বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা বলেছেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের আমাদেরকে কোন প্রতিবাদ কর্মসূচী পালন করতে দিচ্ছেন না। ওবায়দুল কাদের আমাদেরকে রক্তচক্ষু দেখাচ্ছেন। আমি কোন রক্তচক্ষুকে ভয় করি না।
সোমবার সন্ধ্যায় বসুরহাট রূপালী চত্বরে প্রতিবাদ সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি। একই সাথে আগামী ৩১জানুয়ারি রবিবার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় আবারও অর্ধদিবস হরতাল ডাক দিয়েছেন আবদুল কাদের মির্জা। তিনি বলেন, হরতালের দিন সকাল ৬টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত কোম্পানীগঞ্জের কোথাও পাখিও উঠতে পারবে না। এরপর ঢাকাভিত্তিক কর্মসূচী হবে, প্রেস ব্রিফিং হবে, নোয়াখালীর অনেক নেতাকর্মী, মেয়র সেখানে উপস্থিত থাকবেন।
মির্জা বলেন, সন্ত্রাসী জেহানকে মনোনয়ন দিয়ে ভোট ডাকাতি করে চেয়ারম্যান বানিয়েছে একরাম। সে আজকে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। নোয়াখালীর মেয়র সোহেলের নেতৃত্বে আগামীকাল (মঙ্গলবার) হাজার হাজার নেতাকর্মী একত্রিত হতে চেয়েছিল, তা একরামুল করিম চৌধুরী থেকে বাধা দেওয়া শুরু করে দিয়েছে। একরাম ও তার লোকজন এখনও অস্ত্র প্রদর্শন করেছে। রবিবার রাতে ধর্মপুরে আওয়ামী লীগের এক ত্যাগী কর্মীকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টার করেছে।
ওবায়দুল কাদেরকে উদ্দেশ্য করে মির্জা বলেন, নোয়াখালীতে টেন্ডারবাজি, চাকরি বাণিজ্য, প্রশাসনের ওপর প্রভাব খাটিয়ে লুটপাট করছে। কেউ কি দেখার নেই? ওবায়দুল কাদের সাহেব আপনি কি হতে চান? আপনি আওয়ামী লীগের জেনারেল সেক্রেটারী, আপনার এলাকার ত্যাগী কর্মীরা আজকে ঘরে শুতে পারে না। তারা গুলি খেতে হয়। তারা হাসপাতালের বেডে শুয়ে কাঁতরাচ্ছে। আপনি সেখানে বসে কি করছেন? চুপ করে সেখানে বসে থেকে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না। কি করবেন আপনি-আমাকে জেলে দিবেন? সেটার অভ্যাস আমার আছে। বরং আপনার থেকে বেশি জেল খেটেছি আমি। মেরে ফেলবেন? আপনার সাথে কবরের জায়গাও দেখিয়ে দিয়েছি। আপনি আমাদের নেতা- আমার রাজনৈতিক আদর্শ। আপনাকে শ্রদ্ধা করি। কিন্তু আগামী শনিবারের পর থেকে আর এ শ্রদ্ধাও থাকবে না। স্পষ্ট ভাষায় বলবো কি দেখাতে চান, কি বুঝাতে চান। একটি দুঃশ্চরিত্রের মাদক স¤্রাটকে আপনি আশ্রয়-দিচ্ছেন, প্রশ্রয় দিচ্ছেন। এদের পতন হওয়া পর্যন্ত আমার আন্দোলন চলবে।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খিজির হায়াত খানের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ইস্কান্দার হায়দার চৌধুরী বাবুল, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আজম পাশা চৌধুরী রুমেল, চরপার্বতী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম তানভীর প্রমূখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।