Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ৭৩

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৭ জানুয়ারি, ২০২১, ৪:১২ পিএম

ইন্দোনেশিয়ার সুলাওয়েসি দ্বীপে গত শুক্রবার আঘাত হানা শক্তিশালী ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৭৩ জনে দাঁড়িয়েছে। শক্তিশালী এই ভূমিকম্পে আহত হয়েছেন আরও আটশ শতাধিক মানুষ। আজ রোববার দেশটির দুর্যোগ মোকাবেলা সংস্থার (বিএনপিবি) বরাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
গতকাল শনিবার (১৬ জানুয়ারি) দিনভর উদ্ধার অভিযানে আরো ১১ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়। ধ্বংসস্তুপের নিচে আরও কেউ আটকা পড়ে থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
রয়টার্সের খবরে বলা হয়, শক্তিশালী এই ভূমিকম্পের ঘটনায় ২৭ হাজার আটশ মানুষ ঘর-বাড়ি হারিয়েছে। বিএনপিবির মুখপাত্র রাদিত্য জাতি এই তথ্য জানিয়েছেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছে, ভূমিকম্পের ফলে কেউ কেউ পাহাড়ে আশ্রয় নেয়। আবার কেউ দুর্যোগ মোকাবেলা কেন্দ্রগুলোতে আশ্রয় নেয়। ভূমিকম্পের দুই দিন পরও ধসেপড়া ভবনগুলোর ধ্বংসস্তূপের ভেতরে জীবিতদের খোঁজে তল্লাশি চালিয়ে যাচ্ছেন উদ্ধারকর্মীরা।
স্থানীয় সময় গত শুক্রবার সকালে সুলাওয়েসি দ্বীপের মাজেনে শহরে শক্তিশালী ৬.২ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল মাজেনে শহর থেকে ৩ দশমিক ৭৩ মাইল উত্তর-পূর্বে মাটির ১০ কিলোমিটার গভীরে। ভূমিকম্পে হতাহতের পাশাপাশি অনেক ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ধ্বংসস্তূপের নিচে আরও অনেকে চাপা পড়ে আছেন।
এদিকে দেশটির আবহাওয়া ও ভূতাত্ত্বিক সংস্থার প্রধান দ্বিকোরিতা কার্নাওয়াতি শনিবার স্থানীয় টেলিভিশনকে বলেছেন, ওই এলাকায় আরেকটি ভূমিকম্প হতে পারে, সেটি সুনামিরও কারণ ঘটাতে পারে। সে কারণে স্থানীয় সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
প্রশান্ত মহাসাগরের কথিত ‘রিং অব ফায়ার’ (প্রশান্ত মহাসাগরীয় আগ্নেয় মেখলা) এর উপর ছড়িয়ে থাকা ইন্দোনেশিয়ায় প্রায়ই ভূমিকম্প হয়।
২০১৮ সালে সুলাওয়েসির পালু শহরে ৭ দশমিক ৫ মাত্রার ভূমিকম্প ও এরপর সুনামির আঘাতে ৪ হাজার ৩০০ জনের মৃত্যু হয় বলে ধারণা করা হয়। এর মধ্যে অনেকেরই কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। এর আগে ২০০৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর ৯ দশমিক ১ মাত্রার ভূমিকম্প ও সুনামির আঘাতে ১ লাখ ৭০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়।
নতুন বছরের মাত্র দুই সপ্তাহ পার হয়েছে, এরই মধ্যে বিশ্বের চতুর্থ সর্বোচ্চ জনবহুল দেশটি ফের বেশ কয়েকটি দুর্যোগের মুখে পড়েছে।
উত্তর সুলাওয়েসি ও দক্ষিণ কালিমান্তান প্রদেশে চলতি মাসে বন্যায় অন্তত ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে, ওই সময়েই পশ্চিম জাভা প্রদেশে ভূমিধসে অন্তত ২৮ জনের মৃত্যু হয় বলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলো জানিয়েছে।
৯ জানুয়ারি ইন্দোনেশিয়ার শ্রীবিজয়া এয়ারের একটি যাত্রীবাহী উড়োজাহাজ ৬২ জন আরোহী নিয়ে জাভা সাগরে বিধ্বস্ত হয়।
শনিবার রাতে পূর্ব জাভার সেমেরু আগ্নেয়গিরি থেকে উদ্গিরণ শুরু হয়। তবে এতে কেউ হতাহত বা ঘরবাড়ি ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন বলে খবর হয়নি।
আবহাওয়া সংস্থার প্রধান দ্বিকোরিতা জানিয়েছেন, সামনের সপ্তাহগুলোতে বিরূপ আবহাওয়া ও সাগরকেন্দ্রিক ‘বিভিন্ন বিপদ’ দেখা দিতে পারে বলে পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। সূত্র: রয়টার্স



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ইন্দোনেশিয়া


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ