Inqilab Logo

শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মোটরসাইকেলের সিসি সীমা তুলে নেয়ার সুপারিশে ফেসবুকে মিশ্র প্রতিক্রিয়া

সোশ্যাল মিডিয়া ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৫ জানুয়ারি, ২০২১, ৬:৪৪ পিএম | আপডেট : ৬:৪৭ পিএম, ২৫ জানুয়ারি, ২০২১

মোটরসাইকেলের ইঞ্জিনক্ষমতা বা সিসি সীমা তুলে দেওয়ার সুপারিশ করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ সংস্থা বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন (বিটিটিসি)। সংস্থাটির এই সুপারিশে মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন নেট দুনিয়ার বাসিন্দারা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এনিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে মত দিয়েছেন তারা। এনিয়ে বিতর্কেও জড়িয়েছেন অনেকে।

বিটিটিসি তাদের সুপারিশে বলেছে, মোটরসাইকেলের সিসির সঙ্গে গতির কোনো সম্পর্ক নেই। ৩০০ বা ৫০০ সিসির মোটরসাইকেলে সর্বোচ্চ যে গতি তোলা সম্ভব, ১৬৫ সিসি মোটরসাইকেলেও একই গতি তোলা যায়। বিশ্বের কোথায় এমন সিসি সীমা নেই।

মোটরসাইকেলের ইঞ্জিনক্ষমতা বা সিসির সীমা কি থাকা উচিত কিনা তা নিয়ে আগে থেকেই বেশ বিতর্ক রয়েছে। মোটরসাইকেলপ্রেমীদের এক পক্ষের বক্তব্য, বিশ্বের কোথাও তো নেই, তাহলে বাংলাদেশে কেন থাকবে? আবার আরেক পক্ষের বক্তব্য হচ্ছে বাংলাদেশের রাস্তাঘাট এখনো উচ্চ সিসির মোটরসাইকেলের জন্য উপযুক্ত নয়। আবার মোটরসাইকেল উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলোও সবাই এ বিষয়ে একমতও নয়।

বিটিটিসির সুপারিশের প্রতিক্রিয়ায় ফেসবুকে স্বাধন হালদার লিখেছেন, ‘‘সিসি লিমিট যতোই বেশি হোক সেটা মুখ্য বিষয় না, সমস্যা হলো মূর্খ বাইক চালক গুলি না মানে সিগনাল না মানে ট্রাফিক আইন, রোডে গাড়ি চালানো নিয়ম গুলি কেউ জানে না আর জানলেও মানে না, সিসি লিমিট পরের কথা আগে এই গাধাগুলিকে মানুষ করার কথা।’’

মোঃ মাহাবুবুল আলমের মন্তব্য, ‘‘মোটরসাইকেল হচ্ছে মরণফাঁদ, তার চেয়েও এলেক্ট্রিক সাইকেলগুলার দিকে মনোযোগ দিলে ভালো হয়। অফিসে যাতায়াত সবকিছুতে ইলেকট্রিক সাইকেল ইউজ করা হয়। সাইকেলের জন্য আলাদা রাস্তা প্রয়োজন।’’

শাহরিয়ার শাবরিজ লিখেছেন, ‘‘সিসি লিমিট তুলে নেওয়া সময়ের দাবী। যাহারা মনে করেন ১০০০ সিসি মানে ১০০০ কিলোমিটার বেগে চলবে এটা তাদের ভুল ধারণা। সিসি বেশি হলে ইন্জিন ও বডি কোয়ালিটিফুল এবং ড্রাইভও সহজ হয়। যেটা ১৫০ সিসিতে সম্ভাবনা।’’

এমএইচ কবির লিখেছেন, ‘পোলাপান যে কত খুশি উরা-দুরা চালাবে আর ট্রাকের নিচে চলে যাবে আরেক গ্রুপ আন্দোলন করবে বিরানির প্যাকেট নিয়ে শাহবাগ মোড় অবরোধ করবে।’’

জালাল উদ্দীন সাগর লিখেছেন, ‘‘সিসি লিমিট আছে তাতেই এখানে ওখানে যেভাবে কাইত হইয়া পইরা থাকে..আর লিমিট উঠায়া নিলে কি হবে উপর ওয়ালাই জানে।’’

উল্লেখ্য, মোটরসাইকেলের সিসি সীমা নিয়ে এই প্রতিবেদন সম্প্রতি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে দিয়েছে ট্যারিফ কমিশন। মন্ত্রণালয় সূত্রে পাওয়া প্রতিবেদনে দেখা যায়, কমিশন সিসি সীমা তুলে নেওয়ার ক্ষেত্রে স্থানীয় শিল্পকে সুরক্ষা দিতে বাড়তি সিসির মোটরসাইকেল নিবন্ধনে বাড়তি ফি নির্ধারণ করার সুপারিশ করেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকারের মোটরসাইকেলশিল্প উন্নয়ন নীতি অনুযায়ী ২০২৭ সালের মধ্যে দেশে ১০ লাখ মোটরসাইকেল উৎপাদনের লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে। কমিশন মনে করে, স্থানীয় মোটরসাইকেলশিল্পের বিকাশে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ইঞ্জিনক্ষমতার সীমা তুলে নেওয়া দরকার।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মোটরসাইকেল

২৯ অক্টোবর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ