পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চট্টগ্রামের আনোয়ারায় গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্য পরিচয়ে একজনকে তুলে নিয়ে জিম্মি করে টাকা আদায়ের অভিযোগে পুলিশের ছয় কনস্টেবলকে গ্রেফতারের পর কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এরা চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) এসএএফ শাখায় কর্মরত বলে জানা গেছে। রোববার সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শিপলু কুমার দের আদালতে হাজিরের পর তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশের পরিদর্শক (প্রসিকিউশন) মো. হুমায়ন কবির।
ছয় কনস্টেবল হলেন আব্দুল নবী, এসকান্দর হোসেন, মনিরুল ইসলাম, শাকিল খান, মো. মাসুদ এবং মোর্শেদ বিল্লাহ। এদের বাড়ি চট্টগ্রাম জেলায়। ছয়জনের মধ্যে মোর্শেদ বিল্লাহ সিএমপি কমিশনার সালেহ মো. তানভীরের দেহরক্ষী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তবে বিভিন্ন অভিযোগ ওঠার পর দুইমাস আগে তাকে বদলি করে এসএএফ শাখায় পাঠানো হয়। গ্রেফতারের পর ছয়জনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
ঘটনার শিকার ব্যক্তি মো. আব্দুল মান্নান চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার পূর্ব বৈরাগ গ্রামের বাসিন্দা। রোববার তিনি আনোয়ারা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গত ৩ ফেব্রুয়ারি গভীর রাতে চারটি মোটর সাইকেলে করে আটজন লোক তাদের বাড়িতে যায়। ডিবি পরিচয়ে তাকে একটি মোটরসাইকেলে তুলে পটিয়া উপজেলার ভেল্লাপাড়া ব্রিজের পূর্বপাশে কৈয়গ্রাম রাস্তার মাথায় একটি চা দোকানে নিয়ে যায়।
সেখানে গিয়ে তারা জানায়, মান্নানের বিরুদ্ধে ডিবিতে অভিযোগ আছে। এর থেকে অব্যাহতি পেতে হলে তাকে ১০ লাখ টাকা দিতে হবে। রাতভর দর কষাকষির পর ভোর ৫টার দিকে আত্মীয়ের মাধ্যমে এক লাখ ৮০ হাজার ৫০০ টাকা এনে তাদের হাতে দেন মান্নান। এরপর তারা মান্নানকে সেখানে রেখে চলে যায়। রোববার আব্দুল মান্নান মামলা দায়েরের পর আনোয়ারা থানা পুলিশ নগরীতে অভিযান চালিয়ে ছয় কনস্টেবলকে গ্রেফতার করে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।