বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বাগেরহাট পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী সাইদ নিয়াজ হোসেন শৈবাল ভোট বর্জন করেছেন। এজেন্ট বের করে দেওয়া, এজেন্টদের মারধর, বিএনপির ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে ঢুকতে না দেওয়া, একজনের আঙ্গুলের ছাপ নিয়ে অন্যজনকে দিয়ে নৌকা প্রতিকে ভোট দেওয়াসহ নানা অভিযোগ এনে রবিবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ২টায় বাগেরহাট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে ভোট বর্জনের ঘোষনা দেন। এসময় বাগেরহাট জেলা বিএনপির আহবায়ক ও ধানের শীষ প্রতিকের প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট এটিএম আকরাম হোসেন তালিম উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী সাইদ নিয়াজ হোসেন শৈবাল বলেন, প্রার্থী হওয়ার পর থেকে আমিসহ আমার পরিবার, আমার কর্মী সমর্থককের ভয়ভীতি হুমকি-ধামকী দিয়ে আসছে ক্ষমতাসীন দলের কর্মীরা। এমনকি আমার কর্মীদের উপর হামলাও হয়েছে। এর পরেও আমি ভোটের মাঠে ছিলাম। কিন্তু নির্বাচনের আগ মুহুর্তে প্রতিটি কেন্দ্রের জন্য আমার নির্বাচিত এজেন্টদের হুমকী দিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি।ক্ষমতাসীন দলের হুমকী-ধামকী উপেক্ষা করে আমার নিকট আত্মীয় কিছু মানুষ নির্বাচনী কেন্দ্রে যায়।তাদেরকেও কেন্দ্রে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। দুই একজন প্রতিবাদ করে কেন্দ্রে ঢুকলেও কিছুক্ষন পরে তাদেরকে বের করে দেওয়া হয়েছে।প্রতিটি কেন্দ্রে শতশত বহিরাগত সন্ত্রাসী জমা করা হয়েছে। কাল রাত থেকে ভোটারদের বাড়ি বাড়ি যেয়ে নৌকা প্রতিকের ছাড়া অন্য প্রতিকের ভোটারদের কেন্দ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। ধানেরশীষ প্রতিকের ভোটারদের আঙ্গুলের ছাপ নিয়ে তাদের ভোট নৌকায় প্রেস করিয়েছে সরকার দলীয় এজেন্টরা।আমার সামনেও অনেক কেন্দ্রে নানারকম অপ্রিতিকর ঘটনা ঘটেছে। কোন প্রকার ভোটের পরিবেশ নেই বাগেরহাট পৌরসভা নির্বাচনে, এজন্য আমি ভোট বর্জন করলাম।
বাগেরহাট জেলা বিএনপির আহবায়ক ও ধানের শীষ প্রতিকের প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট এটিএম আকরাম হোসেন তালিম বলেন, বস্তির লোক ও সন্ত্রাসী ভাড়া করে আওয়ামী লীগের নেতারা তাদের প্রার্থীকে বিজয়ী করার জন্য আমাদের লোকদের মারধরসহ নানা অনিয়ম করেছেন। আমার মেয়ে ব্যারিষ্টার তাজরিয়ান আকরাম হোসেন, ছেলে ইঞ্জিনিয়ার মোঃ অছিফ আকরাম হোসেনকে সরকারি পিসি কলেজ কেন্দ্রে ঢোকার সময় লাঞ্চিত করা হয়েছে। এমনকি আমার বড় ভাবি প্রার্থীর বৃদ্ধ মাকেও লাঞ্চিত করেছে নৌকা প্রতিকের সন্ত্রাসীরা।ভোট কেন্দ্রে ভোট দেওয়ার কোন পরিবেশ নেই। তাই আমরা ভোট বর্জন করলাম।
এদিকে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নকিব নজিবুল হক নজু বিএনপির প্রার্থীর অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তারা ভোটারদের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন তাই অহেতুক নৌকা মার্কা প্রার্থীর নামে অপ্রচার চালানো হচ্ছে।
বাগেরহাট পৌরসভা নির্বাচনে দুইজন মেয়র প্রার্থী ছাড়াও ৯টি সাধারণ ওয়ার্ডে ২৩ জন এবং ৩টি সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ৬ জন প্রতিদ্বন্দী প্রার্থী রয়েছন। তবে তিনটি সাধারণ ওয়ার্ড অর্থ্যাৎ ৫, ৬ ও ৭ নং সাধারণ ওয়ার্ডে আবুল হাশেম শিপন, তালুকদার আব্দুল বাকি এবং শাহ নেওয়াজ মোল্লা দোলন বিনা প্রতিদ্বন্দীতায় নির্বাচিত হয়েছেন। বাগেরহাট পৌরসভা নির্বাচনে ৯টি ওয়ার্ডের ১৫টি কেন্দ্রে ৩৮ হাজার ২‘শ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এর মধ্যে ১৮ হাজার ৪‘শ ২১জন পুরুষ এবং ১৯ হাজার ৭‘শ৭৯ জন নারী রয়েছেন।
রবিবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে শুরু হওয়া ভোট বিকেল ৪টায় শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।