পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দলের চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে সংগঠন সুগঠিত করে মাঠে নামার ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। গতকাল সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বেগম জিয়ার কারাবন্দীর তিনবছরে এক প্রতিবাদ সমাবেশে এই ঘোষণা দেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।
তিনি বলেন, আমার কারাবন্দী নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে বিনীতভাবে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি, আমরা এতোই দুর্ভাগা, ব্যর্থ যে, আপনাদেরকে মুক্ত করতে কোনো প্রকার ব্যবস্থা করতে পারি নাই। শুধু একটি কথা বলতে চাই, খালেদা জিয়া সারাজীবন বন্দি থাকবেন এমন কথাও বলছি না। আজকের এই প্রতিবাদ সমাবেশ বা মানববন্ধন প্রমাণ করেছেন- তিলে তিলে এই বন্ধন বড় হবে খালেদা জিয়ার মুক্তি না হওয়া পর্যন্ত। দলকে সুন্দরভাবে সুগঠিত করে ইনশাল্লাহ অচিরেই আমরা মাঠে নামবো, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করবো এবং তারেক রহমানকে আমরা দেশে ফিরিয়ে আনবো।
স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আমরা যদি গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে চাই তাহলে যুদ্ধে শামীল হতে হবে, সেই যুদ্ধ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াই হবে। সেই যুদ্ধ শ্লোগানের মধ্য সীমাবদ্ধ না। সেই যুদ্ধ শুধু আমাদের নিজেদের অবস্থান তুলে ধরার জন্য চেষ্টা না করে দেশের স্বার্থে, গণতন্ত্রের স্বার্থে খালেদা জিয়াকে বন্দি থেকে মুক্তি করতে হবে। তিনি মুক্ত হলে গণতন্ত্র মুক্তির সূচনা হয়, খালেদদা জিয়া মুক্ত হলে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিদেশে মাটিতে থাকতে হয় না। বাংলাদেশের এসে জনগনের নেতৃত্ব দিতে পারে।
তিনি বলেন, আমি বার বার বলছি, সিদ্ধান্ত নিতে হবে, আমরা আন্দোলন-সংগ্রাম করে কোনোভাবে রাজপথ ছাড়বো না। আমাদের কথায় নয় কাজে প্রমাণ করতে হবে। আমাদের রাজপথ দখলে নিতে হবে এবং সকল পথ-ঘাট জনগণের দখলে নিতে হবে। এই দুর্নীতিবাজ, ঠকবাজ, প্রতারক সরকার ঘর থেকে যাতে বেরুতে না পারে সেই পথ তৈরি করতে হবে। এমনি তারা বাক্সে মধ্যে মিশে আছে। আর ঘরে বসে বসে আবোল-তাবোল প্রতিদিনই তারা কথাই বলছে। অবজ্ঞা-তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য মানুষকে অসম্মান করে কথা বলা-এটা তাদের রোগে পরিণত হয়েছে।
গয়েশ্বর বলেন, আজকে নির্বাচন কমিশন সরকারকে খুশি করার জন্য যা ইচ্ছা তাই করছে। আপনারা যখন রাস্তায় বেরিয়েছেন করোনাকে উপেক্ষা করে আসুন এই জীবনকে শান্তিময় করার জন্য, এই জীবনকে অর্থবহ করার জন্য, এদেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ তৈরি করার জন্য আমরা যুদ্ধে শামীল হই। আমাদেরকে যা করলে সরকার ভয় পাবে, সরকার মনে করবে, সময় নাই গণতন্ত্র ফেরত দিতে হবে- সেই কাজটি করতে হবে খালেদা জিয়ার একজন কর্মী হিসেবে। এখন আমাদেরকে পরিস্কার-পরিচ্ছন্নভাবে জনগনের পক্ষে থাকতে হবে এবং রাজপথ দথল করে শেখ হাসিনাকে বিদায় দিতে হবে।
আল-জাজিরা প্রতিবেদন মিথ্যা প্রমাণ করুন: কাতারভিত্তিক আন্তর্জাতিক টেলিভিশন চ্যানেল ‘আল-জাজিরা’ বাংলাদেশ সম্পর্কে প্রকাশিত প্রতিবেদনের প্রসঙ্গ টেনে মির্জা আব্বাস বলেন, এই বছর হলো আমাদের স্বাধীনতার সূবর্ণ জয়ন্তীর বছর। আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছি, দেশ স্বাধীন করেছি এই কথা শুনার জন্য নয় যে, বাংলাদেশ একটি মাফিয়া দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে, এই কথা শুনার জন্য নয় বাংলাদেশ একটা মাফিয়া রাষ্ট্র। এই কথা আমরা আর কখনো শুনতে চাই না। আমরা বলতে চাই এই সরকারকে। আপনারা দয়া করে প্রমাণ করুন আল-জাজিরায় যা কিছু আসছে সব মিথ্যা। আমরা আপনাদের সমর্থন দেবো, আমরা আপনাদের সাহায্য করবো। প্রমাণ করেন। শুধু মুখে ফাঁকা বুলি আওড়াচ্ছে।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, তথ্য-প্রমাণ দিয়ে আপনাদেরকে প্রমাণ করতে হবে আল-জাজিরা সঠিক নয়। আল-জাজিরার খবর থেকে জনগণ মুক্তি চায়।
খালেদা জিয়ার কারাবন্দিত্বের তৃতীয়বর্ষ পূর্তিতে সারাদেশে জেলা-মহানগরে প্রতিবাদ সমাবেশের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির হিসেবে বিএনপি দক্ষিণ-উত্তরের যৌথ উদ্যোগে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এই প্রতিবাদ সমাবেশ হয়। দুই সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন ওয়ার্ড-থানাসহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের কয়েক হাজার নেতা-কর্মী এই সমাবেশে অংশ নেয়। তারা খালেদা জিয়ার ছবি সম্বলিত প্ল্যাকার্ড হাতে তার মুক্তির দাবিতে বিভিন্ন শ্লোগান দেয়।
মহানগর দক্ষিণের সভাপতি কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেলের সভাপতিত্বে ও দক্ষিণের কাজী আবুল বাশার এবং উত্তরের আবদুল আলীম নকির সঞ্চালনায় সমাবেশে বিএনপির আমানউল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, রুহুল কবির রিজভী, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, আবদুস সালাম আজাদ, আমিরুজ্জামান খান শিমুল, মহানগরের মুন্সি বজলুল বাসিত আনজু, হাবিবুর রশীদ হাবিব, এজিএম শামসুল হক, যুবদলের সাইফুল ইসলাম নিরব, সুলতান সালাহ্উদ্দিন টুকু, এসএম জাহানঙ্গীর, রফিকুল আলম মজনু, স্বেচ্ছাসেবক দলের মোস্তাফিজুর রহমান, আবদুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েল, ফখরুল ইসলাম রবিন, মহিলা দলের হেলেন জেরিন খান, কৃষক দলের হাসান জাফির তুহিন, শ্রমিক দলের মুস্তাফিজুল করীম মজুমদার, মতস্যজীবী দলের আব্দুর রহিম, ছাত্রদলের ফজলুর রহমান খোকন প্রমূখ নেতারা বক্তব্য রাখেন।#
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।