পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কবর জিয়ারত, দোয়া-মাহফিল, দুস্থদের মাঝে খাবার বিতরণসহ নানা কর্মসূচিতে মরহুম আরাফাত রহমান কোকোর ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী পালন করেছে বিএনপি। ২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি মালয়েশিয়ার একটি হাসপাতালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার কনিষ্ঠপুত্র আরাফাত রহমান কোকো। এরপর ২৮ জানুয়ারি তার লাশ দেশে এনে ওই দিনই বনানী কবরস্থানে দাফন করা হয়।
দিনটি উপলক্ষে গতকাল রোববার বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের পক্ষ থেকে নানা কর্মসূচি আয়োজন করা হয়। এসব কর্মসূচির মধ্যে ছিল- কোকোর কবর জিয়ারত, দোয়া মাহফিল, দুস্থদের মাঝে খাদ্য বিতরণ প্রভৃতি।
এদিন সকালে ৯টায় বনানী কবরস্থানে মরহুমের কবরে সবার আগে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীকে সাথে নিয়ে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির নেতাকর্মীরা। এসময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বজলুল বাসিত আঞ্জু, এজিএম শামসুল হক, এবিএম আবদুর রাজ্জাক সহ বিভিন্ন স্তরের বহু নেতাকর্মী। নেতৃবৃন্দ মরহুম আরাফাত রহমান কোকোর কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। পরে তার রুহের মাগফিরাত কামনায় সংক্ষিপ্ত দোয়া করেন।
পরে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে নেতা-কর্মীরা বনানী কবরস্থানে কোকোর কবর জিয়ারত করেন। পরে মির্জা ফখরুল সাংবাদিকদের বলেন, আরাফাত রহমান কোকো কোনো রাজনীতিবিদ ছিলেন না। তিনি একজন ক্রীড়া সংগঠক ছিলেন। কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য, এই অত্যন্ত মেধাবী ক্রীড়া সংগঠককে মঈনউদ্দিন-ফখরুদ্দিন সরকার নির্মমভাবে-অন্যায়ভাবে নির্যাতন করায় অসুস্থ হয়ে পড়েন। সেই অসুস্থতার কারণে তিনি মারা গেছেন। আমরা মনে করি, তাকে হত্যা করা হয়েছে। এ সময় যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, বিএনপির ক্রীড়া সম্পাদক আমিনুল হক, চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। পরে তারা মরহুম কোকোর রুহের মাগফিরাত কামনায় বিশেষ মোনাজাতে অংশগ্রহণ করেন।
জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল এবং ছাত্রদলের পক্ষ থেকেও কোকোর কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে। এ সময় স্বেচ্ছাসেবক দলের মোস্তাফিজুর রহমান, আব্দুল কাদির ভুইয়া জুয়েল, গোলাম সারোয়ার, আনু মোহাম্মদ শামীম, সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, কাজী ইফতেখায়রুজ্জামান শিমুল এবং ছাত্রদলের ইকবাল হোসেন শ্যামল, মহিনউদ্দিন রাজু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মরহুম কাকোর রুহের মাগফিরাত কামনায় দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় বিএনপির উদ্যোগে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে অংশগ্রহণ করেন- বিএনপির গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, রুহুল কবির রিজভী, খায়রুল কবির খোকন, হাবিব-উন-নবী খান সোহেল প্রমুখ।
এরপর দুপুরে মিরপুরের দুটি মাদরাসা ও এতিমখানায় খাবার বিতরণ করা হয়। এসময় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ও ক্রীড়া সম্পাদক আমিনুল হক উপস্থিত ছিলেন। পরে বাদ আসর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিএনপির সিনিয়র ও কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
কোকোর মৃত্যুবার্ষিকীতে প্রতি বছর তার মা খালেদা জিয়া ছোট ছেলের কবর জিয়ারত করতেন। কিন্তু শর্ত সাপেক্ষে কারামুক্ত থাকায় তিনি গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় রয়েছেন। তবে বিএনপির দাবি, বাসভবনে খালেদা জিয়াকে কার্যত গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে।
২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি মালয়েশিয়ার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন আরাফাত রহমান কোকো।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।