Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নোয়াখালীতে লিফটের বক্সে পড়ে নারীর মৃত্যু

নোয়াখালী ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ৩১ জানুয়ারি, ২০২১, ১০:০৫ পিএম

অসুস্থ শ্বশুরকে দেখতে এসে হাসপাতালের ক্রটিপূর্ণ লিফটের বক্সে পড়ে জহুরা বেগম (৪০) নামের এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি দূর্ঘটনা বললেও রোগীর স্বজনদের বক্তব্য শুনে বিষয়টি খতিয়ে দেখে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অবহেলা পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলছে পুলিশ।

রবিবার সন্ধ্যা ৫টার দিকে নোয়াখালী জেলা শহর মাইজদীর জি-৮ গ্রামীণ জেনারেল হাসপাতাল প্রাইভেট লিমিটেড ৪র্থ তলায় এ দূর্ঘটনা ঘটে। নিহত জহুরা বেগম লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জের রামকৃষ্ণপুর গ্রামের খুরশিদ আলমের স্ত্রী।

নিহতের স্বজনরা বলছেন, গত ২৯ জানুয়ারি জহুরার শ্বশুর আনোয়ারুল ইসলাম সড়ক দূর্ঘটনায় মারাত্বক আহত হন। ওইদিন সন্ধ্যায় উনাকে মাইজদী জি-৮ গ্রামীণ জেনারেল হাসপাতালের চতুর্থ তলার ৪১৭ নাম্বার কক্ষে ভর্তি করা হয়। ভর্তির পর থেকে হাসপাতালটির লিফট চতুর্থ তলায় কাজ করছিল না। এ বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার জানালেও তারা কোন প্রকার ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। রবিবার দুপুরে অসুস্থ শ্বশুরকে দেখতে ছেলেকে নিয়ে হাসপাতালে আসেন জহুরা। সন্ধ্যায় শ্বশুরকে দেখে ছেলেকে নিয়ে বাড়ী যাওয়ার জন্য হাসপাতালের নিছে নামতে লিফটের কাছে গিয়ে সুইজে চাপ দেন তিনি। কিছুক্ষণের মধ্যে দরজা খুললেও লিফটি পাঁচ তলায় চলে যায়, কিন্তু চার তলায় লিফট আছে ভেবে তিনি ভিতরে পা দিতেই ছিটকে নিছে পড়ে যান। হাসপাতালের লোকজন বিষয়টি দেখতে পেয়ে জহুরাকে উদ্ধার করে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে গেলে সেখানে তার মৃত্যু হয়। নিহতের স্বজনদের অভিযোগ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অবহেলা ও ত্রুটিপূর্ণ লিফটের কারনেই জহুরার মৃত্যু হয়েছে। তারা এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবী করেছেন।

হাসপাতালটির চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক মানিক বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, চতুর্থ তলায় লিফটি কাজ করছিল না। এ একটি দূর্ঘটনা।

সুধারাম মডেল থানার ওসি শাহেদ উদ্দিন জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ মৃত্যুর বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অবহেলা পেলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। একই সাথে ওই লিফটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।



 

Show all comments
  • RUBAIYAT FERDOUS ৩১ জানুয়ারি, ২০২১, ১০:৪৮ পিএম says : 0
    হাসপাতালের চারতলা থেকে নিচে নামতে লিফটের বার্টনে চাপ দেন জহুরা বেগম। এতে লিফটির দরজা খুললেও সেটি উপরের তলায় চলে যায়। ওই নারী লিফট এসেছে ভেবে উঠতে চাইলে নিচে পড়ে যান। এই লিফটের ত্রুটি আছে। হাস্পাতাল কর্তৃপক্ষ এই মৃত্যুর জন্য দায়ী। তাদের কে এই মৃত্যুর জন্য ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। লিফট ফ্লোরে এসে পৌঁছে স্থির হওয়ার পর লিফটের দরজা খুলবে। এর আগে খুলবে না। যেহেতু এই লিফটে ত্রুটি আছে, লিফট ঐ ফ্লোরে না দাড়ালেও লিফটের দরজা খুলে যাওয়ায় বা খোলা থাকায় এই মৃত্যুর জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অবহেলা আছে। তাই তাদের কে এই মৃত্যুর দায়িত্ব নিতে হবে। ভিক্টিম পরিবারের থানায় মামলা দেওয়া উচিৎ।
    Total Reply(0) Reply
  • মোঃ দুলাল মিয়া ১ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ২:৩২ এএম says : 0
    বিষয় টি পুরোপুরি হাসপাতাল কতৃপক্ষের অবহেলা আইনগতভাবে বিচার করতে হবে।এবং নিহতে ক্ষতিপূরণ বাবদ এক কোটি টাকা দিতে হবে।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: লিফট

৮ সেপ্টেম্বর, ২০২০

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ