পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মানি অর্ডারসহ গুরুত্বপূর্ণ সরকারি নথি জালিয়াতির মামলায় (মেট্টো বিশেষ মামলা নং-১০/২০২১) ‘পোস্টম্যান ও ডাক কর্মচারি ইউনিয়ন’র সাধারণ সম্পাদক আমজাদ আলী খান এবং তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে তদন্ত করবে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কেএম ইমরুল কায়েশ শুনানি শেষে চীফ মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এ আদেশ দেন।
এর আগে ৩ কোটি টাকার মানি অর্ডার ডকুমেন্ট জাল করার মামলায় গত ৩ জানুয়ারি আমজাদ আলী খান গংদের গ্রেফতার করে র্যাব। জালিয়াতচক্রের অন্য সদস্যরা হলেন,ডাক কর্মচারি ফজলুল হক আশরাফ,সাদিকুল বাশার ও আছমা আক্তার শিমুর বিরুদ্ধে মামলা করে। ঘটনা উদঘাটনে ডাক বিভাগ র্যাবের সহযোগিতা চায়। র্যাব গোয়েন্দা তৎরপরতার মাধ্যমে জালিয়াতচক্রের হোতাদের গ্রেফতার করে। আমজাদ আলী খানের নেতৃত্বাধীন চক্রের অন্য সদস্যরা হলেন, মোস্তাফিজুর রহমান, ডলি রাণী সাহা এবং লিংকন সাহা।এর মধ্যে আমজাদ,আশরাফ ও এবং শিমু ডাক বিভাগের কর্মচারি। প্রজাতন্ত্রের কর্মচারিদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা তদন্তের এখতিয়ার দুদকের। সংস্থাটির তফসিলভুক্ত অপরাধ বিবেচনায় আদালত তদন্ত প্রতিবেদনের জন্য মামলাটি দুদকে পাঠিয়ে দেন।
র্যাব জানায়, র্যাব জানায়, ডাক বিভাগের মানিঅর্ডার ফরম ও সিল সই জাল করে একটি চক্র প্রতারণার মাধ্যমে সাড়ে ৩ কোটি টাকা আত্মসাৎ করছে। গত দুই বছর ধরে এ চক্র প্রতারণা করে আসছে। এ চক্রে জড়িত রয়েছেন আমজাদ আলীসহ ৬ জন।
ডাক অধিদফতর সূত্র জানায়, গতবছর ফেব্রুয়ারি মাসে ঢাকা জিপিও’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানতে পারেন,একটি প্রতারক চক্র মানিঅর্ডার ফরম জাল করে অভিনব উপায়ে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। গত জুন ও জুলাই মাসে শুধু ঢাকা জিপিওতেই ৮ হাজার জাল মানিঅর্ডার ধরা পড়ে। মিরপুর ও নিউ মার্কেট পোস্ট অফিসেও কয়েক হাজার জাল মানিঅর্ডারের সন্ধান মেলে। জিপিও কর্তৃপক্ষ সন্দেহভাজন প্রতারক হিসেবে ডাক কর্মচারি ফজলুল হক আশরাফ, আবুল বাশার ও আছমা আক্তার শিমুর নামে মামলা করে।
ঘটনা উদঘাটনে ডাক বিভাগ র্যাবের সহযোগিতা চায়। পরে র্যাব প্রথমে ফজলুল হক আশরাফ দম্পতিকে গ্রেফতার করে। তাদের স্বীকারোক্তি মতে গ্রেফতার করা হয় আমজাদ আলী খানকে। ঘটনা তদন্তে চারটি পৃথক তদন্ত টিম এখনও কাজ করছে।
এদিকে দুদক সূত্র জানায়,জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে অবৈধ অর্থ-সম্পদের মালিক হওয়ায় আমজাদ আলী খানসহ চক্রের সদস্যদের পৃথক সম্পদ অনুসন্ধানে নামছে দুদক।
জাল-জালিয়াতি ছাড়াও ডাক বিভাগের সম্পত্তি নিজ দখলে রেখে ভাড়া উত্তোলন, সরকারি চাকরি দেয়ার নাম করে কয়েক শ’ চাকরিপ্রার্থীর কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ রয়েছে আমজাদ আলীর বিরুদ্ধে। হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর না করে সরকারি বেতন-ভাতা উত্তোলনসহ নানামাত্রিক দুর্নীতি রয়েছে তার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।