Inqilab Logo

মঙ্গলবার ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মিয়ানমারে ক্ষমতার পরিবর্তনে রোহিঙ্গারা খুশী

কক্সবাজার ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ৮:৫২ পিএম

মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চিকে আটকের পর ক্ষমতা নিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী। সেনা অভ্যুত্থানের ঘটনায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় উদ্বেগ প্রকাশ করে নিন্দা জানালেও সেনা অভ্যুত্থান ও অং সান সুচির আটকের খবরে খুশি বাংলাদেশের উখিয়া টেকনাফে আশ্রিত রোহিঙ্গারা।

সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) সেনা অভ্যুত্থানের খবর প্রচারের পর দুপুর থেকে কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে বিভিন্ন স্থানে আনন্দ মিছিল হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এমনকি রোহিঙ্গারা নিজেদের মধ্যে মিষ্টি মুখ করিয়েছে বলে জানা গেছে।

রোহিঙ্গা নেতা হামিদ হোসেন সহ কয়েকজন বলেন, সোমবার সকালে অং সান সুচি সেনাবাহিনীর হাতে আটক হয়েছে এ ধরনের খবরে ক্যাম্পের রোহিঙ্গাদের বেশিরভাগই রোহিঙ্গা ও মিয়ানমার ভিক্তিক গণমাধ্যমে চোখ রাখতে থাকে।

দুপুরের দিকে অং সান সু চি আটক ও সেনাবাহিনীর ক্ষমতা গ্রহণের খবর নিশ্চিত হলে তারা উল্লাসে ফেটে পড়ে।ক্যাম্পের অনেক জায়গায় বিচ্ছিন্নভাবে আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ করা হয়।

হামিদ হোসেন ও সাধারণ রোহিঙ্গাদের মতে, অং সান সু চির কারণে আজ রোহিঙ্গারা গণহত্যার শিকার হয়েছে, মিয়ানমার থেকে এক কাপড়ে বিতাড়িত হয়েছে। অথচ একটা সময় রোহিঙ্গারা মনে করতো সুচি ক্ষমতায় এলে তাদের ভাগ্য পরিবর্তন হবে। নাগরিক অধিকার নিশ্চিত হবে। কিন্তু হয়েছে তার উল্টো।

তবে অং সান সু চির পতনে আনন্দিত হলেও অভ্যুত্থানের মধ্যদিয়ে সেনাবাহিনীর ক্ষমতা গ্রহণে রোহিঙ্গারা কোন ধরনের লাভবান হবে না বলেও মন্তব্য করেন সাধারণ রোহিঙ্গারা।

উখিয়া কুতুপালং ক্যাম্পের পাশ্ববর্তী স্থানীয় বাসিন্দা নুরুল বশর জানান, সুচির আটকের খবরে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এক প্রকার ঈদের আমেজ বিরাজ করছে। তবে প্রশাসনের কড়াকড়ির কারণে রোহিঙ্গারা সেভাবে হয়তো জড়ো হয়ে উল্লাস প্রকাশ করতে পারছেনা।

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আনন্দ মিছিলের বিষয়ে জানতে চাইলে ৮ আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অধিনায়ক শিহাব কাইসার খান বলেন, মিয়ানমারে অভ্যুত্থানের খবরে রোহিঙ্গারা ক্যাম্পে জড়ো হতে পারে এমন আশঙ্কা থেকে এপিবিএন সতর্ক রয়েছে। এ কারণে রোহিঙ্গারা জড়ো হতে পারেনি।

তবে রোহিঙ্গারা ক্যাম্পের ভিতরে নিজেদের মতো করে আনন্দ উল্লাস করেছে হয়তো। যা তাদের নজরে আসেনি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: কক্সবাজার


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ