Inqilab Logo

শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

মুসলমানরা কুরআন-হাদিস থেকে দুরে সরে যাওয়ায় সারা বিশ্বে নিগৃহীত ও অপদস্থ হচ্ছে- আল্লামা হাসিবুর রহমান

কক্সবাজার ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ১১:৩২ পিএম

বিশিষ্ট আলেমে দ্বীন মুফাসসীরে কুরআন আল্লামা হাসিবুর রহমান বলেন, মুসলমানরা কুরআন-হাদিস থেকে দুরে সরে যাওয়ায় সারা বিশ্বে নিগৃহীত ও অপদস্থ হচ্ছে। মুনাফিকরা কাফের মুশরিকদের চেয়েও আল্লার কাছে ঘৃণিত। তারা সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। উখিয়ার গয়ালমারা ইসলামী সমাজ কল্যাণ পরিষদ আয়োজিত দুইদিন ব্যাপী তাফসীর মাহফিলের সমাপনী দিবসে প্রধান মুফাসসিরের বক্তব্যে মাওলানা হাসিবুর রহমান একথা বলেন।

তিনি বলেন, যারা কুরআনের সাথে থাকেন আল্লাহ তাদের সম্মানিত করেন। আর যারা কুরআনের বিরোধিতা করেন আল্লাহ তাদের অপদস্থ করেন।অতীতে মুসলমানরা কুরআনকে আকড়ে ধরে সম্মানিত ছিল। গোটা বিশ্ব শাসন করেছিল। আজ মুসলমানরা কুরআন-হাদিসের আমল থেকে দুরে সরে যাওয়ায় সারা বিশ্বে নিগৃহীত ও অপদস্ত হচ্ছে। কুরআনে চার প্রকার মানুষের উল্লেখ করা হয়েছে। মুমিন, মুশরিক, মুলহিদ (নাস্তিক) ও মুনাফিক। মুমিনের পরিনতি জান্নাত। মুশরিক ও নাস্তিকের পরিনতি জাহান্নাম। কিন্তু মিনাফিকের ঠিকানা হবে জাহান্নামের শেষ তবকায়। শয়তান মুসলমানের সন্তানদের কাফের বানানোর চেয়ে মুনাফিক বানাতে চায় বেশী। যুগেযুগে এই মুনাফিকরাই ইসলামের বেশী ক্ষতি করেছে। মুনাফিকরা আল্লাহর কাছে কাফের মুশরিকদের চেয়েও ঘৃণিত। মুনাফিকদের ১৫ টি বড় বড় আলামত আছে। যারা দুমুখী স্বভাবের তারা মুনাফিক। তারা প্রতারক ও ধোঁকাবাজ। এরা সুবিধাবাদী-যেদিকে সুবিধা সেদিকে চলে। এই প্রকৃতির সুবিধাবাদী মানুষ গুলো সমাজের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এই লোক গুলো লোকদেখানো কাজ করে। বলে এক আর করে আরেক। এই লোক গুলোই ক্ষমতা পেলে সমাজে বিশৃঙ্খলা বা ফাসাদ সৃষ্টি করে। এরা সন্ত্রাস করে অশান্তি সৃষ্টি করে। এরা সমাজের সম্মানিত মানুষ গুলোকে অসম্মানিত করে।

মাওলানা জামাল উদ্দিন গাজী বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান অনস্বীকার্য। তিনি বলেন, দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য সংসদে কোরআনের আইন সংসদে পাশ করার প্রস্তাব করেন। মাহফিলের শেষ অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন, মাওলানা কবির আহমদ।

আলোচনায় অংশ নেন মুহাদ্দিস মাওলানা জামাল উদ্দিন গাজী, মাওলানা আব্দুল করিম।

মাহফিলে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, রত্মাপালং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান খাইরুল আলম চৌধুরী, রত্মাপালং ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল কবির চৌধুরী, সাংবাদিক শামসুল হক শারেক, মেম্বার মীর আহমদ চৌধুরী, স্থানীয় আওয়ামীগ নেতা সিরাজুল কবির চৌধুরী, আলহাজ্ব আহমদ কবির সওদাগর, সাবেক মেম্বার মাহমুদুল হক চৌধুরী, সৈয়দ হোসাইন চৌধুরী, আলহাজ্ব শাহাব উদ্দিন, ডা. মোহাম্মদ আলম ও হুমায়ুন কবির চৌধুরী সুজন।

দুইদিন ব্যাপী এই মাহফিল পরিচালনা করেন যৌথভাবে গয়ালমারা দাখিল মাদরাসার সুপার মাওলানা দিল মোহাম্মদ, মাহফিল আয়োজক কমিটির সভাপতি শামসুল আলম ভুট্টো ও হাফেজ সেলিম বিন আহমদ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: কক্সবাজার


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ