পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজধানীর পল্লবী থানা এলাকা থেকে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক সন্ত্রাসী মফিজুর রহমান মামুনকে গ্রেফতার করেছে ডিএমপির কাউন্টার টেররিজম ইনভেস্টিগেশন বিভাগ। তার বিরুদ্ধে ২৭টি মামলা, ১৫টি গ্রেফতারি পরোয়ানা ও দুটি সাজা পরোয়ানা রয়েছে। গত রোববার রাতে গ্রেফতারের পর তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে গোয়েন্দারা। সন্ত্রাসী মামুনের আপন দুই ভাই মজিবর রহমান জামিল ও মশিউর রহমান মশুর বিরুদ্ধেও একাধিক মামলা ও অভিযোগ থাকার তথ্য রয়েছে। পুলিশ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। ঢাকা মহানগর পুলিশের একজন কর্মকর্তা জানান, মামুন একসময় মিরপুরের আন্ডার ওয়ার্ল্ড নিয়ন্ত্রণ করতেন। তিনি ২০০১ সালে কিছুদিন কারাভোগের পর ২০০৪ সালে বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে ভারতে চলে যান। পাসপোর্ট জালিয়াতি ও অনুপ্রবেশের অভিযোগে তিনি ২০০৮ সালে ভারতে গ্রেফতার হন এবং ১০ বছর সাজা ভোগ করেন। কারাভোগ শেষে ভারতে বসেই মামুন বিদেশে অবস্থানরত মিরপুরের অপর শীর্ষ সন্ত্রাসী ইব্রাহিম ও সাহাদাত বাহিনীর প্রধান সাহাদাতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ও সমন্বয়ের মাধ্যমে ঢাকার মিরপুর এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব প্রতিষ্ঠা করার জন্য তৎপর হন।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, রাষ্ট্রবিরোধী একটি সন্ত্রাসী চক্র টার্গেট কিলিং ও ব্যাপক সহিংসতা সৃষ্টির মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীল করার উদ্দেশ্যে চোরাবাজার থেকে অবৈধভাবে আগ্নেয়াস্ত্র সংগ্রহের চেষ্টা করছে ডিএমপির কাউন্টার টেররিজম ইনভেস্টিগেশন বিভাগের কাছে এই খবর ছিল। এর ভিত্তিতে ওই চক্রকে ধরতে অভিযান শুরু করে পুলিশ। রোববার সকাল ৬টা ৪০ মিনিটের দিকে পল্লবীর বাইতুন নুর জামে মসজিদের পাশের রাস্তা থেকে সন্দেহভাজন হিসেবে এক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়। প্রাথমিক তদন্ত ও জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃত ব্যক্তি শীর্ষ সন্ত্রাসী ও যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ফেরারি আসামি মফিজুর রহমান মামুন বলে জানা যায়। তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, খুন, মাদক, অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহার ও ডাকাতির অভিযোগে পল্লবী থানায় ২৭টি মামলা, ১৫টি গ্রেফতারি পরোয়ানা ও দুটি সাজা পরোয়ানার তথ্য পাওয়া যায়।
ওই সূত্র আরো জানায়, মামুন বিভিন্ন সময়ে প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ীদের ফোন করে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে চাঁদা দাবি করতেন। অপরাধজগতে তার অবস্থানকে সুসংহত করতে স¤প্রতি তিনি ভারত থেকে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।