পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশের অধিকাংশ এলাকায় তীব্র, মাঝারি ও মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। সেই সাথে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়েছে বিস্তীর্ণ শহর-গ্রাম-জনপদ। শীত-কুয়াশার ঘোরে উত্তর ও পশ্চিম, দক্ষিণ-পশ্চিম, দক্ষিণাঞ্চল, সিলেট, মধ্যাঞ্চলসহ দেশের অনেক এলাকায় স্বাভাবিক জীবনযাত্রা দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে। মাঘের তৃতীয় সপ্তাহে এসে দিনের তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তি থাকলেও রাতের পারদ নিচে রয়েছে।
আজ বুধবার থেকে ধীরে ধীরে বাড়তে পারে রাত ও দিনের তাপমাত্রা। এদিকে চলতি ফেব্রæয়ারি (মাঘ-ফাল্গুন) মাসের দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে দেশের অনেক অঞ্চলে শৈত্যপ্রবাহ এবং শিলাবৃষ্টি, বজ্র্রপাত-বজ্রঝড়ের সতর্কতা দেয়া হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল দক্ষিণ-পশ্চিমের চুয়াডাঙ্গায় ৬.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া শ্রীমঙ্গলে ৬.৬, তেঁতুলিয়ায় ৬.৭, রাজশাহীতে ৬.৯, কুড়িগ্রামের রাজারহাটে ৭ ডিগ্রি সে. ছিল সর্বনিম্ন পারদ। ঢাকার তাপমাত্রা সর্বোচ্চ ২৫.৪ এবং সর্বনিম্ন ১১.৭ ডিগ্রি সে.। চট্টগ্রামে ২৪.৮ এবং ১১.২ ডিগ্রি সে.। উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে হিমালয় হয়ে আসা ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে হিমেল কনকনে হাওয়া এবং মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশায় শৈত্যপ্রবাহ অসহ্য কাঁপন তুলেছে সমগ্র দেশে।
আবহাওয়া বিভাগ জানায়, উপ-মহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের একটি বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও এর সংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এরফলে শীত-কুয়াশা বিস্তার লাভ করেছে। হিমেল হাওয়ার সাথে কুয়াশা, হালকা নিচু মেঘের ভেলা ও বাতাসে অধিক হারে জলীয়বাষ্পের কারণে দিনের বেলায় রোদের তেজ মাটিতে কমই পড়ছে। বেড়েছে শীতের তীব্রতা।
আজ বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়া পূর্বাভাসে জানা গেছে, সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা এক থেকে ২ ডিগ্রি সে. বৃদ্ধি পেতে পারে।
রাজশাহী, রংপুর ও বরিশাল বিভাগ এবং টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, ময়মনসিংহ, স›দ্বীপ, সীতাকুন্ড, রাঙ্গামাটি, কুমিল্লা, ফেনী, হাতিয়া, শ্রীমঙ্গল, সাতক্ষীরা, যশোর, কুষ্টিয়া অঞ্চলসমূহের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। আজ এই শৈত্যপ্রবাহ কিছু কিছু এলাকায় প্রশমিত হয়ে কিছুটা বাড়তে পারে তাপমাত্রা।
অস্থায়ীভাবে আকাশ আংশিক মেঘলাসহ সারাদেশে আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত নদ-নদী অববাহিকায় মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা এবং দেশের অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।
পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় রাত ও দিনের তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। এরপরের ৫ দিনে আবহাওয়ায় সামান্য পরিবর্তন আসতে পারে।
শিলাবৃষ্টি, বজ্র্রপাত-বজ্রঝড়ের সতর্কতা-
চলতি ফেব্রুয়ারি (মাঘ-ফাল্গুন) মাসের প্রথম দুই সপ্তাহের মধ্যে দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের উপর দিয়ে এক থেকে ২টি মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ (সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬ থেকে ১০ ডিগ্রি সে.) বয়ে যেতে পারে। এ মাসের শেষ দুই সপ্তাহের মধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে এক থেকে ২দিন শিলাবৃষ্টি ও বিজলী চমকানোসহ বজ্র্রপাত-বজ্রঝড় সংঘটিত হতে পারে।
আবহাওয়া বিভাগ উক্ত দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাস দিয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার চলতি ফেব্রুয়ারি (মাঘ-ফাল্গুন) মাসের দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাস প্রদানের লক্ষ্যে আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঝড় সতর্কীকরণ কেন্দ্র ঢাকায় অনুষ্ঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটির সভায় উপরোক্ত পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। এতে সভাপতিত্ব করেন আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক ও বিশেষজ্ঞ কমিটির চেয়ারম্যান সামছুদ্দিন আহমেদ।
পূর্বাভাসে আরও জানা গেছে, ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম পনেরো দিনে দেশের নদ-নদী অববাহিকা ও অন্যত্র সকালের দিকে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। এ মাসে স্বাভাবিকের চেয়ে কম বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। গেল জানুয়ারি (পৌষ-মাঘ) মাসে সারাদেশে সার্বিকভাবে স্বাভাবিকের চেয়ে গড়ে ৯৭.৭ শতাংশ কম অর্থাৎ বলতে গেলে তেমন বৃষ্টিপাতই হয়নি। গত ডিসেম্বর মাসেও সারাদেশে সার্বিক বৃষ্টিপাত ছিল স্বাভাবিকের চেয়ে ৯৮.৮ শতাংশই কম। পশ্চিমা ও পূবালী বায়ুর প্রভাব ও সংযোগ না থাকায় দেশব্যাপী অনাবৃষ্টি অবস্থা বিরাজ করে পরপর দুই মাসে।
গেল জানুয়ারি মাসের আবহাওয়া পরিস্থিতি পর্যালোচনায় গতকাল বিশেষজ্ঞ কমিটির সভায় জানানো হয়, গত মাসে দেশের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে যথাক্রমে গড়ে ০.১ এবং ০.৬ ডিগ্রি সে. বেশিই ছিল। উপ-মহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ বাংলাদেশের পশ্চিমাঞ্চল পর্যন্ত বিস্তার লাভ করার ফলে ১ থেকে ৩, ১৩ থেকে ১৮ জানুয়ারি রংপুর ও রাজশাহী বিভাগ, যশোর ও কুষ্টিয়া অঞ্চলে মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ এবং ২৮-৩১ জানুয়ারি কুড়িগ্রাম ও রাজশাহী অঞ্চলে তীব্র শৈত্যপ্রবাহসহ দেশের উত্তর-পশ্চিম ও বিভিন্ন অঞ্চলে মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যায়। এ সময় গত ৩১ জানুয়ারি কুড়িগ্রামের রাজারহাটে ৫.৫ ডিগ্রি সে.। যা চলতি মওসুমে এ যাবত সর্বনিম্ন তাপমাত্রার রেকর্ড।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।