Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রাজনীতিতে অভিষেক কৌশানীর, যোগ দিলেন তৃণমূলে

বিনোদন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৫ জানুয়ারি, ২০২১, ৪:৪৪ পিএম

অভিনেত্রী কৌশানী মুখোপাধ্যায়। এবার রাজনীতির মঞ্চে অভিষেক হলো তার। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা যেত তাঁকে। আর এখন আনুষ্ঠানিক ভাবে তৃণমূলে যোগ দিয়েই দিলেন তিনি। কৌশানীর সঙ্গে তৃণমূলে যোগ দেন অভিনেত্রী তথা তৃণমূলের ইম্পার সদস্য পিয়া সেনগুপ্তও। পরিচালক অনুপ সেনগুপ্তের গৃহিণী পিয়া জনপ্রিয় অভিনেতা সুখেন দাসের মেয়ে। রবিবার (২৪ জানুয়ারি) তৃণমূল ভবনে তাঁদের দলে যোগদান করান রাজ্যের মন্ত্রী ব্রাত্য বসু এবং তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ।

এর আগে, তৃণমূলের হাত ধরে রাজনীতিতে অভিষেক ঘটে দেবশ্রী রায়, শতাব্দী রায়েরও। দেব, মিমি, নুসরতও সেই পথেই এগিয়েছেন। ২০১৫ সালে অভিনয় জগতে পা রাখা কৌশানী এত অল্পদিনেই রাজনীতিতে কেনো, তা নিয়ে কৌতূহল রয়েছে।

কৌশানী জানান, এখন যা টালমাটাল অবস্থা। এটাই সিদ্ধান্ত নেওয়ার সঠিক সময় বলে মনে হল। ছোট থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভক্ত আমি। আমার গোটা পরিবার একটা দলকেই অনুসরণ করে, সেটা হল তৃণমূল। তাই তৃণমূলের কাণ্ডারী হওয়া আমার কাছে সৌভাগ্যের ব্যাপার।

শুধুমাত্র মমতার জন্যই যে তিনি রাজনীতিতে এসেছেন, সে কথাও সাফ জানিয়ে দেন কৌশানী। তিনি বলেন, আমার প্রথম ছবি ‘পারব না আমি ছাড়তে তোকে’। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও ছাড়তে পারব না আমি। কীভাবে সাধারণ মানুষের জন্য উনি কাজ করেন, তা কাছ থেকে দেখেছি আমি। দিদি সারাক্ষণ আমাদের পাশে ছিলেন এবং থাকবেন। জানি আমার বয়স অল্প। কিন্তু যে পেশায় রয়েছি, সেখানে অনেকে আমাকে দেখে অনুপ্রাণিত হন। অভিনেত্রী হিসেবে সাধ্যমতো মানুষকে সাহায্য করার চেষ্টা করেছি। দলের সঙ্গে যুক্ত হয়ে আরও বেশি করে মানুষের জন্য কাজ করতে চাই।

এর আগে, তারকা নামিয়ে ভোট কুড়নোর অভিযোগ উঠেছে তৃনমূলের। কৌশানীর মতো অভিনেত্রীকে রাজনীতির মঞ্চে নিয়ে আসায় নতুন করে সেই সেই প্রশ্ন মাথাচাড়া দিতে শুরু করেছে ইতোধ্যেই।

ব্রাত্য বলেন, দেশের শিল্প জগৎ সঙ্কটে। অনুরাগ কশ্যপ, নাসিরুদ্দিন শাহদের পর্যন্ত হুমকি দেওয়া হচ্ছে। দলিতদের হয়ে মুখ খোলায় আয়ুষ্মান খুরানাকেও হেনস্থা করা হচ্ছে। এ রাজ্যে পরিস্থিতি তেমন নয়। অনেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমালোচনা করেন। কিন্তু তাঁদের এ রাজ্যে হেনস্থা করা হয় না। বিজেপি ক্ষমতায় এলে বাক স্বাধীনতা বলে কিছু থাকবে না।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: তৃণমূলে


আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ