Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পাকিস্তানের সাথে সামরিক সম্পর্ক পুনরুদ্ধার করতে চায় বাইডেনের প্রশাসন

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২১ জানুয়ারি, ২০২১, ৫:৫৮ পিএম

নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন আফগানিস্তানের যে কোনও শান্তি প্রক্রিয়াতে পাকিস্তানকে একটি ‘প্রয়োজনীয় অংশীদার’ হিসাবে বিবেচনা করে এবং বিশ্বাস করে যে ‘পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর সাথে সম্পর্ক বজায় রাখার মাধ্যমে বিভিন্ন ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র এবং পাকিস্তানের মধ্যে সহযোগিতা পথ উন্মুক্ত হবে।’ মঙ্গলবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটের সশস্ত্র পরিষেবা কমিটির সামনে প্রতিরক্ষা সচিব পদে নিজের মনোয়ন নিশ্চিতকরণে শুনানির সময় জেনারেল লয়েড জে অস্টিন এসব কথা বলেন।

বাইডেনের মনোনীত প্রতিরক্ষা সচিব ও ইউএস সেন্ট্রাল কমান্ডের সাবেক প্রধান অস্টিন সিনেটের কমিটির সামনে বলেন, ‘আফগানিস্তানের যে কোনও শান্তি প্রক্রিয়াতে পাকিস্তান একটি অপরিহার্য অংশীদার।’ তিনি বলেন, ‘আমার মনোয়ন নিশ্চিত হলে আমি এমন একটি আঞ্চলিক পদ্ধতি প্রণয়নে উৎসাহিত করব যা আফগানিস্তানের শান্তি প্রক্রিয়ায় পাকিস্তানের মতো প্রতিবেশীদের সমর্থন জোরদার করবে এবং যে সব আঞ্চলিক শক্তি এই প্রক্রিয়া ক্ষতিগ্রস্থ করছে তাদেরকে বাধা দেবে।’ নতুন প্রতিরক্ষা প্রধান হিসাবে পাকিস্তানের সাথে মার্কিন সম্পর্কের ক্ষেত্রে তিনি কী পরিবর্তন করার পরামর্শ দেবেন জানতে চাইলে জেনারেল অস্টিন বলেন, ‘আমি আমাদের অংশীদারিত্ব ভিত্তিক স্বার্থের দিকে মনোনিবেশ করবো যার মধ্যে আন্তর্জাতিক সামরিক শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ তহবিল ব্যবহারের মাধ্যমে ভবিষ্যতে পাকিস্তানী সামরিক নেতাদের প্রশিক্ষণ দেয়া অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। আফগানিস্তানের যে কোনও রাজনৈতিক বসতি স্থাপনে পাকিস্তান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে। আল কায়েদা ও ইসলামিক স্টেট খোরাসান প্রদেশকে (আইসিস-কে) পরাজিত করতে এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা বাড়াতেও আমাদের পাকিস্তানের সাথে কাজ করা উচিত।’

সুরক্ষা সহায়তা রক্ষার বিষয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের ২০১৮ সালের সিদ্ধান্তের পর থেকে তিনি আমেরিকার সাথে পাকিস্তানের সহযোগিতার কোনও পরিবর্তন অনুধাবন করেছেন কিনা জানতে চাইলে জেনারেল অস্টিন বলেন, ‘আমি বুঝতে পারি যে পাকিস্তান আফগানিস্তানের শান্তি প্রক্রিয়ার সমর্থনে মার্কিন অনুরোধ পূরণে গঠনমূলক পদক্ষেপ নিয়েছে। এই অগ্রগতি অসম্পূর্ণ থাকলেও পাকিস্তান লস্কর-ই-তৈয়বা ও জয়শ-ই-মোহাম্মদের মতো ভারতবিরোধী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধেও পদক্ষেপ নিয়েছে।’ তবে তিনি স্বীকার করেছেন যে, ‘নিরাপত্তা সহায়তা স্থগিতের পাশাপাশি অনেকগুলো কারণ পাকিস্তানের সাথে সহযোগিতায় প্রভাব ফেলতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে আফগানিস্তানের শান্তি প্রত্রিয়া ও পুলওয়ামায় সন্ত্রাসী হামলার পরে ভারতের সাথে উত্তেজনা বৃদ্ধির মতো বিষয়।’ আমেরিকা পাকিস্তানের উপর কী কী সরঞ্জাম ও বিকল্পের প্রভাব ফেলবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি পাকিস্তানকে তার অঞ্চলটিকে জঙ্গি ও সহিংস উগ্রবাদী সংগঠনের অভয়ারণ্য হিসাবে ব্যবহার থেকে বিরত রাখতে চাপ দেব। পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর সাথে সম্পর্ক অব্যাহত রাখার ফলে আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র এবং পাকিস্তানের মূল ইস্যুতে সহযোগিতা করার সুযোগ দেয়া হবে।’

জেনারেল অস্টিন এ সময় ভারতের সাথেও নিবিড় সম্পর্ক চালিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করে বলেন, ‘ভারতের সাথে সম্পর্ক আমাদের ধারাবাহিক প্রশাসনের জন্য দ্বিপক্ষীয় সাফল্যে। এটি ক্লিনটন প্রশাসনের শেষের দিকে শুরু হয়েছিল। ওবামা প্রশাসনের সময়, আমরা প্রতিরক্ষা সম্পর্ক ও তথ্য ভাগাভাগিতে সহযোগিতা আরও জোরদার করেছি। ট্রাম্প প্রশাসন ইন্দো-প্যাসিফিকের ধারণা সহ এটি এগিয়ে নিয়েছে এবং আমরা ভারতের সাথে কাজ করে যাচ্ছি যাতে করে চীন সহ এই অঞ্চলের কোনও দেশই তার সার্বভৌমত্বকে চ্যালেঞ্জ করতে না পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখা যায়।’ তিনি জানান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দু'দেশের সন্ত্রাসবাদ নিয়ে যে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সে বিষয়ে ভারতের সাথে কাজ চালিয়ে যাবে। সূত্র: ডন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পাকিস্তান-যুক্তরাষ্ট্র


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ