বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
কালকিনি উপজেলায় পা রাখার পরেই যে’সব উন্নয়ন দেখে কালকিনি উপজেলাকে একটি উন্নত সমৃদ্ধ উপজেলা হিসেবে আখ্যা দেয়া হয় তার বেশির ভাগ উন্নয়নই হয়েছে মূলত মাদারীপুর-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ.ফ.ম বাহাউদ্দিন নাছিমের মাধ্যমে। শত বছরে যে উন্নয়ন হয়নি তা ৫বছরে সম্ভব হওয়ায় কালকিনিবাসীর কাছে আ.ফ.ম বাহাউদ্দিন নাছিম একটি উন্নয়নের ম্যাজিকের নাম। আর একারণে তাকে আধুনিক কালকিনির উন্নয়নের রুপকার বলা হয়। তার মতো উন্নয়নের মনোভাবের নেতাকে মাদারীপুর-৩ আসনে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন দিয়ে এবং সংসদ সদস্য নির্বাচিত করায় সারা বাংলার উন্নয়নের জাদুকর সফল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য প্রাণভরে দোয়া করছে কালকিনিবাসী।
উন্নয়ন চিত্র-জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য আ.ফ.ম বাহাউদ্দিন নাছিমের আমলে একটি সু-সর্জ্জিত ভবন নির্মান করা হয়। যা এখন দৃশ্যমান এবং উদ্বোধনের অপেক্ষায় রয়েছে। কালকিনিতে কোন শহীদ মিনার ও স্বাধীনতার স্তম্ভ ছিলনা। কিন্তু আ.ফ.ম বাহাউদ্দিন নাছিম তা প্রতিষ্ঠা করেন। কালকিনির শহর এলাকায় বিদ্যুতের আওতায় থাকলেও প্রত্যান্ত অঞ্চলের গ্রামগুলো ছিল বিদ্যুৎ বঞ্চিত। তাই তাদের জীবনে লাগেনি আধুনিকায়নের ছোঁয়া। কিন্তু আ.ফ.ম বাহাউদ্দিন নাছিম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে আসার পরে প্রথমেই তিনি এটি অনুধাবন করেন। যেখানে বিদ্যুৎ সংযোগ পাওয়া ছিল সাধারন মানুষের কাছে এক প্রকার স্বপ্নের মতো। সেখানে আ.ফ.ম বাহাউদ্দিন নাছিম উন্নয়নের ম্যাজিকে মিলে যায় বিদ্যুৎ সংযোগ। গ্রামের পর গ্রাম হয় আলোকিত। বদলে যায় জীবন যাত্রার মান। স্বাধীনতার পর থেকে কালকিনির বিদ্যুতায়নে যে উন্নয়ন হয়েছে আ.ফ.ম বাহাউদ্দিন নাছিমের ৫বছরের মেয়াদে তার থেকে ৫/৬গুন বেশি উন্নয়ন হয়েছিল। আর এজন্য আলোকিত গ্রামের মানুষ জননেত্রী শেখ হাসিনাকে দোয়া করে আ.ফ.ম বাহাউদ্দিন নাছিমের মতো নেতা কালকিনিতে পাঠিয়েছিলেন বলে। স্বাধীনতার পর থেকে কালকিনিতে কোন ফায়ার সার্ভিস প্রতিষ্ঠা করা হয়নি। ফলে প্রতি বছর কোটি কোটি টাকার সম্পদ আগুনে পুড়ে যায়। তৎকালিন সংসদ সদস্য আ.ফ.ম বাহাউদ্দিন নাছিম এটি অনুধাবন করেন আর ফায়ার সার্ভিস প্রতিষ্ঠা করেন। যা এখন দৃশ্যমান এবং উদ্বোধনের অপেক্ষায়। কালকিনি উপজেলা পরিষদ চত্তরে যে ৪তলা বিশিষ্ট বৃহৎ ভবন নির্মানের শেষ পর্যায়ে তাও সাবেক সংসদ সদস্য আ.ফ.ম বাহাউদ্দিন নাছিম এর অবদান। উপজেলা পরিষদের বিশেষ অডিটরিয়াম তা আ.ফ.ম বাহাউদ্দিন নাছিম এর অবদান। কালকিনি উপজেলার প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য ভবন নির্মান জরুরী হয়ে উঠেছিল। কিন্তু আ.ফ.ম বাহাউদ্দিন নাছিম এটি বুঝতে পেরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে বহুতল বিলাশ বহুল ভবন নির্মানের ব্যবস্থা করেছেন। যা এখন দৃশ্যমান এবং অনেক ক্ষেত্রে তা উদ্বোধনের অপেক্ষায় রয়েছে। ক্রীড়া প্রেমী আ.ফ.ম বাহাউদ্দিন নাছিম কালকিনি বাসীর খেলাধুলার জন্য প্রতিষ্ঠা করেছেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের নামে ‘ শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম। আর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাঠগুলো ভরাট ও খেলার উপযোগি করে গড়ে তুলে ছিলেন। কালকিনিবাসী যাতে যাতায়াতে কোন প্রকার ভোগান্তির শিকার না হয় তার জন্য আ.ফ.ম বাহাউদ্দিন নাছিম যোগাযোগ ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নয়ন করেছিলেন। আজ যে কালকিনি-ভূরঘাটা-কূলপদ্দি সড়ক এখন তেল তেলে অবস্থা সেটি কিন্তু এমন ছিলনা। উক্ত সড়কের বরাদ্দ কেটে দেয়া হয়েছিল। কিন্তু জনতার নেতা আ.ফ.ম বাহাউদ্দিন নাছিম সংসদে এনিয়ে তুমুল জোড়ালো বক্তব্য দিয়ে বরাদ্দ ফেরৎ দেয়ার দাবী জানায়। আর আ.ফ.ম বাহাউদ্দিন নাছিম ম্যাজিকে অর্থ ফের বরাদ্দ হয় এবং কালকিনিবাসী পায় সুন্দর সড়ক। গ্রামে গঞ্জে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে তার অবদানের সড়ক। যার সুফল ভোগ করছে কালকিনিবাসী। কালকিনি আওয়ামীলীগ ও সহযোগি অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দদের দলের কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য তিনি উপজেলা আওয়ামীলীগের দ্বিতল ভবনের কাজ সম্পন্ন করেছেন ব্যক্তিগত অর্থদিয়ে এবং আসবাব পত্র সহ অন্যান্য জিনিস পত্রও কিনে দিয়েছেন ব্যক্তিগত অর্থ দিয়ে। অন্যদিকে কৃষি বিভাগে রয়েছে হাজারো উন্নয়নের চিত্র।
হয়তো একারণেই এখনো কালকিনির রাজপথে প্রতিদিনই বেঁজে ওঠে একটি শ্লো-গান ‘ রক্তে ভেজা নাছিম ভাই-আমরা তোমায় ভূলিনাই।’ ‘ উন্নয়নের নাছিম ভাই-আমরা তোমায় ভূলি নাই।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।