Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

‘উই রিভোল্ট’ বলে জিয়া সশস্ত্র প্রতিরোধের সূচনা করেন

বগুড়ায় ইকবাল মাহমুদ টুকু

বগুড়া ব্যুরো : | প্রকাশের সময় : ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ১১:৫৯ পিএম

বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন মিডিয়া কমিটির আহবায়ক ও সাবেক মন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেছেন, ’৭১ এর ২৫ মার্চ রাতেই উই রিভোল্ট বলে মুক্তিযুদ্ধের সশস্ত্র প্রতিরোধের সূচনা করেছিলেন জিয়াউর রহমান। এরপর ২৭ মার্চ যখন তিনি স্বাধীনতা সংগ্রামের ডাক দেন। পাকিস্তানের সশস্ত্র আক্রমণের মুখে দিশেহারা জাতির কাছে সেটাই ছিল আশার আলো। আমি নিজেই ট্রানজিস্টরে তার কন্ঠ শুনে প্রতিরোধ সমরে ভীষনভাবে উজ্জীবিত হয়েছিলাম।

তিনি বলেন, তার নেতৃত্বেই সর্ব প্রথম সিলেট অঞ্চল হানাদার মুক্ত হয়। অথচ আজ বলার অপচেষ্টা করা হচ্ছে যে তিনি নাকি মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন না।
গতকাল শনিবার দুপুরে বগুড়া শহরের একটি রেঁস্তোরায় স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন কমিটির আয়োজনে রাজশাহী বিভাগের ৮ জেলার বিভিন্ন পত্রিকা সম্পাদক, বার্তা সম্পাদক, সিনিয়র সাংবাদিক ও মিডিয়া ব্যক্তিত্বদের নিয়ে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন বগুড়া জেলা বিএনপির আহবায়ক ও সংসদ সদস্য গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ। কমিটির সদস্য সদস্য আতিকুর রহমান রুমনের পরিচালনায় মতবিনিময় সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা স্বাধীনতার সুবর্ণ উদযাপন জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব আব্দুস সালাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদ, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিনু, বিএনপির ফরিদপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও সদস্য সচিব স্বাধীনতার সুবর্ণ উদযাপন মিডিয়া কমিটির সদস্য সচিব শামা ওবায়েদ, দৈনিক দিনকালের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও বগুড়া পৌরসভার মেয়র অ্যাডভোকেট একেএম মাহবুবুর রহমান ও বিএফইউজের মহাসচিব এম আব্দুল্লাহ ।
সভায় প্রধান বক্তার বক্তব্যে আব্দুস সালাম বলেন, বিএনপিই প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের দল এই সত্য তুলে ধরা আজ জরুরী হয়ে পড়েছে। যার ঘোষণা শুনে মানুষ সশস্ত্র যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে উদ্বুদ্ধ হয় সেই জিয়াউর রহমান বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা এটা ভুলে গেলে চলবে না। বিশেষ অতিথি শওকত মাহমুদ তার বক্তব্যে বলেন, ’৭১ এ জিয়ার স্বাধীনতার ঘোষণায় সাংবাদিকরাও প্রতিরোধে শামিল হয়। শামা ওবায়েদ তার বক্তব্যে সাংবাদিকদের সাথে দলের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব দিয়ে বলেন, মুক্তিযুদ্ধ যে কোন একক ব্যক্তি গোষ্ঠি বা দলের সম্পত্তি নয় সেটা পরিষ্কার করে তুলে ধরতে হবে।
মতবিনিময় সভায় বিএফইউজের মহাসচিব নুরুল আমিন রোকন, কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতা শাহীন শওকত, ওবায়দুর রহমান চন্দন, সংসদ সদস্য মো. মোশারফ হোসেন, জেলা বিএনপির সিনিয়র নেতা ফজলুল বারী বেলাল, অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম, আহসানুল তৈয়ব জাকির,এমআর ইসলাম স্বাধীন, লাভলী রহমান, যুবদল আহবায়ক খাদেমুল ইসলাম, ছাত্রদল সভাপতি আবু হাসান ও সাধারণ সম্পাদক নুরে আলম সিদ্দিকী রিগ্যান প্রমুখ। এতে বগুড়া, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নাটোর, নওগাঁ ও জয়পুরহাট, পাবনা ও সিরাজগঞ্জ জেলার শতাধিক সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জিয়া


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ