বর্তমানে দেশের শতকরা ৮০ ভাগ ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করছেন নারী উদ্যোক্তারা। ফলে নারীরা আর্থিকভাবে সচ্ছল ও স্বাবলম্বী হয়েছেন। স্বাধীনভাবে মত প্রকাশ ও সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ শিশু একাডেমি মিলনায়তন অনলাইনে ‘ঢাকা বিভাগের শ্রেষ্ঠ জয়িতা সম্মাননা প্রদান’ অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন। মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা।
জয়িতাকে দেশব্যাপী ছড়িয়ে দিতে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় নারীবান্ধব বিপণি কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেছে। দেশে ক্ষুদ্র ব্যবসা ও অনলাইনভিত্তিক ই-কমার্সের যে জয়জয়কার অবস্থা বিরাজ করছে, তার পেছনে রয়েছে জয়িতা কার্যক্রমের গুরুত্বপূর্ণ অবদান। ২০১৯-২০ সালের ঢাকা বিভাগের নির্বাচিত শ্রেষ্ঠ পাঁচ জয়িতা হলেন—অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জনকারী নারী মিরপুরের আয়শা জেসমিন, শিক্ষা ও চাকরি ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী নারায়ণগঞ্জের ড. জেবউননেছা, সফল জননী ক্যাটাগরিতে শরীয়তপুরের ছৈয়দা রিজিয়া বেগম, নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যমে জীবন শুরু করা টাঙ্গাইলের রবিজান এবং সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখায় ঢাকা জেলার দোহারের লাইলী বেগম এই সম্মাননা পান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেন, ‘নারীরা যোগ্যতার সঙ্গে দেশের জন্য অবদান রাখছেন। তার প্রমাণ আমার পাশে বসে আছেন সিনিয়র সচিব, দুই জন অতিরিক্ত সচিব। এছাড়াও নারীরা এসপি, ডিসি, ভিসি, ওসি, নৌবাহিনী, সেনাবাহিনী এবং বিমান বাহিনীতেও উচ্চপদে বহাল আছেন। এ দেশের প্রধানমন্ত্রী নারী, বিরোধীদলীয় নেত্রী নারী, স্পিকার নারী, সংসদ উপনেতাও নারী। যা বিশ্বে বিরল। পুরুষের তুলনায় নারীরা এগিয়ে আছেন। প্রাইমারি ও সেকেন্ডারি লেভেলে নারী শিক্ষার হার বেশি। নারী শিক্ষায় বিশেষ অবদানের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে পিস ট্রি পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছে।’
ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার মো. খলিলুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা ছাড়াও বক্তব্য রাখেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কাজী রওশন আক্তার, মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের ঢাকা কার্যালয়ের উপপরিচালক ফাতেমা জহুরা। আরো উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা, ঢাকার জেলা প্রশাসকসহ বিভাগীয় পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ।