গুগল ড্রাইভ মূলত গুগলের ফাইল সংরক্ষণ সেবা যা ব্যবহারকারীদেরকে নিজ ফাইল বিভিন্ন ডিভাইসের মাধ্যমে সংরক্ষণ করার এবং শেয়ার করার সুযোগ দেয়। কিন্ত বর্তমানে সাইবার অপরাধী ও পাইরেসির সঙ্গে জড়িতদের জন্য নতুন স্বর্ণখনি হয়ে উঠেছে গুগল ড্রাইভ। গুগলের সেবাটিতে অবৈধ সফটওয়্যার লাইসেন্স, চলচ্চিত্র, গেইম এবং পর্ন কনটেন্ট বিনামূল্যে সংরক্ষণ করছে তারা।
সাইবার সুরক্ষা গবেষক রাজশেখর রাজহারিয়া বলেন, “প্রায় ৮০ শতাংশ গুগল ড্রাইভ চলচ্চিত্রের লিংকই ম্যালওয়ারের। অন্যান্য ফাইল শেয়ারিং ওয়েবসাইটের মতো গুগল ড্রাইভও তাদের প্ল্যাটফর্মে থাকা এ ধরনের অবৈধ এবং বিশদ কনটেন্ট দ্রুতগতিতে ডাউনলোড করতে দেয়। একটি ভুল ক্লিকে আপনার পিসি বা মোবাইলে ইনস্টল হয়ে যেতে পারে ম্যালওয়্যার। ”
সাইবার সুরক্ষা গবেষক রাজশেখর রাজাহারিয়ার দাবি, জিপড কমপ্রেসড ফাইল ফরম্যাটে হাজারো অবৈধ ও বিশদ কনটেন্ট গুগল ড্রাইভের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ছে।
রাজাহারিয়া আরো বলেন, “হাজারো পর্ন ভিডিও বাদেও ম্যালওয়্যার, সফটওয়্যার, চলচ্চিত্র, গেইম এবং আরও অনেক অবৈধ কিছুর অন্তত ২৫ হাজার থেকে ৩০ হাজার লিংক শেয়ার হচ্ছে। একজন স্বাচ্ছন্দেই এ ধরনের লিংক গুগল ড্রাইভে খুঁজতে পারেন। শুধু একটি সার্চ করুন এবং ইচ্ছানুযায়ী নামিয়ে নিন। অথচ দেখা যায়, কপিরাইট লঙ্ঘনের কারণে ওই একই চলচ্চিত্র, গেইম, সফটওয়্যার গুগল সার্চ থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।”
গুগল ড্রাইভে আদৌ এরকম কনটেন্ট রয়েছে কি না, বা তা শেয়ার হচ্ছে কি না, সে বিষয়ে জানতে চেয়েছিল বিজনেস ইনসাইডার। কিন্তু এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেনি গুগল।
নিজেদের সেবার শর্তাবলীতে গুগল লিখে রেখেছে, “অবৈধ বা আমাদের প্রোগ্রাম পলিসি লঙ্ঘন করছে কি না তা জানার জন্য আমরা কনটেন্ট পর্যালোচনা করে দেখতে পারি, এবং আমাদের নীতিমালা লঙ্ঘন করছে এমনটি মনে হলে, ওই কনটেন্ট আমরা মুছে দিতে পারি বা দেখানো থেকে বিরত থাকতে পারি। তবে এর মানে এই নয় যে আমরা কনটেন্ট পর্যালোচনা করে থাকি, দয়া করে ধরে নেবেন না যে আমরা তা করি।