Inqilab Logo

শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪, ২১ আষাঢ় ১৪৩১, ২৮ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

গাছে গাছে আমের মুকুল

রাজশাহী ব্যুরো : | প্রকাশের সময় : ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ১২:০১ এএম

ফাল্গুন আসতে বেশ কয়দিন এখনও বাকি। শৈত্যপ্রবাহ আর কুয়াশামাখা আবহাওয়ার মধ্যে আমের রাজধানী খ্যাত বৃহত্তর রাজশাহী অঞ্চলের গাছে গাছে ফুটেছে আমের মুকুল। সপ্তাহ দুয়েক আগে থেকে পাতার ফাঁকে ফাঁকে উঁকি দিয়ে জানান দিচ্ছে আমের মুকুলের আগমনের কথা।

দিন দুয়েক আগে রাজশাহী থেকে চাপাইনববাগঞ্জ পর্যন্ত ঘোরার সময় বাগানে বাগানে দেখা যায় আম চাষীদের ব্যস্ততা। গাছের গোড়ায় পানি দেয়া আর মুকুল আসা সহায়ক বিভিন্ন ধরনের স্প্রের ব্যবহার। যেসব গাছে আগাম মুকুল এসেছে তা কুয়াশা থেকে রক্ষার জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে। চাষিরা আশা করছে আর সপ্তাহ দুয়েকের মধ্যে গাছে গাছে মুকুলের সমারোহ। আমের বনে ঘ্রাণ ছড়িয়ে মন মাতাবে। মৌ মাছিদের গুঞ্জনে মুখরিত হবে। বাগান পর্যায়ে খোঁজ নিয়ে জানা যায় যাতে মুকুল ঝরে না যায় সেজন্য চাষিরা প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। এক্ষেত্রে ব্যবহার হচ্ছে ভিটামিন আর গ্রোথ হরমোন জাতীয় ঔষধ। পোকা মাকড়ের হাত থেকে রক্ষার জন্য কীটনাশক। এসব ব্যবহার হয় সাধারণত মুকুল আসার আগে মুকুল পুরোপুরি ফুটলে ও গুটি বাঁধার পর। রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্রের হিসেবে এখন পর্যন্ত পনের শতাংশ গাছে মুকুল দেখা যাচ্ছে।

পবা এলাকা ঘোরার সময় দেখা যায় কৃষকরা গাছে গাছে স্প্রে নিয়ে ব্যাস্ত। আমচাষি সবুর আলী বলেন ভাল মুকুল আসার আশায় তারা ইসি ফিডল্যাম, সালফার, ইমডাফ্লোপ্রিড, ইমিসাফি নামের সব ঔষধ ব্যবহার করছেন। আগাম মুকুল আসায় তারা বেশি যতœ নিচ্ছেন।

রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক শামছুল হক বলেন, পোকা মাকড়ের উপদ্রব না হলে আগে ও পরে ঔষধ ব্যবহারের প্রয়োজন নেই। কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, রাজশাহী অঞ্চলে আম বাগান রয়েছে একাশি হাজার হেক্টর জমিতে। রাজশাহীতে ১৮ হাজার হেক্টর চাপাইনবাবগঞ্জে ৩১ হাজার হেক্টর নওগাঁয় ২৫ হাজার হেক্টর নাটোরে ৫ হাজার হেক্টর জমিতে। আর নওগাঁয় প্রতিবছর আম বাগানের পরিমাণ বাড়ছে অস্বাভাবিকভাবে এখন আর আমের অফইয়ার আর অনইয়ার বলে কিছু নেই। বিজ্ঞানের কল্যাণে প্রতিবছর আমের উৎপাদন হচ্ছে। ফলে জমির মালিকরা ঝুঁকে পড়েছেন আম বাগান তৈরিতে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: আম

২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ