়াদের খবর দেখা বন্ধ দেয়। পরে দেশটির সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে আইনটিতে সংশোধনী আনা হয়।
নতুন পাস হওয়া আইনটিতে বলা হয়েছে, অর্থ ভাগাভাগি নিয়ে সংবাদমাধ্যম ও প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে নেবে। এই ধরনের আলোচনা ব্যর্থ হলে এসব প্লাটফর্মকে সালিসের আওতায় আনা যাবে। অস্ট্রেলিয়ার সরকার বলছে এই আইনের ফলে সব পক্ষের মধ্যে ন্যায্য দরকষাকষি করা যাবে। আর এতে সংবাদ প্রতিষ্ঠানগুলো আরও বেশি লাভ পাবে।
অস্ট্রেলিয়ার নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান এসিসিসি জানিয়েছে, আইন প্রণয়নের আগ পর্যন্ত গুগল ও ফেসবুকের মতো টেক জায়ান্টদের ওপর এক চেটিয়া নির্ভরতার কারণে সংবাদমাধ্যমগুলোর দর কষাকষির সুযোগ ছিলো না। সংবাদের দাম নিয়ে কোনও বিরোধ তৈরি হলে তার সমাধান দিতে পারবে শালিসকারীরা। বিশ্লেষকরা বলছেন এতে লাভবান হবে সংবাদমাধ্যম।
যাইহোক, উভয় সংস্থাই এখন কোডের বাইরে অস্ট্রেলিয়ান কিছু বড় প্রকাশকদের লোভনীয় অর্থ প্রদানের প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এই চুক্তিগুলি প্রযুক্তিবিদদের দ্বারা আপোষ হিসেবে দেখা হচ্ছে। সূত্র : বিবিসি
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।