বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে প্রচার চলাকালীন নগরীর নাসিমন ভবনস্থ বিএনপির অফিসের সামনে আওয়ামী লীগ-বিএনপির সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন।
এ সময় নির্বাচনী ক্যাম্প ও গাড়ি ভাঙচুর এবং ব্যাপক ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে।
বুধবার রাত পৌনে ১১টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। ঘটনার জন্য আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতারা একে অন্যকে দায়ী করেছেন।
চসিক নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তার অফিসের অদূরে এ সংঘাত স্থায়ী হয় প্রায় এক ঘণ্টা। এ সময় এলাকায় চরম আতংক ছড়িয়ে পড়ে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বাকলিয়া বলির হাটে ধানের শীষের প্রচারে আওয়ামী লীগের হামলার প্রতিবাদে নাসিমন ভবনের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশ শেষে কিছু নেতা কর্মী সেখানে অবস্থান করছিলেন।
এ সময় আওয়ামী লীগের একটি মিছিল ওই এলাকায় আসে। মিছিল নিয়ে তারা বিএনপির অফিসের সামনের সড়কে অবরোধ করে। এক পর্যায়ে দুই পক্ষ ইট পাটকেল নিক্ষেপ, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া থেকে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
এ সময় রাবেয়া রহমান লেইনে নির্বাচনী মিছিলে ককটেল বিস্ফোরণ এবং নির্বাচন ক্যাম্পে ভাঙচুর করা হয়েছে দাবি করেছেন ২১নং জামালখান ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগ মনোনীত কাউন্সিলর প্রার্থী শৈবাল দাশ সুমন। এজন্য তিনি বিএনপির মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেনকে দায়ী করেন। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে ডা. শাহাদাত হোসেন উল্টো বিএনপি কার্যালয়ে ককটেল বিস্ফোরণ ও গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ করেন।
খবর পেয়ে কোতোয়ালী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
আওয়ামী লীগ নেতারা বলেন, এটি পরিকল্পিত হামলা। আমরা শান্তিপূর্ণ মিছিল নিয়ে ক্যাম্পের দিকে যাচ্ছিলাম, এরমধ্যে মিছিলের পেছনে ককটেল ছুড়ে মারা হয়। আমাদের লোকজন তাদের ধাওয়া দিলে তারা বিএনপির পার্টি অফিসে ঢুকে যায়। ঘটনার ২-৩ মিনিটের মধ্যে ডা. শাহাদাত হোসেন হাজির হয়ে উস্কানিমূলক বক্তব্য দেয়া শুরু করে। তারপর বিএনপি অফিস থেকে বৃষ্টির মতো পাথর ছুড়তে থাকে। এ ঘটনায় আমাদের চারজন আহত হয়েছে।
বিএনপির মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, আওয়ামী লীগের ছেলেরা পার্টি অফিসে ককটেল মেরেছে। খবর পেয়ে আমি সুফিয়ান ভাইয়ের (দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক) গাড়িতে করে আসি। প্রবেশ করার সময় তারা পাথর মেরে গাড়ি ভেঙে দেয়।
আওয়ামী লীগের অভিযোগর বিষয়ে ডা. শাহাদাত বলেন, ডাহা মিথ্যা কথা। এসব বানোয়াট কথাবার্তা। পার্টি অফিসে ৭/৮ জন ছেলে ছিল। তাদেরকে অবরুদ্ধ করে রাখার খবর পেয়ে আমি ছুটে আসি। আমি নিজেই কোতোয়ালী থানার ওসিকে এবং রিটার্নিং অফিসারকে ফোন করি। প্রতিদিন পার্টি অফিসের সামনে পুলিশের গাড়ি থাকে। আজ ছিল না কেন? এখন নির্বাচন, আরো বেশি থাকার কথা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।