প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
উচ্চ আদালতের রায় উপেক্ষা করে আবারও শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদকের চেয়ারে বসেছেন চিত্রনায়িকা নিপুণ। গত শনিবার এফডিসিতে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির কার্যালয়ে কার্যকরি পরিষদের মিটিং অনুষ্ঠিত হয়। এ মিটিংয়ে নিপুণ উপস্থিতি ছিলেন এবং সাধারণ সম্পাদকের পদে বসে মিটিং পরিচালনা করেন বলে জানা যায়। মিটিংয়ে সমিতির সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন উপস্থিত ছিলেন। মিটিংয়ের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করে সহ-সাধারণ সম্পাদক সাইমন সাদিক লিখেছেন, কার্যকরী পরিষদের মিটিং। এ নিয়ে সমিতির কার্যকরী পরিষদের অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। সমিতির সিনিয়র সহ-সভাপতি মনোয়ার হোসেন ডিপজলসহ অন্যান্যরা এ মিটিংয়ের খবর জানতেন না। তাদের জানানোও হয়নি। এ ব্যাপারে ডিপজলের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি অনেকটা ক্ষুদ্ধ হয়ে বলেন, সমিতি নিয়ে যা হচ্ছে, তা খুবই লজ্জার বিষয়। ইতোমধ্যে আমি বারবার বলেছি, আইনের ঊর্ধ্বে কেউ নয়। সাধারণ সম্পাদক পদে আদালত যার পক্ষে রায় দেবে তাকে আমরা সবাই মেনে নেব। দেখা যাচ্ছে, আদালতের রায় উপেক্ষা করে কেউ কেউ সাধারণ সম্পাদক পদে বসে মিটিং করছেন। মিটিংয়ের খবর আমাদেরকেও জানানো হয়নি। আদালতে বিচারাধীন এবং মিমাংসা না হওয়া পর্যন্ত সাধারণ সম্পাদক পদের কেউ যদি এভাবে বারবার আদালতের রায় অবজ্ঞা করে, তাহলে আর কি বলার থাকতে পারে! সভাপতি হিসেবে ইলিয়াস কাঞ্চনেরও দায়িত্ব রয়েছে। তিনি আমাদের সমিতির অভিভাবক। তিনি কিভাবে পারলেন আদালতে মিমাংসা না হওয়া পর্যন্ত একজনকে সাধারণ সম্পাদক পদে বসিয়ে মিটিং করতে? তিনি আদালতের চূড়ান্ত রায় পর্যন্ত অপেক্ষা করতে পারতেন। মিটিং যদি করতেই হয় গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, তিনি সহ-সাধারণ সম্পাদককে দিয়ে মিটিং করে সমিতির কার্যক্রম চালাতে পারেন। আদালতের স্থগিতাদেশ থাকা সত্ত্বেও অন্য আরেক জন সাধারণ সম্পাদক দিয়ে তার মিটিং করা উচিৎ হয়নি। এ ব্যাপারে তিনি একজন উকিলের সাথে আলাপ করতে পারতেন। ডিপজল বলেন, সমিতির এমন কর্মকাণ্ডে ব্যক্তিগতভাবে আমি বিরক্ত। এ নিয়ে আর কথা বলতে চাই না। উল্লেখ্য, চিত্রনায়ক জায়েদ খান ও চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তারের মধ্যে সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে আইনি লড়াই চলছে। চূড়ান্ত রায় না হওয়া পর্যন্ত কেউই সাধারণ স¤পাদকের চেয়ারে বসতে পারবেন না বলে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। অভিযোগ রয়েছে, আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে নিপুণ বেশ কয়েকবার সাধারণ সম্পাদকের চেয়ারে বসেন। আদালতে নিপুণের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ করেন জায়েদ খান। তার পরিপ্রেক্ষিতে, সাধারণ সম্পাদক পদে স্থিতাবস্থার আদেশ কঠোরভাবে পালন করতে জায়েদ খান ও নিপুণ আক্তারকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্টের আপিল বিভাগ। গত ১৪ মার্চ নিপুণের বিরুদ্ধে আনা আদালত অবমাননার অভিযোগ শুনানি শেষে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এই আদেশ দেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।