পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
শীতের তীব্রতা উপেক্ষা করে কর্মবীর কৃষকরা মাঠে মাঠে বোরো ধানের চারা রোপনে ব্যতিব্যন্ত। বরাবরই তারা প্রাণশক্তিতে উদ্বেল। মাটি ওলোট-পালট করে সোনা ফলিয়ে থাকেন। ঘুরিয়ে থাকেন কৃষিনির্ভর অর্থনীতির চাকা। তৃণমূল অর্থনীতির কাঠামো মজবুতের পাশাপাশি জাতীয় অর্থনীতিতেও তাদের অবদান কম নয়। বিশেষ করে খাদ্য নিরাপত্তা বেষ্টনী গড়ে তুলতে তারা রাখছেন অগ্রণী ভ‚মিকা।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কৃষিবিদ মো. আসাদুল্লাহ গতকাল দৈনিক ইনকিলাবকে জানান, সারাদেশেই বোরো রোপন চলছে পুরাদমে। বোরো বীজতলা কোথাও কোল্ড ইনজুরিতে আক্রান্ত হয়নি। ইতোমধ্যে প্রায় ৪৫ ভাগ জমিতে রোপন সম্পন্ন হয়েছে। হাওর এলকায় শতভাগ আবাদ হয়ে গেছে। তার দেওয়া তথ্যমতে, এবার সারাদেশে ৪৮ লাখ ৫ হাজার ২শ’ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে প্রতিহেক্টরে ৪ দশমিক ২ মেট্রিক টন হিসাবে প্রায় ২ কোটি মেট্রিক টন চাল। তিনি বললেন আমি নিয়মিত খোঁজ রাখছি। মাঠ চিত্র বলে দিচ্ছে ধান ও চালের মূল্যবৃদ্ধির কারণে চলতি মৌসুমে বোরো আবাদ বাড়ছে। কৃষকদের বোরো আবাদের উৎসাহ দেখে মনে হচ্ছে লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি জমিতে আবাদ হবে।
মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তারা জানান, মাঠে মাঠে এখন জোরালোভাবে চলছে বোরোর চারা রোপন। কৃষকরা ঝুঁকছেন বোরো আবাদে। সূত্র জানায়, সেচনির্ভর বোরো ধান আবাদের ক্ষেত্রে যাতে কোনরূপ অসুবিধা না হয়, তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। যশোর, খুলনা, সাতক্ষীরা, ঝিনাইদহ, কুষ্টিয়া, পাবনা, বগুড়া, রাজশাহী, দিনাজপুর, বগুড়া ও ফরিদপুরসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার মাঠের খবর হচ্ছে, স্বাচ্ছন্দ্য অনায়াস উদ্দীপনা ও উদ্যম নিয়ে বোরো চাষীরা চারা রোপন ছাড়াও সবজি ও অন্যান্য ফসল আবাদ করছেন।
উচ্চফলনশীল জাতের ধান আবাদ এবার তুলনামূলক বেশি হচ্ছে। বেশি ফলনের আশায় কৃষকরা ঝুঁকছে হাইব্রিড জাতের ধান আবাদের দিকে। কৃষকদের বোরো আবাদের উৎসাহ দেখে মনে হচ্ছে লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি জমিতে আবাদ হতে পারে। তবে একথাও সত্য যে, আবাদের ভরা মৌসুমে সেচ নিয়ে দুশ্চিন্তা কাটছে না। প্রতিবিঘা জমিতে আবাদের ৩ মাস সেচ দিতে সেচযন্ত্র মালিক আগাম গুণতে হয় ৩ হাজার টাকার উপরে। মাগুরার শালিখা উপজেলার সীমাখালীর বোরো চাষি দীপংকর ও যশোরের শার্শা উপজেলার শালকোনার বাবুল আকতার জানালেন, এবার বোরো আবাদ বেশি করছেন কৃষকরা। এর কারণ ধাানের দাম ভালো পেয়েছেন।
সংশিষ্ট সূত্র জানায়, বোরো আবাদে সেচের জন্য সারাদেশে প্রায় ১৪ লাখ ডিজেলচালিত ও প্রায় আড়াই লাখ বিদ্যুৎচালিত গভীর ও অগভীর নলকুপ ব্যবহার হবে। কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, সময়মতো নজর দেওয়ায় বোরো বীজের সঙ্কট হয়নি। বীজতলার অবস্থাও ভালো ছিল। চারা দেখলেই বোঝা যায় যে ধান কেমন হবে।
গিনেজ বুকে নতুন রেকর্ড শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু
বঙ্গবন্ধু, গিনেজ
স্টাফ রিপোর্টার
বগুড়ায় ১ লাখ ২০ হাজার বর্গমিটার শস্যচিত্রের মাধ্যমে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিছবি ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে। যা গিনেজ বুকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এটা বাংলাদেশের জন্য নতুন রেকর্ড বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমÐলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী।
গতকাল রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
মতিয়া চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশকে যারা তলাবিহীন ঝুঁড়ি বলেছিলো তাদেরকে শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধুর চিত্রের মাধ্যমে উপযুক্ত জবাব দিতে পারবো। বাংলাদেশ পারে এবং পারবে আজ আবার প্রমাণ করতে যাচ্ছে। তিনি বলেন, কৃষিবিদের উদ্যোগে খুব ভালো কাজ হয়। বাংলাদেশের কৃষিবিদরা যে সফল তা প্রমাণ করে দিয়েছেন। এর আগেও তাদের হাত ধরেই আরো অনেক ভালো কাজ হয়েছে। এই সকল কিছুর পিছনে মূলচিন্তা হলো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার।
তিনি বলেন, এটা শুধু গিনেজ বুকে বাংলার নাম লেখা নয়, বাংলার বুকে জাতির পিতাকে যেন চিরতরে লেখা থাকে সেটাই লক্ষ। এটাই শেষ নয়, এখান থেকে শুরু সমানের দিকে এগিয়ে যাওয়ার।
এসময় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, বঙ্গবন্ধুর চিন্তাভাবনার সুফল পাচ্ছে দেশের মানুষ। শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু প্রথমবারের মতো গিনেজ বুকে নাম লেখা হচ্ছে এবং নতুন ভাবে ইতিহাসে সৃষ্টি হচ্ছে। এ থেকে নতুনভাবে কৃষক উজ্জীবিত হবে।
তিনি বলেন, শস্যচিত্র বঙ্গবন্ধুর প্রতিছবি তৈরি করার জন্য দুই ধরনের ধান বেছে নেয়া হয়েছে, নীল ও সোনালী রং।
একশত বিএনসিসি সদস্যের নিয়ে জমিও তৈরি করা হয়েছে। আজ এই ধানের চারা রোপণ হবে। বাংলার মাটি ব্যবহার করে বঙ্গবন্ধুকে ফুটিয়ে তোলে জাতির সমানে আমরা তোলে ধরতে যাচ্ছি। আগামী ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে নতুন রেকর্ড তৈরি করে উদ্ধোধন করা হবে। শস্যচিত্র বঙ্গবন্ধু এর আয়তন ১২ লাখ ৯২ হাজার বর্গফুট। শস্যচিত্রের দৈর্ঘ্য ৪শত মিটার প্রস্থা ৩শত মিটার।
শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুনাহার লাইলি, কৃষক লীগের সভাপতি সমীর চন্দ্র প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।