Inqilab Logo

বুধবার ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ২১ কার্তিক ১৪৩১, ০৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রসুল সঃ এর সুন্নাতকে শক্ত করে আকড়ে ধরুন, ইহকাল পরকালে সফলতা আসবে- পীর সাহেব বায়তুশ শরফ আল্লামা আব্দুল হাই নদবী

কক্সবাজার ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ১০:২৩ পিএম

পীর সাহেব বায়তুশ শরফ আল্লামা আব্দুল হাই নদবী বলেন, ইহকাল পরকালের সফলতার জন্য রসুল সঃ এর সুন্নাতকে শক্ত করে আকড়ে ধরুন। তিনি বলেন, এই উপমহাদেশে ইসলাম এসেছে হক্কানি রব্বানী পীর মুর্শিদদের মাধ্যমে। ওনারা সবাই ছিলেন রসুল সঃ এর সুন্নাতের অনুসারী, হক্কানি রব্বানী ও মুত্তাকী।

তাকওয়াবান হক্কানী রব্বানী আলেম ওলামা ও পীর মশায়েখদের সোহবত গোমরাহী থেকে বাঁচিয়ে রাখতে সহায়ক। ভন্ড পীরদের থেকে সতর্ক থাকুন।

তিন বলেন, রসুল সঃ মদিনায় যে মসজিদ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন সেই মসজিদই ছিল সারা দুনিয়ায় ইসলাম প্রচারের কেন্দ্রবিন্দু। একইভাবে মসজিদকে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠছে বায়তুশ শরফ।

আজ সারা দেশে বায়তুশ শরফ মহিরুহে পরিণত হয়েছে। বায়তুশ শরফ এর অতীতের সকল পীর মুর্শিদগণ ছিলেন হক্কানি রব্বানী ও মুত্ততাকী। ওনারা সবাই ছিলেন বিতর্কের ঊর্ধ্বে। ওনাদের শ্রম, মেধাও ত্যাগে বায়তুশ শরফ আজ এই পর্যায়ে এসেছে।

শনিবার রাতে চকরিয়া বায়তুশ শরফ মসজিদ কমপ্লেক্সে দিনব্যাপী মাহফিলে ইসালে ছওয়াবের শেষ অধিবেশনে পীর সাহেব বায়তুশ শরফ আল্লামা আব্দুল হাই নদবী এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, এখন বায়তুশ শরফ এর গুরু দায়িত্ব তাঁর কাঁধে এসে পড়েছে। বায়তুশ শরফ সিলসিলার পীর মুর্শিদদের অনুসৃত ইসলামী তরিকায় আল্লাহ ও রসুল এর পথে জীন পরিচালিত করে ইহকালীন শান্তি ও পরকালীন নাজাতের জন্য তিনি সবাইকে সচেষ্ট থাকার আহবান জানান।

তিনি বলেন, বিগত ৩০ বছর পড়া লেখায় সময় কাটিয়েছেন তিনি। ইতোমধ্যে ২০০ বই রচনা করেছেন তিনি। তিনি সারা দেশে বায়তুশ শরফ এর কার্যক্রম গুলোকে আরো গতিশীল করার চেষ্টা চালিয়ে যাবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

আল্লামা আব্দুল হাই নদবী বলেন, দেশে এক লাখ ৯৪ হাজার পীর আছে। ৭ হাজারের অধিক দরবার আছে। অসংখ্য ভন্ডপীর দরবার সাজিয়ে বসেছে। তিনি বন্ড পীর ও দরবার থেকে সতর্ক করেন সবাইকে।

শনিবার (১৩ ফেব্রুয়ারী) দিন ব্যাপী মাহফিলে ইসালে ছওয়াব-এ সভাপতিত্ব করেন, সাবেক চকরিয়া পৌর চেয়ারম্যান আনোয়ারুল হাকিম দুলাল। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কক্সবাজার বায়তুশ শরফ কমপ্লেক্সের মহাপরিচালক সিরাজুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা এস এম কামাল।

চকরিয়া পৌর শহরে ১৯৯৫ সালে বায়তুশ শরফ এর ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন বায়তুশ শরফ এর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা বায়তুশ শরফ সিলসিলার ত্রীরত্মের একজন মরহুম আল্লামা শাহ আব্দুল জব্বার।

এখানে গড়ে উঠেছে সুবিশাল মসজিদ কমপ্লেক্স, হেফজ খানা ও এতিম খানা। প্রতি বছর এখানে বার্ষিক ওয়াজ মাহফিল ছাড়াও প্রতি সপ্তাহে এখানে আয়োজন করা হয় সাপ্তাহিক
জিকির মাহফিল।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: কক্সবাজার


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ