পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নবনির্বাচিত সিটি মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী চট্টগ্রাম মহানগরীকে পরিকল্পিত উন্নয়নে ঢেলে সাজানোর প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেন, নগরবাসীকে কথা দিতে পারি নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পূরণে কঠোর পরিশ্রম করব। অন্যায় অনৈতিক কাজে কখনো ক্ষমতাকে ব্যবহার করব না। দায়িত্ব গ্রহণের সাথে সাথে জনদুর্ভোগ লাঘবে কাজ শুরুর ঘোষণাও দেন তিনি।
বিএনপির প্রার্থীকে তিন লাখের বেশি ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করে নগরপিতা নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগ মনোনীত এম রেজাউল করিম চৌধুরী। জীবনে প্রথমবার নৌকা প্রতীকে নির্বাচনে ভ‚মিধস বিজয়ের পর ফুলেল শুভেচ্ছা আর অভিনন্দনের জোয়ারে ভাসছেন তিনি। গতকাল নগরীর বহদ্দারহাটের নিজ বাড়িতে নির্বাচন পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে তাকে বিজয়ী করায় নগরবাসীর প্রতি শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান নবনির্বাচিত মেয়র।
বিএনপির প্রার্থী ও নগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেনকে পরাজিত করে তিন লাখ ৬৯ হাজার ২৮৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন বীরম্ুিক্তযোদ্ধা নগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক রেজাউল করিম চৌধুরী। শাহাদাত হোসেন পেয়েছেন ৫২ হাজার ৪২৯ ভোট। দু’জনের ভোটের ব্যবধান তিন লাখ ১৬ হাজার ৭৫৯। এবারের চসিক নির্বাচনে ভোট পড়েছে ২২ শতাংশ।
গত বুধবার মধ্যরাতে রেজাউল করিমকে মেয়র পদে বেসরকারিভাবে বিজয়ী ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান। এ সময় এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে স্থাপিত নির্বাচন কমিশনের অস্থায়ী নিয়ন্ত্রণ কক্ষে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা বিজয় উল্লাসে ফেটে পড়েন। গতকাল সকাল থেকে নবনির্বাচিত মেয়রের বহদ্দারহাটের বাড়িতে আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের ভিড় জমে। দলের নেতাকর্মী ছাড়াও বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়। পরে তার প্রধান নির্বাচনী কার্যালয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখী হন তিনি। নবনির্বাচিত মেয়র বলেন, মানুষ আমাকে এত পছন্দ করেছে, আমি অভিভ‚ত। মানুষ ভালোবেসেছে, মর্যাদা সম্মান দিয়েছে। কথা দিতে পারি, ভালোবাসার প্রতিদান দিতে সামর্থ্য অনুযায়ী সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।
এ সময় সিটি কর্পোরেশন পরিচালনা নিয়ে তিনি কিছু পরিকল্পনা তুলে ধরেন। জরুরি ভিত্তিতে নগরীকে পরিচ্ছন্ন রাখা, মশার উপদ্রব কমানো এবং বেহাল সড়ক মেরামত করবেন বলে জানান তিনি। প্রথম ১০০ দিনে এসব বিষয় প্রাধান্য পাবে। রেজাউল করিম বলেন, দীর্ঘদিন রাজনীতি করেছি। তা বিবেচনায় নিয়ে দলীয় সভাপতি মনোনয়ন দিয়েছেন। এ বিজয় আমার নয়, এ বিজয় চট্টগ্রামবাসীর। এ বিজয় বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার এবং বঙ্গবন্ধুর প্রতীক নৌকার।
রেজাউল করিম বলেন, হোল্ডিং ট্যাক্স, পানিবদ্ধতা, গ্যাস-পানিসঙ্কটসহ আঞ্চলিক দাবি নিয়ে দীর্ঘদিন আমি আন্দোলন-সংগ্রাম করেছি। চাক্তাই খাল সংগ্রাম কমিটির আমি চেয়ারম্যান ছিলাম। এর মাধ্যমে মানুষের আস্থা অর্জন করতে পেরেছি। সংবাদ সম্মেলনের শেষে ফুল দিয়ে রেজাউল করিমকে শুভেচ্ছা জানান নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। নতুন মেয়রকে শতভাগ সহযোগিতার আশ্বাস দেন তিনি।
সজ্জন রাজনীতিক হিসেবে পরিচিত রেজাউল করিম চৌধুরী নগরীর ঐতিহ্যবাহী বহদ্দার বাড়ির সন্তান। তার রাজনৈতিক জীবনের শুরু ষাটের দশকে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে যুক্ত হওয়ার মাধ্যমে। ১৯৭২ সালে চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি হন তিনি। এরপর জেলা ছাত্রলীগের দফতর সম্পাদক, উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও উত্তর জেলার সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর পত্রিকা বের করেছিলেন মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তিকে উজ্জীবিত করতে। চট্টগ্রামের মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা পরিষদের মহাসচিব ও কো-চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।
রেজাউল করিম চৌধুরী তার রাজনৈতিক জীবনের দীর্ঘসময় মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি তিনবারের নির্বাচিত মেয়র চট্টলবীর মরহুম এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর সান্নিধ্যে ছিলেন। মেয়রের দায়িত্বে তাকে চট্টলবীরের ছায়া হিসেবে দেখতে চান চট্টগ্রামের রাজনৈতিক সচেতন মহল। দুই মেয়ে ও এক ছেলের জনক রেজাউল করিম চৌধুরীর বড় মেয়ে তানজিনা শারমিন নিপুন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।