বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. শিরিন আখতার বলেছেন, কক্সবাজারের মানুষের মন সমুদ্রের ন্যায় বিশাল। এখানে আগের মতো নেই কোন কিছু। সবকিছু বদলে গেছে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে এই দেশ স্বাধীন হয়েছে। আর বঙ্গবন্ধুর সোনার দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন তারই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। তবে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার দেশ গঠনে দরকার সোনার মানুষের।
তিনি বলেন, আমি কক্সবাজারের সন্তান। শহরের কস্তুরাঘাট এলাকায় আমার বেড়ে উঠা। কিন্তু বেশিদিন এখানে থাকতে পারিনি। ওইসময় মেয়েদের পড়ালেখা করা অনেক কঠিন ছিল। সামাজিক পরিবেশ অনুকূলে ছিল না। অনেক কুসংস্কার ছিল৷ তবু সব বাঁধা মাড়িয়ে চট্টগ্রামের খাস্তগীর উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করার জন্য পাড়ি দিয়েছিলাম।
তিনি বলেন, আমি চট্টগ্রামে পড়েও সংকোচ বোধ করিনি। কারণ এখানকার মানুষ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে চলাফেরা করেছেন। সেসময় পারিবারিক চাপও ছিল অনেক। সামাজিক কারণে পরিবার আমাদের পুরোপুরি ছেড়ে দেননি। আমার লক্ষ্য ছিল বড় হওয়ার। সাগরের ঢেউগুলোও যেন বলতো বড় হও, বড় হও। অবশেষে সকলের দোয়ায় অনেক বড় হয়েছি।
শুক্রবার (১২ ফেব্রুয়ারী) সকালে মোটেল উপেলের জারা কনভেনশন হলে 'আমরা-৯৩ কক্সবাজার'র ২য় পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শৈশবের স্মৃতিচারণ করে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. শিরিন আরো বলেন, স্বাধীন দেশে ছেলেমেয়েদের সোনার মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। বিশেষ করে মেয়েদের সুশিক্ষিত করে তুলতে হবে। পড়াশোনা করলে ইয়াবাসহ সকল অপরাধ থেকে দুরে থাকবে সন্তানেরা।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ, পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান, বাংলা একাডেমীর আজীবন সদস্য কবি আদিল চৌধুরী ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. আমিন আল পারভেজ।
জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ বলেন, আজকে প্রাণের এই স্ফূরণ সবাইকে অনুপ্রেরণা যোগাবে। আজকে সবাই মন বাড়িয়ে কাছে এসেছে। এখনো সবার মাঝে তারুণ্য খেলে যাচ্ছে। মানব জীবনের সবচেয়ে পরম দায়িত্ব হলো এটাকে যাপন করা। এই যাপিত জীবন উপভোগ্য ও আনন্দময় হলেই জীবনের সার্থকতা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এমন জীবনই প্রত্যাশা করেছিলেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান বলেন, বন্ধুত্বের বন্ধন চিরদিন। আমরা প্রচন্ড ব্যস্ত থাকি। এখানে এসে সবার উচ্ছ্বাস দেখে অতীতের কথা মনে পড়ে যায়। ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে অপরাধের ছোবল থেকে নিরাপদ রাখতে হবে। তাই তাদের সুশিক্ষায় গড়ে তুলতে হবে। সমাজের খারাপের স্পর্শ থেকে তাদের বিরত রাখতে হবে। আমরা আপনাদের সেবক। সেবা করে যাবো। এ জন্য দ রকার সবার আন্তরিক সহযোগিতা।
'আমরা-৯৩ কক্সবাজার' এর আহবায়ক আজিজুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক জাহেদুল আনোয়ার, সদস্য সচিব জেহাদ হাসান সম্রাট, যুগ্ম আহবায়ক যথাক্রমে এস,এম জাফর আলম রিটু, মো. গিয়াস উদ্দিন, মো. তমজিদুল আলম, আবুল কালাম ও চট্টগ্রামের বন্ধু শিপন চৌধুরী।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন নুরুল আমিন হেলালী ও তাহসিনা জেসী।
এর আগে সকালে '৯৩ বন্ধুত্বের বন্ধন হৃদয়ে স্পন্দন' শ্লোগানকে ধারণ করে বের করা হয় বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা। পরে জাতীয় সংগীত, বেলুন ও শান্তির পায়রা বেলুন উড়িয়ে 'আমরা-৯৩ কক্সবাজার'-২১ এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন অতিথিরা। উদ্বোধন শেষে স্কুলের ন্যায় অনুষ্ঠিত হয় অ্যাসম্বেলী ক্লাস। এতে কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীর ন্যায় স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেয় 'আমরা-৯৩ কক্সবাজার' এর সতির্থরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।