চতুর্থ দফায় পঞ্চম দলে আরও দুই হাজার ১০ রোহিঙ্গা গেলেন নোয়াখালীর ভাসানচরে। গতকাল সোমবার চট্টগ্রাম নগরীর পতেঙ্গা বোট ক্লাব থেকে নৌবাহিনীর পাঁচটি জাহাজে চট্টগ্রাম হয়ে ভাসানচরে নেয়া হয় তাদের। আজ মঙ্গলবার আরও দুই হাজার রোহিঙ্গা ভাসানচরে যাওয়ার কথা রয়েছে। রাতেই তাদের কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের বিভিন্ন ক্যাম্প থেকে চট্টগ্রাম নিয়ে আসা হয়।
এ নিয়ে পাঁচ দফায় চট্টগ্রাম হয়ে ভাসানচর গেল আট হাজার রোহিঙ্গা। এর আগে আরও চার দফায় ছয় হাজার ৫৭১ রোহিঙ্গাকে ভাসানচর নেয়া হয়। চতুর্থ দফায় পঞ্চম দলে ২৬৪ পরিবারের দুই হাজার ১২ জনের দলকে রোববার রাতে পতেঙ্গায় বিএএফ শাহীন কলেজে আনা হয়। কর্মকর্তারা জানান, তাদের মধ্যে দুইজন অসুস্থবোধ করায় তাদের জাহাজ থেকে নামিয়ে দেয়া হয়। অন্য দলের সাথে আজ তাদের ভাসানচর পাঠানো হবে।
মিয়ানমারে নির্মম গণহত্যার শিকার হয়ে বাস্তুচ্যুত ১২ লাখ রোহিঙ্গা এখন কক্সবাজারের বিভিন্ন ক্যাম্পে অবস্থান করছে। এক লাখ রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। সেখানে দুই হাজার ৩১২ কোটি টাকায় ১২০টি গুচ্ছগ্রামের অবকাঠামো তৈরি করেছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী। স্বইচ্ছায় রোহিঙ্গারা ভাসানচরে যাচ্ছেন। তবে তারা সম্মানের সাথে নিজ দেশে ফিরে যেতে চান।