পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাত ২টা। ফ্ল্যাটের গ্রিল কেটে সাত দুর্বৃত্তের প্রবেশে আতঙ্কিত বাসার সবাই। পরে পরিবারের সবাইকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ টাকা লুট করে নিয়ে যায় তারা। গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ঘটনাটি ঘটেছে রাজধানীর কাফরুল এলাকার একটি বাড়ির দোতলার ফ্ল্যাটে।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, বৃদ্ধ মা আর ২ বছরের শিশুই ছিলো ডাকাতদের জিম্মির টার্গেট। গলায় অস্ত্র ধরে দেয়া হয় হত্যার হুমকি। তারপর লুট করে নেয়া হয় বিপুল পরিমাণ স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ টাকা। এ ঘটনায় গতকাল কাফরুল থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগীর পরিবার। তবে গতকাল বিকেল পর্যন্ত কোনো অপরাধী গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
কাফরুল থানার ওসি মো. সেলিমুজ্জামান দৈনিক ইনকিলাবকে জানান, কাফরুলের একটি বাড়ির দোতলার ফ্ল্যাটের গ্রিল কেটে পরিবারের সবাইকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে বিপুল স্বর্ণালঙ্কার ও টাকা লুটের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় একটি অভিযোগ থানায় দাখিল করা হয়েছে। তবে এখনো কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। দোষীদের ধরতে অভিযান চালানো হচ্ছে।
শুধু কাফরুল এলাকাই নয়, পেশাদার গ্রিলকাটা চক্রের সদস্যরা পুরো রাজধানীতে সক্রিয় রয়েছে। এতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। মিরপুর, কারওরান বাজার, ফার্মগেট, মোহাম্মদপুর, তেজতুরী বাজার, পুরান ঢাকা, ধানমন্ডি, কলাবাগানসহ বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দার সাথে কথা বলে এমন আতঙ্কের কথা জানা গেছে।
পশ্চিম তেজতুরী বাজার এলাকার একটি ফ্ল্যাট বাড়ির ম্যানেজার তুহিন আহমেদ বলেন, তাদের বাসা ও পুরো মহল্লায় সিসি ক্যামেরা লাগানো আছে। তারপরও গ্রিলকাটা বাহিনী ও চোর চক্রের সদস্যরা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন বাসায় প্রবেশ করে বড় ধরনের চুরি করে থাকে। এ জন্য এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
শুধু তুহিন মিয়া নয়, মোহাম্মদপুরের বাসিন্দা উজ্জ্বল এ গোমেজ বলেন, তাদের এলাকায়ও চোর চক্রের সদস্যরা সক্রিয় রয়েছে। বিভিন্ন সময় তাদের এলাকায় চুরির ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানায়, ওই চক্রের সদস্যদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে। ইতোমধ্যে ওই চক্রের বেশ কয়েকজন সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে চোরাইকৃত ল্যাপটপ, কম্পিউটার হার্ডডিক্স, মোবাইল ফোনসহ বেশ কিছু চোরাই মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশ আরো জানান, চক্রটি রাজধানী ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকার বাসা-বাড়ি টার্গেট করে। পরে রাতের অন্ধকারে বাড়ির স্যানিটারি পাইপ, জানালার কার্নিসে ভর করে উপরে উঠে বিভিন্ন তলার গ্রিল কেটে নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কারসহ মূল্যবান সামগ্রি চুরি করে নিয়ে যায়।
এদিকে, গত সোমবার মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে গ্রিলকাটা চক্রের ছয় সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পরে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এ সময় তারা জানায়, দিনের বেলা রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বাসা বাড়ি রেকি করে। পরবর্তীতে কৌশলে বিভিন্ন বাসা-বাড়ির জানালা এবং দরজার গ্রিল কেটে ঘরে প্রবেশ করে। এরপর ঘরে থাকা মূল্যবান জিনিসপত্রসহ স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ টাকা চুরি করে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা তেজগাঁও বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. বায়েজীদুর রহমান বলেন, বাসা বাড়িতে গ্রিল কেটে চুরির ঘটনায় মোহাম্মপুর থানা, চকবাজার থানা ও ধানমন্ডি থানায় একাধিক মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলাগুলো ছায়া তদন্তকালে অভিযুক্তদের শনাক্ত করা হয়। পরবর্তীতে গত ২৫ জানুয়ারি মোহাম্মদপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে জিসান, কামাল, মো. আবুল কালাম, ফরহাদ ও নাহিদ শেখদের গ্রেফতার করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে ল্যাপটপ, নগদ টাকা ও ডলার উদ্ধার হয়। তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে গত মঙ্গলবার একই এলাকা থেকে ওই চক্রের আরেক সদস্য মানিক মিয়াকে টাকা ও স্বর্ণালঙ্কারসহ গ্রেফতার করা হয়।
তিনি আরো জানান, চক্রটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পুলিশের কাছে রয়েছে। সেই তথ্যমতে তাদের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। এছাড়া ওই চক্রের অন্যান্য সদস্যদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।