এডিট করা যাবে পাঠানো মেসেজ! অতি প্রয়োজনীয় ফিচার আনছে হোয়াটসঅ্যাপ
অ্যাপেল কিংবা টেলিগ্রামের মতো অ্যাপগুলিতে মেসেজ পাঠিয়ে দেয়ার পরও তাতে কোনও ভুল থাকলে এডিট করা
তরুণদের মাঝে সাড়া জাগানো ‘ইউনিবেটর’ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রথমবারের মত দেশে শুরু হলো ‘মেন্টর ডেভলোপমেন্ট ক্যাম্প’ (এমডিসি)। বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ (বিএইচটিপিএ) এর আওতাধীন শেখ কামাল আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর প্রকল্প, চুয়েট এবং দ্য ইনস্টিটিউশন অফ ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ (আইইবি) এর বিশেষ উদ্যোগে এবং ইভ্যালির সহযোগিতায় আয়োজিত চারদিন ব্যাপী এই বিশেষ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দেশের বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে তৈরি করা হবে ২০ জন ‘স্টার্টআপ মেন্টর’কে। যাদের মাধ্যমে স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম তৈরির পথে আরো একধাপ এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ।
বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে তৈরি করা বিভিন্ন অ্যাসাইনমেন্ট, প্রজেক্ট ও থিসিস পেপার থেকে সফল স্টার্টআপ তৈরির এই প্রতিযোগিতায় এখন পর্যন্ত রেজিস্ট্রেশন করেছে ৫ হাজারের বেশি তরুণ। ১ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া এই রেজিস্ট্রেশন চলবে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। রেজিস্ট্রেশনের জন্য এই লিংকে ক্লিক করতে হবে: https://www.unibatorbd.org/
এই আয়োজনে নিজেদের থিসিস, প্রজেক্ট বা অ্যাসাইনমেন্ট নিয়ে অংশগ্রহণ করতে পারবেন যে কোন বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থী। দুর্দান্ত সব ইনোভেটিভ আইডিয়াগুলোকে সঠিক দিকনির্দেশনার মাধ্যমে ব্যবসায় পরিণত করার জন্যই এই উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আয়োজকেরা। 'ইউনিবেটর'-এ বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের থিসিস বা প্রজেক্ট পেপার থেকে বাছাইকৃত শীর্ষ ১০টি উদ্ভাবনী আইডিয়াকে পণ্য বা সেবায় রূপ দেয়ার জন্য মাসব্যাপী ইনকিউবেশন শেষে এবং ১০টি আন্তর্জাতিক মানের কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করা হবে।
'ইউনিবেটর' প্লাটফর্মের মাধ্যমে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো আয়োজন করা হচ্ছে মেন্টর ডেভেলপমেন্ট ক্যাম্প। প্রথমদিন ১১ ফেব্রুয়ারি অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গুগলের নেক্সট বিলিয়ন ইউজার (এনবিইউ)-এর হেড অব অপারেশন বিকি রাসেল। উদ্ভাবন ও বাণিজ্যিকীকরণ বিষয়ে মেন্টরিং প্রদান করেন তিনি। চারদিন ব্যাপী এই ‘মেন্টর ডেভলোপমেন্ট ক্যাম্প’-এ অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত থাকবেন ফেসবুক, বিভিন্ন ভেঞ্চর ক্যাপিটাল কোম্পানি, শিল্প প্রতিষ্ঠান সমূহ এবং সরকারি নীতি নির্ধারনী ব্যক্তিবর্গ ও প্রতিনিধিবৃন্দ।
গত ২৯ জানুয়ারি, আইইবি’র শহীদ প্রকৌশলী ভবনের কাউন্সিল হলে এই আয়োজনের উদ্বোধন করেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। ইনোভেশন ভিত্তিক এই আয়োজনে শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকদের সঠিক দিকনির্দেশনা প্রদান করেন।
ইউনিবেটরের মাধ্যমে ১০টি বিজয়ী স্টার্টআপকে ১ মাস ইনকিউবেশন ট্রেনিং দেয়া হবে এবং প্রতিষ্ঠান হিসেবে আত্মপ্রকাশের জন্য প্রস্তুত করা হবে। সর্বশেষ ১০টি স্টার্টআপ প্রস্তুত হয়ে গেলে একত্রে বিশেষ অনুষ্ঠানের মাধ্যম কোম্পানি আকারে ঘোষণা করা হবে। এই নতুন কোম্পানিগুলোকে হাইটেক পার্কের স্থাপনায় অফিস স্পেস দেয়া হবে এবং প্রত্যেকটি স্টার্ট আপ কে ১০ লক্ষ টাকা প্রাথমিক মূলধন প্রদান করা হবে। এছাড়াও শীর্ষ তিনটি স্টার্ট আপ গ্লোবাল কম্পিটিশনে অংশগ্রহণ করবে। ইউনিবেটর প্রোগ্রামের স্পনসর হিসেবে রয়েছে ইভ্যালি। এ ছাড়া স্ট্র্যাটেজিক পার্টনার হিসেবে রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) এবং আইসিটি ডিভিশনের আইডিয়া প্রজেক্ট।
উল্লেখ্য, প্রতি বছর স্নাতক শেষে প্রায় এক মিলিয়ন (১০ লক্ষ) শিক্ষার্থী চাকরির বাজারে প্রবেশ করে। নিয়ম অনুসারে, তাদের প্রত্যেককে কমপক্ষে একটি থিসিস বা অনুরূপ একাডেমিক প্রজেক্ট বাধ্যতামূলকভাবে জমা দিয়ে স্নাতক সম্পন্ন করতে হয়, তবে প্রায় সব ক্ষেত্রেই এই প্রজেক্ট বা কনসেপ্ট বা আইডিয়াগুলো একটি রিপোর্টেই সীমাবদ্ধ থেকে যায়। ফলস্বরূপ, শিক্ষার্থীরা নতুন কনসেপ্ট বা উদ্ভাবনী আইডিয়া নিয়ে কাজ করার চেয়ে পূর্বের বছরসমূহে ভালো নম্বর পাওয়া বিষয়গুলো বেছে নিতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ (বিএইচটিপিএ) এর আওতাধীন শেখ কামাল আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর প্রকল্প, চুয়েট এবং দ্য ইনস্টিটিউশন অফ ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ (আইইবি) যৌথভাবে শিক্ষার্থীদের এই একাডেমিক প্রোজেক্ট/ কনসেপ্ট/ আইডিয়াগুলোকে বাস্তব জীবনের পণ্য বা সেবায় রূপান্তর করে তাদের নিজস্ব বিজনেস ভেঞ্চার গড়ে তুলতে উৎসাহিত করার উদ্যোগ হিসেবেই ‘ইউনিবেটর’ প্রোগ্রামের আয়োজন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।