পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
শীতের স্নিগ্ধ সকালে ফোঁটা ফোঁটা শিশির বিন্দু আর সরিষা ফুলের মেলা। ফসলের সবুজ মাঠ ঢেকে গেছে হলুদ চাদরে। দূরে গ্রামের সবুজ গাছপালা যেন অনেকটা ব্যারিকেড দিয়ে হলুদ চাদরকে রেখেছে। যে দিকে চোখ যায় শুধু হলুদ আর হলুদ। দূর থেকে মনে হয় কেউ বাসন্তী রঙের শাড়ি গায়ে জড়িয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
মাঠে সরিষা ফুল মানেই এ রূপ চিরায়ত রূপসী বাংলার। চির সবুজের বুকে এ যেনো কাঁচা হলুদের আলপনা। হলুদ রঙে ভরে ওঠে পথিকের মন। এছাড়া আছে মাঠজুড়ে সরিষা ফুলের মৌ মৌ ঘ্রাণ। সেই গন্ধের টানে ছুটে আসে মৌমাছির পাল। এমন নয়নাভিরাম দৃশ্য পাল্টে দিয়েছে ফসলি মাঠের চিত্র। অনেকে সরিষা ক্ষেতের বর্ণিল দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করে রাখছেন। চট্টগ্রামের মীরসরাই উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে পথ চলতে সাবার চোখ আটকে যায় সরিষা ক্ষেতের বাহারি দৃশ্যে।
উপজেলার কৃষি বিভাগ বলছে, এবার ৫৫ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে। যা গত বছরের তুলনায় ১৫ হেক্টর বেশি। ধান বা অন্য ফসলের তুলনায় লাভজনক হওয়ায় কৃষকরা দিন দিন সরিষা চাষের দিকে ঝুঁঁকছেন। মীরসরাইয়ে উপজেলায় ১ নম্বর করেরহাটে ১০ হেক্টর, ২ নম্বর হিঙ্গুলীতে ১২ হেক্টর, ৮ নম্বর দুর্গাপুরে ১০ হেক্টর জমিতে বেশি সরিষার চাষ হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নে সরিষা ফুলের হলুদ রঙে অপরূপ শোভা ধারণ করেছে মাঠঘাট। দূরন্ত শিশুরা আনন্দে আত্মহারা হয়ে ছুটোছুটি করছে। মাঠে পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। সরিষার ফুলের চারপাশে বেড়েছে মৌমাছির আনাগোনা।
এ বিষয়ে মীরসরাই উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের পাল গ্রামের কৃষক মোহম্মদ ইউছুফ বলেন, ‘এবার এক একর জমিতে সরিষা আবাদ করেছি। বেশ ভালো ফুল ধরেছে। আশা করা যায় ফলন ভালো হবে।’ উপজেলার আজমপুর গ্রামের কৃষক সোহেল মিয়া বলেন, ‘আমি এক একর জমিতে সরিষার চাষ করেছি। মাঠে বেশ ফুল ফুটেছে। আশা করছি ফলন ভালো হবে। সরিষা ধানের চেয়ে বেশি লাভজনক হওয়ায় প্রতিবছরের মতো এবারও আবাদ করেছি।’
মীরসরাই উপজেলা কৃষি উপ-সহকারি কাজী নুরুল আলম ইনকিলাবকে বলেন, মীরসরাই উপজেলায় চলতি মৌসুমে ৫৫ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে। যা গত বছরের তুলনায় ১৫ হেক্টর বেশি। কৃষকদের মাঝে ভালো মানের বীজ ও সার সরবরাহ করা হয়েছে। পাশাপাশি সরিষা চাষে নিয়মিত পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। এখন পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে রয়েছে। তবে আবহাওয়ার আচরণ বিরুপ না হলে এবার সরিষার ভালো ফলন হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।