পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিএনপির সংসদ সদস্য জি এম সিরাজের বক্তব্যকে কেন্দ্র করে জাতীয় সংসদের অধিবেশনে উত্তাপ ছড়িয়ে পড়ে। তার বক্তব্যের প্রতিবাদে হৈ চৈ করে, টেবিল চাপড়িয়ে প্রতিবাদ জানায় সরকারি দলের সংসদ সদস্যরা।
গতকাল জাতীয় সংসদে প্রেসিডেন্টের ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে জি এম সিরাজ বলেন, ঘুষ-দুর্নীতি সমাজের স্তরে স্তরে ছড়িয়ে পড়েছে। লুটপাটকারীরা বিভিন্ন দেশে টাকা পাচার করছে। এরা সবাই বর্তমান সরকারের মদদপুষ্ট।
তিনি বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষক, এ বিষয়গুলো প্রেসিডেন্ট তার বক্তব্যে আনেননি। তাই আমি প্রেসিডেন্টের বক্তব্যকে ধন্যবাদ জানাতে পারছি না। এ জন্য আমি দুঃখিত।
এই বক্তব্যের পর অধিবেশনে উত্তাপ ছড়িয়ে পড়ে। সরকারি দলের সংসদ সদস্যরা হৈ চৈ এবং টেবিল চাপড়িয়ে তার বক্তব্যের প্রতিবাদ জানান। এ সময় অধিবেশনের সভাপতিত্ব করেন ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বি মিয়া। ডেপুটি স্পিকার সদস্যদের শান্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, জি এম সিরাজ বলছেন, তাকে বলতে দেন, প্রয়োজন হলে পরে আপনারাও বলবেন।
জি এম সিরাজ তার বক্তব্যে বলেন, গত ১০ বছরে দেশের ১০ লাখ কোটি টাকা পাচার হয়েছে। কুয়েতে কারাদন্ড হয়েছে লক্ষীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য শহীদ ইসলাম পাপুলের। তিনি সংসদ কলঙ্কিত করেছেন, দেশ কলঙ্কিত হয়েছে। ব্যাংক, মন্ত্রণালয় কোথায় নেই দুর্নীতি। শহর থেকে গ্রাম পর্যন্ত দুর্নীতি ছড়িয়ে পড়েছে। দুর্নীতিবাজরা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। এখন নির্বাচন মানে মনোনয়ন পেলেই আওয়ামী লীগের প্রার্থীর বিজয়ের সার্টিফিকেট। জনগণের অর্থ হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয় করে এ নির্বাচন করে কি লাভ।
তিনি বলেন, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ দমনে আমি প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা করব। নারী উন্নয়ন, শিক্ষাখাতের উন্নয়নে আমি প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা করছি, ধন্যবাদ দিতে চাই। আমরা সংসদে কম সদস্য হলেও জনগণ আমাদের বক্তব্য শুনতে চায়, আপনি (স্পিকার) শুনতে চান, প্রধানমন্ত্রী শুনতে চান। কিন্তু আওয়ামী লীগের সদস্যরা হৈ চৈ করছেন, এটা ব্যাড প্র্যাক্টিস।
জি এম সিরাজ তার বক্তব্য শেষ করার পর ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বি মিয়া বলেন, প্রেসিডেন্ট সম্পর্কে আপনার দুটি কথা আমি পরে শুনে দেখব, এক্সপাঞ্চ করার প্রয়োজন হলে করব। আপনি গণতন্ত্রের কথা বলছেন, এ সংসদে আমার গায়ে আপনাদের দলের সদস্যরা থুথু ছিটিয়েছিল। আমি তখন আওয়ামী লীগ করতাম না, আমি জাতীয় পার্টি করতাম। গণতন্ত্রের কথা বললে আপনাকেও গণতন্ত্রের ভাষায় কথা বলতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।