বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের হল খুলে দেয়ার দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা তালা ভেঙে হলে ঢুকলেও অবশেষে হল ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছে। বুধবার বেলা ১২টার দিকে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় হলগুলোতে কোন শিক্ষার্থী নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৬টি হলেই তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে সংশ্লিষ্ট হল প্রশাসন।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভোস্ট কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মোতাহার হোসেন বলেন, ‘সব হলের প্রভোস্টরা জানিয়েছেন, হলগুলোতে কোনো শিক্ষার্থী নেই। সব হলের ফটকে তালা দেওয়া হয়েছে।’
এর আগে কেন্দ্রের নির্দেশে হল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেয় শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এই সিদ্ধান্তের পর থেকেই সাধারণ শিক্ষার্থীদেরকে একে একে হল থেকে বের করে দেয়ার খবর আসতে থাকে। প্রথমেই বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ রফিক জব্বার হলের শিক্ষার্থীদেরকে হল থেকে বের করে দেয়া হয়। এরপরে একে একে অন্যান্য হল থেকেও শিক্ষার্থীদেরকে বের করে দিয়ে ফটকে তালা লাগিয়ে দেয়া হয়।
এদিকে সংঘর্ষের নেপথ্যে শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতার চাঁদাবাজির খবর গণমাধ্যমে আসার পর থেকে আন্দোলনে সাধারণ শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমতে থাকে। এছাড়া বিভক্ত হয়ে পড়ে আন্দোলনকারীরা। মঙ্গলবার দুপুরে কয়েকজন শিক্ষার্থী সাংবাদিকদের জানায় আন্দোলন স্থগিত করা হয়েছে। কিন্তু এরপরই আন্দোলনকারীদের একটি অংশ এর তীব্র বিরোধিতা করে। পরে তারা বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে সাংবাদিকদের জানায় আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
এরপর সন্ধ্যায় তারা আহতদের স্মরণে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাদদেশে মোমবাতি প্রজ্বলন কর্মসূচী পালন করে। সেখান থেকে হল খুলে দেয়ার দাবিতে একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ভিসির বাসভবনের দিকে যাওয়ার পথে বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন রেজিস্ট্রারের কাছে প্রক্টরিয়াল বডির বাঁধার মুখে পরে। সেখানে প্রক্টরিয়াল বডির সঙ্গে কিছুক্ষণ কথাকাটাকাটি শেষে আন্দোলনকারীরা ফিরে আসে।
এরপর গতকাল আর তাদেরকে কোন কর্মসূচী পালন করতে দেখা যায়নি। তবে আন্দোলনকারীদের একটি অংশ জানিয়েছেন, পরবর্তী করণীয় ঠিক করতে তারা বিকালে মিটিং করবেন।
প্রসঙ্গত, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় ক্রিকেট টুর্নামেন্টকে কেন্দ্র ও চাঁদাবাজিকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ওপরে হামলা করেন স্থানীয়রা। এ হামলায় অর্ধশত শিক্ষার্থী ও ৪ জন স্থানীয় বাসিন্দা আহত হন। এর মধ্যে অন্তত ১১ জন শিক্ষার্থী গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। হামলার পরে স্থানীয় মেসগুলোতে অবস্থান করতে ‘নিরাপত্তার অভাব’ দেখিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলো খুলে দেওয়ার দাবি জানান শিক্ষার্থীরা। তবে সরকারের নির্দেশনা ছাড়া হল খোলা সম্ভব নয় বলে সাফ জানিয়ে দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এরপরেই সবগুলো আবাসিক হলের তালা ভেঙ্গে হলে প্রবেশ করেন শিক্ষার্থীরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।