Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কাদের মির্জাকে দলীয় কার্যক্রম থেকে অব্যাহতির পত্রটি অত:পর স্থগিত

নোয়াখালী ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ৯:৪৫ পিএম

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীর ছোট ভাই নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জাকে সংগঠন থেকে বহিষ্কারের জন্য সুপারিশ ও দলের সকল কার্যক্রম থেকে অব্যাহতির পত্রটি স্থগিত করেছে জেলা আ.লীগের সভাপতি এ এইচ এম খায়রুল আনম চৌধুরী সেলিম।

শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৮টার দিকে জেলা সভাপতি বলেন, আবদুল কাদের মির্জাকে সংগঠন থেকে বহিষ্কারের সুপারিশে আমি সশরীরে স্বাক্ষর করার সুযোগ হয়নি। মির্জা কাদেরের বিরুদ্ধে বহিষ্কারের যে সুপারিশ করা হয়েছে তা আমি সভাপতি হিসেবে অনিবার্য কারণে স্থগিত করলাম।

এরআগে, শনিবার সন্ধ্যায় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ এইচ এম খায়রুল আনম চৌধুরী সেলিম ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরী এমপি স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে (পত্র) এ মির্জাকে সংগঠন থেকে বহিষ্কারের জন্য সুপারিশ ও দলের সকল কার্যক্রম থেকে অব্যাহতির জন্য কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের কাছে সুপারিশ পাঠানো হয়েছে।

পত্রটিতে উল্লেখ করা হয়, বিগত কয়েক সপ্তাহ থেকে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা দলীয় নেতা-কর্মীদের ওপর সন্ত্রাসী লেলিয়ে দিয়ে হামলা চালিয়ে গুরুত্বরভাবে আহত করে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটি ও জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ সম্পর্কে বিভিন্ন সভা সমাবেশে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে সংগঠন বিরোধী মিথ্যা, অশালীন বক্তব্য ও আপত্তিকর উক্তি করে। নেতা-কর্মীদের হুমকি প্রদান করার অভিযোগে আবদুল কাদের মির্জাকে সংগঠনের সকল কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়।

একইসাথে সংগঠন বিরোধী উল্লেখিত কারণ ও দলীয় গঠনতন্ত্র পরিপন্থী কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে আবদুল কাদের মির্জাকে দলের প্রাথমিক সদস্য পদ থেকে চুড়ান্তভাবে বহিষ্কার করার জন্য বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ও কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের কাছে সুপারিশ পাঠানো হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ১৬জানুয়ারি বসুরহাট পৌরসভা নির্বাচনের আগ থেকে বিভিন্ন ইস্যুতে আলোচনায় আসে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা। আর এ আলোচনার কেন্দ্র বিন্দু ছিলেন বসুরহাট পৌরসভার নবনির্বাচিত মেয়র আবদুল কাদের মির্জা। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীর ওবায়দুল কাদের এর ছোট ভাই। এরই মধ্যে আবদুল কাদের মির্জা জেলার ডিসি, এসপি, কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি, পরিদর্শক’সহ পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলেন। একইসাথে নোয়াখালী-৪ আসনের সাংসদ একরামুল করিম চৌধুরী ও ফেনী-২ আসনের সাংসদ নিজাম উদ্দিন হাজারীর অপরাজনীতি, টেন্ডার-বাণিজ্য, চাকরি বাণিজ্য ও কমিশন বাণিজ্য বন্ধসহ বিভিন্ন অভিযোগের বিচারের দাবীতে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা আন্দোলন করে আসছেন। এসময় তিনি নোয়াখালী ও ফেনীর নাম উল্লেখিত দু’নেতার সাথে আঁতাত করার অভিযোগ এনে নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি, পরিদর্শকের প্রত্যাহারের দাবী জানিয়ে আন্দোলন ও হরতালসহ বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: নোয়াখালী

১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
৫ অক্টোবর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ