বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ঘড়ির কাটায় তখন রাত ঠিক তিনটা। হিমেল হাওয়ার মাঝে ঘন কুয়াশার চাঁদরে মোড়ানো চারিদিক। এসময় নবজাতক কন্যা শিশুর জন্ম দিয়ে হাসপাতালের শয্যায় রক্ত শূন্যতায় কাতরাচ্ছিলেন লিজা আক্তার নামে এক প্রসুতি মা। ডাক্তার বলছিলেন রক্ত না পেলে বাচানো সম্ভব নয়। যন্ত্রনাসিক্ত প্রিয়জনকে বাঁচাতে কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে এদিক সেদিক ছোটাছুটি করছিলেন স্বজনরা। কোথাও রক্তের সন্ধ্যান পাচ্ছিলেন না আপন মানুষগুলো। এমন সময় কলাপাড়া থানার টহলরত পুলিশ সদস্যরা এসে পৌঁছায় হাসপাতালের সামনে। তাদের জানানো হয় (এ পজেটিভ) রক্তের অভাবে জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষনে লড়াই করছেন সদ্য জন্ম দেয়া এক শিশুর মা।
ঠিক তখন’ই রক্ত দানে এগিয়ে আসেন মানবিক পুলিশ সদস্য রুবেল মাদবর। কোন ধরনের প্রস্তুতি ছাড়াই কালক্ষেপন না করে ওই মাকে রক্ত প্রদান করেন। আর এতেই শারিরিক সুস্থতা ফিরে পান ওই মা। এসময় পুলিশের এমন অনন্য মানবিকতায় অশ্রæসিক্ত হন উপস্থিত অনেকই। শ্রদ্ধার সাথে সাধুবাদ জানান হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসকসহ সেবিকারা।
ওই গৃহবধূর শাশুড়ি শামছুর নাহার বলেন, শুক্রবার রাত ১২ টায় পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার ধানখালী ইউনিয়নের লোন্দা গ্রামের নিজ বাড়িতে একটি ফুট ফুটে কন্যা সন্তান’র জন্ম দেয় লিজা আক্তার (১৮)। পরে সে গুরুতর অসুস্থ্য হয়ে পরলে স্বজনরা তাকে কলাপাড়া হাসপাতালে নিয়ে আসলে এমন বিস্ময়কর ঘটনা ঘটে।
কলাপাড়া হাসপাতালের চিকিৎসক ডা.জুনায়েদ খান লেলিন জানান,ওই রাতে রোগীর অবস্থা শঙ্কাজনক ছিলো। প্রচুর রক্ত ক্ষরন হয়েছে। সেই মূহুর্তে রক্ত না দিলে তাকে বাচানো যাতে ন।
কলাপাড়া থানা পুলিশের সদস্য রুবেল মাদবার জানান, ঘটনার রাতে আমাদের টিমের সাথে হাসপাতালের সামনে ছিলাম। এসময় একজন রক্তের সন্ধ্যান করছিলেন। তার কথা শুনে পুলিশ হিসেবে নয়, একজন মানুষ হিসেবে শিশুটির কথা ভেবে ওই মাকে রক্ত দেই। যাই হোক আল্লাহ এখন মা এবং মেয়েকে সুস্থ রেখেছেন। আমি এতেই খুশি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।