নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
ঢাকা টেস্টের তৃতীয় দিনের দ্বিতীয় সেশনে উইকেট অক্ষত রেখেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু শেষ সেশনের শুরুতেই আবার সব এলোমেলো। লিটনের বিদায়ের পর তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে লোয়ার অর্ডার। ১৫ রানে শেষ ৪ উইকেট হারিয়েছে স্বাগতিকরা। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশকে ৩০০’র নিচে অলআউট করতে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন রাকিম কর্নওয়াল। ক্যারিবিয়ান স্পিনার ৭৪ রান দিয়ে পেয়েছেন ৫ উইকেট। ৩ উইকেট নিয়েছেন শ্যানন গ্যাব্রিয়েল। ২টি শিকার আলজারি জোসেফের।
চা বিরতি থেকে ফিরেই কর্নওয়ালের জোড়া আঘাত। বিরতির আগে ৬ উইকেটে ২৭২ রানের স্কোর খানিক সময়ের ব্যবধানে হয়ে যায় ৮ উইকেটে ২৮১। এরপর দেখতে দেখতে ২৯৬ রানে অলআউট।
মুশফিকুর রহিম ও মোহাম্মদ মিঠুনের বিদায়ের পর এলোমেলো বাংলাদেশের হাল ধরেন লিটন, সঙ্গী হিসেবে পান মিরাজকে। ফলোঅনের শঙ্কা জাগা দলকে টেনে তুলে ভালো অবস্থানে নিয়ে যান এই উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান। ইনিংস মেরামত করে অষ্টম উইকেটে মিরাজের সঙ্গে গড়েন ১২৬ রানের জুটি। দুজন মিলে কাটিয়ে দেন পুরো এক সেশন। কিন্তু চা বিরতির পরপরই লিটন ফিরে গেছেন প্যাভিলিয়নে।
কর্নওয়ালের বলে জার্মেইন ব্ল্যাকউডের হাতে ধরা পড়ার আগে ১৩৩ বলে লিটন খেলেছেন ৭১ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস। ১৩৩ বলের ইনিংসটি ডানহাতি ব্যাটসম্যান সাজান ৭ বাউন্ডারিতে। তার আউটের ২ বল পরই ওই কর্নওয়ালের শিকার হয়ে রানের খাতা খোলার আগেই ফিরে যান নাঈম হাসান।
এরপরও আশা বাঁচিয়ে রেখেছিলেন মিরাজ। চট্টগ্রাম টেস্টে সেঞ্চুরি পাওয়া এই ব্যাটসম্যান আরেকটি বড় ইনিংসের সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন ফিফটি পূরণ করে। কিন্তু তিনিও ক্যারিবিয়ান এই ঝড়ের কবলে পড়েন। তাই আশার আলো নিভিয়ে ৫৭ রান করে গ্যাব্রিয়েলের বলে ফিরে যান সাজঘরে। ফেরার আগে ১৪০ বলে ৬ বাউন্ডারিতে করেন ৫৭ রান।
মিরাজের আউটের পরও ৩০০’র ঘর পেরোনোর সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল তাইজুল ইসলাম ও আবু জায়েদ রাহীর ব্যাটিংয়ে। তবে হয়নি, শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে রাহী ১ রান করে আউট হয়ে যান। তাইজুল অবশ্য অপরাজিত থাকেন ১৩ রানে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।