মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার (ইউএসএআইডি) ভারপ্রাপ্ত প্রশাসক গ্লোরিয়া স্টিল এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, মিয়ানমারের সামরিক অভ্যুত্থানের কারণে তাৎক্ষণিকভাবে ৪২.৪ মিলিয়ন ডলার প্রত্যাহার করে পুনর্বণ্টনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই অর্থ মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীকে সহায়তা হিসেবে দেওয়ার পরিবর্তে সে দেশের নাগরিক সমাজকে শক্তিশালী করার জন্য দেওয়া হবে বলে বিবৃতিতে জানানো হয়। গত শুক্রবার (১২ ফেব্রুয়ারি) ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস থেকে ইউএসএআইডি’র পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
শুক্রবার ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস থেকে ইউএসএআইডি’র পাঠানো এক বিবৃতিতে জানায়, ইউএসএআইডি কয়েক দশক ধরে শান্তি, গণতন্ত্র ও মুক্তির সংগ্রামে বার্মার জনগণের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু সামরিক অভ্যুত্থানের পর দেশটির কর্মসূচি পুনর্মূল্যায়ন করে এই সহযোগিতা
গ্লোরিয়া স্টিল বিবৃতিতে বলেন, ইউএসএআইডি কয়েক দশক ধরে শান্তি, গণতন্ত্র ও মুক্তির সংগ্রামে মিয়ানমারের জনগণের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে। এর চেয়ে কম কিছু তাদের প্রাপ্য নয়। প্রেসিডেন্ট বাইডেন মিয়ানমারের গত ১ ফেব্রুয়ারির সামরিক অভ্যুত্থানকে ‘দেশের গণতন্ত্র ও আইনের শাসনে ফিরে যাওয়ার ওপর সরাসরি আক্রমণ’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। মিয়ানমারের জনগণ সামরিক বাহিনীর কারণে দীর্ঘদিন ধরে লড়াই সংগ্রাম করে আসছে এবং অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছে, তাদের সেই অগ্রগতি এভাবে অগণতান্ত্রিক উপায়ে মুছে ফেলার জন্য নয়।
তিনি বলেন, মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে গত ২ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্র সরকারের দৃঢ় অবস্থানের পরিপ্রেক্ষিতে ইউএসএআইডি মিয়ানমারে আমাদের সহায়তার একটি পুঙ্খানুপুঙ্খ পর্যালোচনা করেছে। ফলশ্রুতিতে, ইউএসএআইডি মিয়ানমার সরকারের জন্য বরাদ্দকৃত ৪২.৪ মিলিয়ন ডলার সহায়তা সরকারের কাছ থেকে প্রত্যাহার করে পুনঃবণ্টনের নির্দেশ দিয়েছে। এই তহবিল সামরিক বাহিনীকে সহায়তা হিসেবে দেওয়ার পরিবর্তে আমরা সে দেশের নাগরিক সমাজকে শক্তিশালী করার জন্য তাদের দেব।
ইউএসএআইডি’র ভারপ্রাপ্ত প্রশাসক গ্লোরিয়া স্টিল প্রদত্ত ওই বিবৃতিতে বলা হয়, দ্বিপাক্ষিক কর্মসূচির প্রায় ৬৯ মিলিয়ন ডলার দিয়ে মিয়ানমারের জনগণের প্রতি সমর্থন অব্যাহত থাকবে। কোভিড মোকাবেলাসহ মিয়ানমারের জনগণের স্বাস্থ্যসেবা বজায় ও উন্নয়ন অব্যাহত রাখা, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা সুরক্ষা, খাদ্য নিরাপত্তা জোরদার, স্বাধীন গণমাধ্যমকে সমর্থন ও সংঘাতময় অঞ্চলে শান্তি আনা এবং সিন, কাচিন, রাখাইন ও শান রাজ্যগুলোর পাশাপাশি দেশটির ওই অঞ্চলের রোহিঙ্গা ও অন্যান্য ঝুকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর জন্য মানবিক সহায়তা অব্যাহত থাকবে।
যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের আঞ্চলিক সংকটে মানবিক সহায়তা দেয়ার ক্ষেত্রে বৃহত্তম দাতা এবং ২০২০ অর্থবছরে যুক্তরাষ্ট্র ৪৬৯ মিলিয়ন ডলারের বেশি মানবিক সহায়তা দিয়েছে। এর ফলে ২০১৭ সালে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে ক্ষতিগ্রস্ত জনগণের পাশাপাশি বাংলাদেশ ও এই অঞ্চলের শরণার্থীদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের মোট সহায়তার পরিমাণ দাড়িয়েছে প্রায় ১.২ বিলিয়ন ডলার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।