পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজধানীর গুলশান এলাকা থেকে সেই ভারতীয় নারী আঞ্জু কাপুরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের একটি দল (সিআইডি)। গতকাল ভোরে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আঞ্জু কাপুর ভারতের ব্যাঙ্গালুরুর আরগে হেলিয়র ফ্ল্যাট নম্বর ৬০২/বি, নম্বর ৪৯/১বি হেননুর বাগলুর রোডের শুব্বিস কোঠানুরের ভিনোদ কুমার কাপুর ও বিনয় কাপুরের মেয়ে। আঞ্জু কাপুরের বিরুদ্ধে এক কোটি ৪০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গুলশান থানায় একটি মামলা রয়েছে।
সিআইডি সূত্র জানায়, মোস্তফা জগলুল ওয়াহিদের গুলশানের বাসায় গৃহপরিচারিকার কাজ করতেন আঞ্জু কাপুর। পরে মোস্তফা তাকে বিয়ে করেন। এক পর্যায়ে মোস্তফা জগলুল ওয়াহিদের মৃত্যু হয়। কিন্তু ওয়াহিদের পরিবারের অন্য সদস্যদের কাছে মৃত্যুর বিষয়টি গোপন রাখেন আঞ্জু। এরপর মোস্তফা জগলুল ওয়াহিদের নামে সিটি ব্যাংকের গুলশান থানার হিসাব নম্বর -২৭০১২১৬৫৮৪০০১ নম্বর থেকে এক কোটি ৪০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন তিনি।
সিআইডি ঢাকা মেট্রো উত্তরের বিশেষ পুলিশ সুপার মো. খালিদুল হক হাওলাদার বলেন, এ ঘটনায় মরহুম মোস্তফা জগলুল ওয়াহিদের মেয়ে মুসফিকা মোস্তফা একটি মামলা করেন। পরে সিআইডি তাকে গ্রেফতার করে।
উল্লেখ্য, গত বছরের ১০ অক্টোবর মোস্তফা জগলুলের মৃত্যু হয়। তার মৃত্যুর পর মালিকানা নিয়ে বিরোধে তার দুই মেয়ে অবস্থান নেন বাড়ির সামনে। দুদিন ধরে বাড়ির সামনে অবস্থান নেন মোস্তফা জগলুল ওয়াহিদের দুই মেয়ে মুশফিকা ও মোবাশ্বেরা। তারা বাড়িতে প্রবেশের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। ওই দুই বোন দাবি করে জানান, বাড়ির দখল বাবার দ্বিতীয় স্ত্রী আঞ্জু কাপুরের হাতে। তিনি কিছুতেই ওই বাড়িতে তাদের প্রবেশ করতে দিচ্ছেন না।
মুশফিকা গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, ১৯৮৪ সালে তার মা-বাবা গুলশানের ওই বাসাতে সংসার শুরু করেছিলেন। মুশফিকা ও মোবাশ্বেরার জন্ম ওই বাড়িতে। ২০০৫ সালে তাদের মা-বাবার বিচ্ছেদ হয়। পরে আঞ্জু কাপুর নামের এক ভারতীয়কে তাদের বাবা বিয়ে করেন। তিনি একাই এখন এই বাড়ির ভোগদখল করছেন। পরে ওই দুই মেয়েকে রাতেই সেই বাড়িতে প্রবেশ ও অবস্থান নিশ্চিত করার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। গুলশান থানার ওসিকে ওই নির্দেশ বাস্তবায়নের পাশাপাশি দুই বোনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বলা হয়। এরপর থেকে দুই মেয়ের নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।