বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
কক্সবাজার পুলিশ নতুন করে ৮০ জন শীর্ষ মাদক কারবারির তালিকা করেছেন বলে জানা গেছে। এদের গতিবিধি ভালোমত নজরদারিতে রাখা হয়েছে। সেই তালিকার সূত্র ধরে অভিযান চালানো হচ্ছে।
কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান বলেন, মাদক আমাদের জাতীয় শত্রু। মাদকের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছেন। তাই পুলিশ এব্যাপার সতর্ক রয়েছে।
মাদকে যারা জড়িত, যারা বিনিয়োগকারী এবং পৃষ্ঠপোষক তাদের শেকড় যতই গভীর হোক না কেন কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।
এসপি বলেন, জেলা পুলিশের প্রতিটি সদস্য এ ব্যাপারে সোচ্চার। মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান আরো জোরদার করা হবে। বড় বড় মাদক কারবারিকে আমরা আটক করব।
তিনি বলেন, প্রতিনিয়ত ব্যবসায়ীর পরিবর্তন হচ্ছে। ভিন্ন কৌশলে ইয়াবায় সংযুক্ত হচ্ছে। প্রত্যেকটি বিষয়কে আমরা নজরদারিতে রেখেছি। তার জন্য গোয়েন্দা ইউনিট কাজ করছে।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (৯ ফেব্রুয়ারী) দুই দফায় অভিযানে ১৭ লাখ ৭৫ হাজার ইয়াবাসহ হাতেনাতে ৫ জনকে আটক করা হয়েছে। যেটি এযাবতকালে কক্সবাজারের সর্বোচ্চ মাদকের চালান।
আটক গডফাদার জহিরুল ইসলাম ফারুক কক্সবাজার শহরের উত্তর নুনিয়াছড়ার বাসিন্দা নজরুল ইসলামের ছেলে।
মঙ্গলবার দুপুরের প্রথম অভিযানটি করা হয় কক্সবাজার সদরের চৌফলদন্ডি ব্রিজ সংলগ্ন নৌঘাটে। ওই সময় মাছ ধরার ইঞ্জিনের নৌকা থেকে ১৪ লাখ ইয়াবা উদ্ধার করে পুলিশ। সেখান থেকে নৌকার মালিক নুরুল ইসলাম বাবুইয়া (২৮) এবং জহিরুল ইসলাম ফারুক (৩৫)কে হাতেনাতে আটক করা হয়।
পরে জহিরের স্বীকারোক্তিতে তার শ্বশুর আবুল কালাম ও শ্যালক শেখ আবদুল্লাহকে আটক করে পুলিশ।
একই দিন রাত ৯টার দিকে তার চাচা শ্বশুর সৈয়দ আহমদের বাড়ি থেকে আরো ৩ লাখ ৭৫ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। এ সময় সৈয়দ আলমের স্ত্রী সমিরাকেও আটক করা হয়েছে।
অভিযানকালে ফারুকের মালিকানাধীন বাড়ির মাটি কুড়ে দুই বস্তা ভর্তি নগদ এক কোটি ৭০ লাখ ৬৮ হাজার ৫০০ টাকা উদ্ধার করেছে পুলিশ।
এদিকে, হঠাৎ এতগুলো ইয়াবা কোত্থেকে এলো, এমন প্রশ্ন সবার।
ফারুকের আশ্রয়দাতা শনাক্ত করে তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হবে কিনা- সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে পুলিশ সুপার বলেন, মাদক ব্যবসা একজনে হয়না। সিন্ডিকেট করেই হয়। এটাতে ফরোয়ার্ড এবং ব্যাকওয়ার্ড পন্থা থাকে। ফারুকের মাদক কারবারের নেপথ্যে আরো কয়েকজনের নাম পাওয়া গেছে। তাদেরকেও আইনের আওতায় আনা হবে।
ফারুকের মাদক বিক্রির টাকাগুলো যারা জেনেশুনে হেফাজতে রেখেছিল তাদের বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান।
স্থানীয়রা জানিয়েছে, জহিরুল ইসলাম ফারুক দীর্ঘদিন ধরে মাদক কারবারে জড়িত। তার সহযোগী নুরুল ইসলাম বাবু নিজেই নৌকা চালিয়ে গভীর সাগর থেকে চালান তুলে দিত উপকূলে। সিন্ডিকেটে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার দাবী জানিয়েছেন তারা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।