পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মালিবাগের বৃদ্ধা গৃহকর্ত্রীকে পৈশাচিক নির্যাতন করে পালানো গৃহকর্মী রেখা অবশেষে ধরা পড়েছেন ঠাকুরগাঁওয়ে। ধরা পড়ার ভয়ে সে ঢাকা থেকে পালিয়ে তার মামার বাড়ি ঠাকুরগাঁওয়ে এসেছিলেন। গত বুধবার গভীর রাতে শাহজাহানপুর থানার একটি দল স্থানীয় রাণীশংকৈল ও বালিয়াডাঙ্গী থানার সহযোগিতা নিয়ে গৃহকর্ত্রীকে নির্যাতন করে পালিয়ে যাওয়া এই গৃহকর্মীকে গ্রেফতার করে।
রাণীশংকৈল ও বালিয়াডাঙ্গি থানার সহকারি পুলিশ সুপার তোফাজ্জল হোসেন জানান, ঘটনার পর প্রথমে ডেমরায় আশ্রয় নেন রেখা। নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য পালিয়ে যান ঠাকুরগাঁওয়ে মামার বাড়িতে। পরে রাণীশংকৈল ও বালিয়াডাঙ্গি থানার সীমান্তবর্তী কাশিপুর ইউনিয়নের চিকনমাটি গ্রামের থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। চুরি করা টাকার মধ্যে এক লাখেরও বেশি খরচ করে ফেলেছেন তিনি। উদ্ধার করা হয়েছে ৬০ হাজার টাকা, স্বর্ণালঙ্কার ও মোবাইল ফোন।
ঠাকুরগাঁও পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম জানান, গৃহকর্ত্রীকে নির্যাতনের ঘটনার পর ঢাকা থেকে বার্তা পেয়ে পুলিশ বিশেষ অভিযান চালায়। গত বুধবার গভীর রাতে প্রযুক্তির মাধ্যমে ঢাকা থেকে আগত পুলিশের টিম বালিয়াডাঙ্গি থানার সীমান্তবর্তী কাশিপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে। রেখাকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সেখানে তাকে আদালতে হাজির করা হবে।
রেখার মামা কফিল উদ্দিন ও মামী জানান, রেখাদের আদি বাড়ি ছিলো জেলার বালিয়াডাঙ্গী থানার বড় পলাশবাড়ি গ্রামে । কিন্তু রেখার বাবা-মা আগেই বাড়ি ঘর বিক্রি করে ঢাকায় চলে যান। ঢাকায় রেখার বোনকে আটক করে তার মাধ্যমেই চিনে চিনে ঘটনাস্থল চিকনমাটির কফিলউদ্দিনের বাড়িতে পৌঁছাতে সক্ষম হয় তদন্তকারি দল।
এদিকে রেখাকে ধরতে কেবল পুলিশই নয়, র্যাব-১৩ এবং পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (পিআইবি) ঠাকুরগাঁও শাখাও ঘটনাস্থলের কাছাকাছি পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছিলেন বলে জানান পিবিআই এর ঠাকুরগাঁও এএসপি রেজাউল ইসলাম। এদিকে ঘটনাটি বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার হলে রেখার ব্যাপারে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন বালিয়াডাঙ্গীর স্থানীয়রা।
স্থানীয় গ্রামের আবুল হোসেন বলেন, এই ভয়ঙ্কর অপরাধী যতই আমাদের গ্রামের হোক, তার উপযুক্ত শাস্তি দাবি করছি। উল্লেখ্য, এক বছর আগে বিলকিস বেগমের মেজ মেয়ে মেহবুবা জাহান বুলবুলির বাসায় কাজ শুরু করেন রেখা। গত ৭ জানুয়ারি কাজ ছেড়ে অন্যত্র চলে যান। গত ১৬ জানুয়ারি সার্বক্ষণিক থাকার কথা বলে ফিরে আসেন ওই বাসায়। এর দুদিন পর বাসায় কেউ না থাকার সুযোগে গৃহকর্ত্রী বিলকিস বেগমকে নির্মম নির্যাতন করে নগদ টাকা, স্বর্ণসহ টিভি ও মোবাইল নিয়ে পালিয়ে যান রেখা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।