Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ওবায়দুল কাদের আত্মসম্মান বিকিয়ে দিলেন : কাদের মির্জা

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৮ জানুয়ারি, ২০২১, ৯:০৮ এএম

‘আমরা কি রাজাকার পরিবার? ওবায়দুল কাদের সাহেব, আপনি কীভাবে সারেন্ডার করলেন? কীভাবে নিজের আত্মসম্মানকে বিকিয়ে দিলেন? আমি দেবো না। আমার আব্বা কি রাজাকার? ওবায়দুল কাদের সাহেব কীভাবে মানলেন? বলেন? এখন যদি আমরা বলি, কীভাবে বলি? বললে বলবে, সংগঠন বিরোধী কার্যকলাপে লিপ্ত!’

নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভার নবনির্বাচিত আলোচিত মেয়র আবদুল কাদের মির্জা বুধবার রাতে কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট সরকারি মুজিব কলেজ মাঠে উপজেলা নাগরিক কমিটি আয়োজিত নাগরিক সংবর্ধনার জবাবে এসব কথা বলেন।

এ সময় তিনি দলের ঘোষণাপত্রের একটি ধারার বরাত দিয়ে বলেন, আমার ঘোণাপত্রে আমার বাক-ব্যাক্তি চিন্তা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা থাকবে।

আমার ঘোষণাপত্র আমাকে অধিকার দিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন ‘বলতে পারবো না কেনো?

এরপর তিনি বলেন, ‘আপনারা ঢাকায় বসে বসে সেখানে তেল মালিশ করবেন? আর গ্রামের নেতারা সারাজীবন কষ্ট করবে। কিছু কিছু সুবিধাবাদী যারা তেল মারতে পারে তারা আজকে সুবিধা আদায় করছে।’

আবদুল কাদের মির্জা নোয়াখালী ৪ আসনের এমপি একরামুল করিম চৌধুরী প্রসঙ্গে বলেন, লাইভে এসে একরামুল করিম চৌধুরী কী বললো? ওবায়দুল কাদেরের পরিবার রাজাকার। আমার নানা এমএলএ ছিলেন। ৬৩ সালে তিনি মারা যান। তাহলে তিনি কীভাবে শান্তি কমিটির সদস্য হলেন? আমার বাবা নীতিনৈতিকতা নিয়ে শিক্ষকতা করেছেন। অনেক কষ্টে আমাদের একটি বড় পরিবার চালাতেন। আপনি (ওবায়দুল কাদের) বরদাস্ত করলেও আমি বরদাস্ত করতে পারবো না। আপনি পদের জন্য আমাকে বলেন, তুই আমার পদ কি খাবি? আপনি পদের জন্য আত্মসমর্পণ করেছেন। আমি করবো না। এই একরামুল করিম চৌধুরী অপরাজনীতির হোতা, যতক্ষণ তাঁকে নোয়াখালী জেলা কমিটি থেকে বহিস্কার করা না হয় ততক্ষণ পর্যন্ত আন্দোলন চালাবো।’

এরপর তিনি বলেন, ‘এক দফা এক দাবি, একরাম তুই কবে যাবি? আগামি রোববারের হরতালে একটা পাখিও উড়তে দেওয়া হবে না।’

এ সময় তিনি সবাইকে ঘর থেকে বেরিয়ে এই অপশাসন ও দুঃশাসনের বিরুদ্ধে, অপরাজনীতির বিরুদ্ধে কথা বলতে বলেন।

আলোচিত এই মেয়র বলেন, আজকে কষ্ট লাগে, আমি অপরাধী। আমি অপরাজনীতির বিরদ্ধে কথা বলেছি। আমি টেন্ডারবাজীর বিরদ্ধে কথা বলেছি। আমি চাকরী বাণিজ্যের বিরদ্ধে কথা বলেছি। আমি প্রশাসনের উপর প্রভাব খাটিয়ে অনিয়মের কথা বলেছি। আমি বলেছি, অস্ত্রবাজীর বিরুদ্ধে, ভোট ডাকাতির বিরুদ্ধে। আমি বলেছি, আমার ভোট আমি দেবো যাকে ইচ্ছা তাকে দেবো। এই কথাগুলোর জন্য আমাকে কেউ কেউ অপরাধী মনে করে। কিন্তু কি অপরাধ করেছে আমার ভোটারেরা? আজকে আমাদের নেতা দায়সারা গোছের আমাকে অভিনন্দন জানিয়েছে, ধন্যবাদ জানিয়েছে।

এ সময় তিনি তার ভাই ওবায়দুল কাদেরের প্রতিশ্রুত চাকরীর বিষয়ে বলেন, কোম্পানীগঞ্জ ৫০০ ও কবিরহাটের ৫০০ বেকারদের চাকরি না দেওয়া হলে আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।

গ্যাস দেওয়ার বিষয়ে বলেন, আমার গ্যাস আমাকে না দিয়ে অন্য এলাকায় দেওয়া হচ্ছে। আমরা পাইনি। প্রতিশ্রুতির পরও। আগামি ৩ মাসের মধ্যে যদি আমাদের গ্যাস দেয়া না হয় তাহলে জাতীয় গ্রীডে আর গ্যাস যাবে না।

আবদুল কাদের মির্জা বলেন, আজকে শুধু তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাবো, যারা আমাদের নির্বাচনের শুরু থেকে আজ অবধি আমি যে সাহস করে সত্য কথা বলেছি, আমি যে অন্যায় অবিচার আর অনিয়মের বিরুদ্ধে কথা বলেছি, সেই কথাগুলো বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে, প্রচার মাধ্যমে তুলে ধরেছেন সেই মিডিয়ার সদস্যদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করবো।

নাগরিক সংবর্ধণা কমিটির সভাপতি ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সাহাব উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি খিজির হায়াত খান, সাধারণ সম্পাদক নুরনবী চৌধুরী, সিনিয়র সহসভাপতি ইস্কান্দার বাবুল যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ, কৃষকলীগ, শ্রমিকলীগের নেতৃবৃন্দ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: কাদের মির্জা


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ