পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
গণতন্ত্র ফেরানোর প্রশ্নে ঐক্যবদ্ধ না হলে আন্দোলনে সফলতা আসবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেন, আগে প্রতিজ্ঞা করতে হবে যে, আমার গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনবো। কে প্রধানমন্ত্রী হবে, হবে না- উই ডোন্ট বোদার। আগে ওটা ঠিক করেন যে, ওকে (প্রধানমন্ত্রী) নামাতে হবে, গণতন্ত্র ফেরাতে হবে, ষড়যন্ত্র থামাতে হবে। তারপরে পিপল উইল ডিসাইড কে ওই জায়গায় যাবে। তার আগে যদি বলেন আমারে একটা আসন দেবেন, আমারে এই কয়টা আসন দেবেন, আমাদের পেশাজীবীদের কয়টা দেবেন। একেক দল যদি একেকরকম বায়না শুরু করে ওই সিটটা আমারে দিতে হবে। আসন নিয়ে কাড়াকাড়ি করলে কোশ্বিনকালেও (কোনোকালে) ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে সফলতা আমরা পাবো না।
গতকাল বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের উদ্যোগে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৮৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
জিয়ার আদর্শ অনুসরণ করে সকলকে আন্দোলনের জন্য ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানিয়ে গয়েশ্বর চন্দ্র বলেন, সে কারণে বলতে চাই, আমাদের উচিত-উই শুড বি ইউনাইটেড উইথআউট এ্যানি কন্ডিশন। অনলি দ্যা কন্ডিশন- উই নিড ডেমোক্রেসি, উই ওয়ান্ট জাস্টিস। তাহলে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান শান্তি পাবেন, বেগম খালেদা জিয়া মুক্তি পাবেন। মুক্তিযুদ্ধের ঘোষক জিয়া তার চেয়েও রাজনৈতিক অঙ্গনে বেশি জনপ্রিয় বহুদলীয় গণতন্ত্রের তিনি প্রবক্তা, জাতীয়তাবাদী দলের প্রতিষ্ঠাতা, তারই ধারবাহিকতায় মাদার অব ডেমোক্রেসি খালেদা জিয়া-এটা আমাদের বর্তমান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও বিশ্বাস করেন। সেই পথ ধরেই সফলতার মুখ আমাদেরকে দেখাতে হবে এবং আমাদের ‘এ টু জেড’কে জনগণের আস্থায় আসতে হবে। আমরা জিয়ার উত্তসূরী হিসেবে বাংলাদেশকে যেহেতু ভালোবাসি, আমরা নিশ্চয়ই জনগণের আস্থা অর্জনের সক্ষম হবো।
সরকার বিএনপিকে ভয় পায় উল্লেখ করে তিনি বলেন, স্বৈরাচার আপনাদেরকে ভয় পায়। খালেদা জিয়া জনপ্রিয়-কেউ স্বীকার করুক বা না করুক হাসিনা স্বীকার করে। বিএনপি জনপ্রিয়, এটা হাসিনা জানে বলে তো এই অবস্থা। সেকারণেই আমাদের চেয়ে বেশি জ্ঞাত আমার প্রতিপক্ষ, আমার সম্বন্ধে সে বেশি জানে। সেজন্য তারা বেশি ভয় পায়, যারা বেশি ভয় পায় তারা কিন্তু বেশি জোরে কথা বলে।
গয়েশ্বর বলেন, হাসিনা শক্তিশালী না। তার চেয়ে থাকার তাগিদটা হচ্ছে তাকে শক্তি সঞ্চয় করে। বেঁচে থাকা মানে যে, রাজনীতি থেকে হারিয়ে যাবে তা নয়। একবার ফসকাইয়া যাওয়ার পরে ২১ বছর লাগছে এখন আরেকবার ফসকাইলে কী ৪২ বছর লাগবো না ৮৪ বছর লাগবে এটা বলা যাচ্ছে না। খালেদা জিয়া বাংলাদেশের জাতীয়তাবাদী শক্তির পূঁজি। আর অন্যদিকে শেখ হাসিনা এই দেশের জন্য একটা লায়াবেলেটিস বলে একদিন ইতিহাসবিদরা ইতিহাসে লেখবে।
সংগঠনের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাতের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সাদেক আহমেদ খানের পরিচালায় আলোচনা সভায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, মুক্তিযোদ্ধা দলের আবুল হোসেনসহ মুক্তিযোদ্ধা দল ও মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্মের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।